উম্পুন মানে নাকি ‘আকাশ’! সেই আকাশ যে এমন ভয়ঙ্কর রূপ ধরে আমাদের ওপর আছড়ে পড়বে তা কেউ বোধহয় কল্পনাও করে নি। সারা রাত বৃষ্টি আর তার সঙ্গে হাওয়ার ভয়ঙ্কর আওয়াজ আর দাপট। চারিদিকে সব কিছু যেন দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে। ঝনঝন শব্দে ভেঙে পড়ছে জানলা দরজার কাচ। আলো নেই, জল নেই, অন্তর্জাল যোগাযোগ নেই। চিরপরিচিত জগৎ থেকে কে যেন আমাদের টেনে হিঁচড়ে বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। সকাল হতেই ধ্বংসের ছবিটা স্পষ্ট হল। জানলার ঠিক বাইরে শিউলি গাছটাকে কে যেন মুচড়ে ভেঙে দিয়েছে। পেছনের বাগানে বেশ কয়েকটা নারকেল আর সুপুরি গাছ জড়াজড়ি করে পড়ে আছে। পাঁচিল ভেঙে পাশের বাড়ির দুটো নারকেল গাছও আমাদের বাগানে পড়েছে। পাঁচিলের ওপারে, বাইরের দৃশ্য আরও ভয়ঙ্কর! রাস্তা জুড়ে শেকড় উপড়ে পড়ে আছে বিরাট বিরাট সব গাছ, ইলেক্ট্রিকের তার ছিঁড়ে ঝুলছে, রাস্তায় এক হাঁটু জল। চারিদিক লন্ডভন্ড। প্রকৃতির এমন প্রলয়ংকর রূপ বোধহয় ইদানিং কালে কেউ দেখে নি।

চন্দননগর স্ট্রান্ড। ছবি পিনাকী দে।

চন্দননগর স্ট্র্যান্ডের ছায়া সুনিবিড় পরিবেশ দেখে আমরা বড় হয়েছি। গাছগুলোও আমাদের বড় হতে দেখেছে। সেই স্ট্র্যান্ডে একের পর এক গাছ উপড়ে মাটিতে পড়ে আছে। সেন্ট জোসেফ’স কনভেন্ট এর সামনের মেহগনি গাছটাও আর নেই। এই গাছটা নিয়ে ফ্রেঞ্চ ক্লাসে একটা রচনা লিখেছিলাম। রচনায় কল্পনা করে নিয়েছিলাম যে অনেককাল আগে কোনও এক ফরাসি আমলা গাছটা নিজের হাতে পুঁতেছিলেন আর রবীন্দ্রনাথ পরিণত বয়েসে এসে ওই গাছের তলায় এসে দাঁড়িয়েছিলেন। এসবই আমার কল্পনা, তবে গাছটা বোধহয় কয়েক শতাব্দী পুরনো ছিল। তার চলে যাওয়া আমার কাছে আত্মীয় বিয়োগের মতন যন্ত্রণার। চন্দননগর কলেজের সামনের গাছটারও একই পরিণতি, যদিও কলেজের কোনও ক্ষতি হয় নি। স্ট্র্যান্ড ও চার্চের দু পাশের বড় বড় গাছগুলোর অনেকগুলোই ঝড়ের বলি হয়েছে। উম্পুনের পরেরদিন স্ট্র্যান্ড রোডে আড়াআড়ি ভাবে এত গাছ পড়ে থাকায় এক পা এগোনোও ছিল দুঃসাধ্য ব্যাপার। কোর্ট চত্বরের এমনই অবস্থা হয়েছিল যে কর্পোরেশনের লোকজন কোনও ভরসা দিতে পারেন নি কবে এত গাছ সরানো যাবে আর কবে ইলেক্ট্রিকের তার জুড়বে। শোনা গেছে শুধু চন্দননগরেই এক হাজার গাছ ক্ষতিগ্রস্থ। শেষ অবধি অবশ্য তিন কোথাও চার দিন বাদে বিদ্যুতের দেখা মিলেছিল। গাছ সরিয়ে যান চলাচলের উপযুক্ত করে তোলা হয়েছিল স্ট্র্যান্ড রোড।

chandernagar strand tree
স্ট্রান্ডের সেই মেহগনি গাছ। ছবি সৌজন্যে হুগলি রিভার অফ কালচারস।

জলের অভাবে অবশ্য অনেকে কষ্ট পেয়েছেন। আশি বছরের বৃদ্ধকেও ফ্ল্যাট বাড়ির চারতলার সিঁড়ি বেয়ে জল নিয়ে যেতে হয়েছে। কর্পোরেশনের  রাস্তার কলের জলই যাদের ভরসা, সেরকম কয়েকশো মানুষ কর্পোরেশনের জলের গাড়ির সামনে লাইন দিলেন। এক রাতের মধ্যে তাদের খাদ্য আর বাসস্থান অনিশ্চিত হয়ে পড়ল।

