মা হওয়া যে