বেশ কিছুদিন ধরেই আবহাওয়ার পূর্বাভাসে শোনা যাচ্ছিল যে এক ভয়ঙ্কর ঝড় আসতে চলেছে এবং তার জন্য সবাইকে সতর্কও করা হচ্ছিল। চুঁচুড়া রেল স্টেশনের ধারের বসতির সহায় সম্বলহীন মানুষজন খুব স্বাভাবিক ভাবেই নিজেদের চালটুকু বাঁচাতে খুব তৎপর ছিলেন। পয়সা খরচ করে ভালো মানের প্লাস্টিকের চাদর ও দড়ি কিনে টালি শক্ত করে বেঁধে নিয়েছিলেন, যাতে ঝড় কোনওমতেই এই টালির কোনও ক্ষতি না করতে পারে। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। ঝড়ের প্রকোপে দড়ি ছিঁড়ে প্লাস্টিকের চাদর সমেত টালির চাল উড়ে গেছে। এঁরা প্রায় তিন দিন খোলা আকাশের তলায় কাটিয়েছেন। চন্দননগর থেকে ব্যান্ডেল, রেল লাইনের ধারে দেখা যাচ্ছিল এই একই ছবি।

বাংলায় প্রবাদ আছে ‘অতি বাড় বেড়ো না ঝড়ে পড়ে যাবে’। উম্পুনের শিকার বড় গাছ গুলোর বেলায় সত্যিই তাই ঘটল। হুগলি নদীর ঘাটের ধারে যে বুড়ো গাছগুলো বহুকাল ধরে চান করতে আসা মানুষজন বা ক্লান্ত পথিককে ছায়া দিয়ে এসেছে, তাদের অনেকগুলিই ভূপতিত। গোস্বামী ঘাটের শিকড় উপড়ে যাওয়া গাছটার ছবি দেখে দুঃখ পেয়েছি, অনুভব করেছি প্রকৃতির কাছে আমরা কতটা অসহায়! হুগলির এ অঞ্চলে বহুতল অট্টালিকা নেই, থাকলে তাদের কি হত সহজেই অনুমান করা যেতে পারে।

chandernagar church
চন্দননগর চার্চের সামনে। ছবি ব্রতীন বন্দ্যোপাধ্যায়।

হুগলি জেলার ঐতিহাসিক ভবনগুলো কয়েক শতাব্দী প্রাচীন। অনেক কাল আগের কোনো এক ঝড়ে হুগলি মহসিন কলেজের একটা মিনার ভেঙে পড়েছিল। এবারে কলেজের কোনও ক্ষতির কথা শোনা যায়নি। চত্বরে ভেঙে পড়েছে এক বহু প্রাচীন গাছ, যা কোনও ঐতিহ্যের চেয়ে কম দামি নয়। ডাফ স্কুলের পেছনেও ভেঙে পড়েছে এক তিনশ বছরের পুরনো বটগাছ, যে চুঁচুড়া শহরের অনেক ইতিহাসের সাক্ষী। আয়লার তান্ডবে ব্যান্ডেল চার্চের সমাধি ক্ষেত্রে পাশে দাঁড় করানো জাহাজের মাস্তুল ভেঙে পড়েছিল। তারপর থেকে সেটি সংরক্ষিত আছে একটি কাচের বাক্সে। এবারে কিন্তু ঝড় উড়িয়ে নিয়ে গেছে হুগলি ইমামবাড়ার মিনারের একটা পেতলের চুড়ো। ভাবতে অবাক লাগে যে হুগলি শহর সমুদ্র উপকূল থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে, কিন্তু সেখানে হাওয়ার জোর ছিল ১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। পেতলের ওই ঝকঝকে মিনারের চুড়ো ইমামবাড়ার সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তুলত। কত মানুষজন শীতকালে ব্যান্ডেল চার্চ আর ইমামবারার ঘড়ি, ঘন্টা ঘর আর চুড়ো দুটো দেখতে আসতেন। এখনও আসবেন, তবে মিনার আবার প্রতিস্থাপিত করা যাবে কিনা জানা নেই। কলকাতার সেন্ট অ্যান্ড্রু ’স চার্চের ওয়েদার কক উড়ে যাওয়া নিয়ে বিস্তর খবর শুনলাম, কিন্তু ইমামবাড়ার চুড়োর কথা তো কেউ বলল না। অথচ হুগলি ইমামবাড়া প্রায় দুই শতাব্দী প্রাচীন এক ঐতিহাসিক সৌধ ।

hooghly imambara
হুগলি ইমামবাড়া। ছবি ড: বাসুদেব মালিক।

দুই শতাব্দী প্রাচীন শ্রীরামপুর কলেজও উম্পুনের তণ্ডবে বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত। ঝড়ে উপড়ে গেছে পুরোনো মেহগনি কাঠের জানলার বড় বড় পাল্লা। হা হা করা ঘরের মধ্যে বৃষ্টির জল ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মূল্যবান নথিপত্র। কলেজ ক্যাম্পাসে প্রচুর গাছ পড়ে গেছে, এমনকি গোল পোস্ট অবধি দুমড়ে গেছে। কেরি সাহেবের বাড়িটাও আরেকটু হলে গিয়েছিল আরকি! শ্রীরামপুরের নবজাগরণের দিশারী উইলিয়াম কেরি এবং তাঁর সঙ্গী মার্শমান ও ওয়ার্ড যে বাড়িতে বাস করতেন, সেটা এখন ব্যাপটিস্ট চার্চ। সেখানে এখন চার্চের ফাদার এবং কয়েকজন কর্মী সপরিবারে বসবাস করেন। তার পাঁচিল ঘেঁষে উপড়ে পড়েছে এক বিশাল গাছ। ভাগ্যিস বাড়িটা একটুর জন্য রক্ষা পেয়েছে, নাহলে ইতিহাসের এক মহা মূল্যবান অধ্যায় আমাদের সামনে থেকে হারিয়ে যেত। শ্রীরামপুরে বি পি দে স্ট্রিটে দুর্যোগের রাতে দুজন মানুষ মারা যান। প্রভাসনগর এলাকায় ঝড়ের দাপটে বহু বাড়ির চাল উড়ে যাওয়ায় বেশ কিছু মানুষ কে স্থানান্তরিত করতে হয়। বিভিন্ন এলাকায় তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে শহর।

শ্রীরামপুরের ক্ষেত্র মোহন সা স্ট্রিটে রয়েছে দুশো বছরের প্রাচীন সা বাড়ি যা ‘মেলা বাড়ি’ নামেও পরিচিত। এই বাড়িতে শিব রাত্রির মেলা ও কৃষি প্রদর্শনী হয় যেখানে নামিদামি সাহিত্যিক ও শিল্পীরা যোগদান করেন। এই মেলা ১২৪ বছর ধরে হয়ে আসছে। মেলা অবশ্য হয় মূল বাড়ির উল্টো দিকে, যেখানে ঠাকুর বাড়ি ও তার বিরাট চত্বর। আমার বান্ধবী ইন্দ্রানী জন্মসূত্রে এই বাড়ির বাসিন্দা। সে জানাল যে এই ঠাকুর বাড়ির সামনের দিকে এক পরিত্যক্ত ঘরে ছিল সা দের ‘গোঁসাই প্রেস’, যা প্রায় আজ থেকে কুড়ি বছর আগে বন্ধ হয়ে গেছে। পাঁচিল ভেঙে আড়াআড়ি ভাবে একটা বিশাল গাছ পড়ে ওই প্রেস ঘরটা একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে।

Serampore college
কেরি সাহেবের বাড়ি, শ্রীরামপুর। ছবি সৌজন্যে সুজয় দাস।

কোন্নগরে জি টি রোডের ধারে ২ নম্বর মীরপাড়া লেনে আছে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাগান বাড়ি, যেটা সম্পূর্ণ নিজ প্রচেষ্টায় সংরক্ষণ করেছে কোন্নগর মিউনিসিপ্যালিটি। কয়েক বছর আগে জঙ্গলাকীর্ণ এই বাড়ির দশা ছিল জীর্ণ। প্রোমোটারের ইচ্ছেপূরণ হলে এতদিনে সেখানে বহুতল উঠত। এখন সেটা পুনরুদ্ধার করে পূর্ব অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বাগানে শোভা পাচ্ছে অনেক মূল্যবান গাছগাছালি, যার অনেকগুলিই ঠাকুর পরিবারের লাগানো। অবন ঠাকুর তাঁর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘জোড়াসাঁকোর ধারে’ তে এই বাড়ির কথা বহুবার উল্লেখ করেছেন। উল্লেখ করেছেন এখানকার গাছগুলির কথা এবং গঙ্গার ধারের সুন্দর ঘাটের কথাও। এর মধ্যে আছে এক বহু প্রাচীন এক কাঁঠাল গাছ, যার তলায় বসে অবন ঠাকুর জীবনে প্রথমবার ছবি এঁকেছিলেন। কয়েক বছর আগে বয়েসের ভারে নুয়ে পড়া গাছটাকে রক্ষা করার জন্য মিউনিসিপ্যালিটি কর্তৃপক্ষ লোহার আলম্ব দিয়ে সেটাকে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন। আশেপাশের গাছগুলোকেও সুন্দর ভাবেই সংরক্ষণ করে বাগানটা আবার সাজিয়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু উম্পুন সেই সাজানো বাগান তছনছ করে দিয়েছে। গাছগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই ধূলিশয্যা নিয়েছে, পরের বার গেলে আর তাদের দেখতে পাব না। বাড়ির অবশ্য কোনও ক্ষতি হয়নি, কিন্তু নতুন করে সেজে ওঠা সাদা বাড়িটা আবার একলা হয়ে গেছে। এই বাগান আবার সাজিয়ে তুলতে কত সময় লাগবে কে জানে। কলকাতা থেকে কোন্নগর যেতে রাস্তার ধারে পড়ত এক বহু পুরনো বট গাছ। শুনছি সেটাও আর নেই।

একটা বড় গাছের পূর্ণতা প্রাপ্তি ঘটতে নাকি প্রায় ৫০০ বছর সময় লেগে যেতে পারে। এই ঝড় তো তাহলে আমাদের ৫০০ বছর পিছিয়ে দিল। আবার একটু একটু করে এগিয়ে যেতে সেই ৫০০ বছর। তখন যারা থাকবে তারা কি এখনকার গাছেদের ফেলে যাওয়া ফাঁকা জায়গা ভরাট করে তুলতে পারবে? নাকি যা গেল তা একেবারেই গেল?

অবন ঠাকুরের বাগান বাড়ি, কোন্নগর। ছবি সৌজন্যে কোন্নগর মিউনিসিপ্যালিটি।

কিন্তু মানুষ তো একেবারে চলে যেতে পারে না। তাকে তো টিকে থাকতেই হয় সেই অস্তিত্ব সংকট কে পাশে নিয়েই। গত মার্চ থেকে চলছে করোনার উপদ্রব। তার ওপরে উম্পুন যেন বিষফোঁড়ার মত। ক্ষেতে হাঁটু সমান জল, ধান নষ্ট। মানুষ খাবে কী? যাঁরা এই মরশুমে ধান চাষ করেন নি তাঁদেরও রক্ষা নেই। খলিসানির এক প্রত্যন্ত গ্রামে বাস করা একজন জানালেন যে তিনি ধান চাষ করেন নি, মাচায় শশা, পটল, ঝিঙে, ধুঁধুল, চিচিঙ্গে ফলিয়েছিলেন। মাচার পেছনে দড়ি দিয়ে পাথরকুচি বেঁধে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়, যাতে মাচা সোজা থাকে আর ফসলও ভালো হয়। কিন্তু ঝড়ের রাতে মাচা ভেঙে সমস্ত ফসল ছড়িয়ে ছিটিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। পেঁপে গাছও গোড়া থেকে উপড়ে গেছে। আমবাগানের গাছগুলোও সব বিধ্বস্ত, আমগুলো মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে। তাঁর প্রতিবেশী যাঁরা ধান চাষ করেছিলেন তাঁদের এখন মাথায় হাত। ক্ষেতে জল ভরে যাওয়ায় তাঁরা ফসল ঘরে তুলতে পারেন নি, আর ধান গাছ কদিন জলে থাকলেই তো কল বেরিয়ে যায়। অনেকেই তার মধ্যে মিনিকিটের চাষ করেছিলেন , যার পুরোটাই এখন জলের তলায় । ঝড়ের তান্ডবে এঁদের মধ্যে অনেকের বাড়ির চাল উড়ে গেছে। ক্ষেতে ফসল নষ্ট হচ্ছে, সবজি ফল নষ্ট হচ্ছে। আলু পেঁয়াজও তো গরমে বর্ষায় ছোট চাষিরা বেশিদিন সংরক্ষণ করতে পারবেন না। খাদ্য নেই, বাসস্থান টলোমলো, তার সঙ্গে মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস, লকডাউনের জোরদার কড়াকড়ি নিয়ে মানুষ ব্যতিব্যস্ত। তবে যাই হোক, মানুষ হেরে যাবার পাত্র নয়। আবার লড়াইয়ে সে জিতবেই, জিততে যে তাকে হবেই।

পেশায় শিক্ষিকা পূর্বা শিক্ষকতার পাশাপাশি ইতিহাস ও সংরক্ষণ বিষয়ে গবেষণায় রত। তিনি 'হুগলি রিভার অফ কালচারস পাইলট প্রজেক্টের' সঙ্গে যুক্ত ইউনিভার্সিটি অফ লিভারপুল ও ভারত সরকারের উদ্যোগে যেটার কাজ চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *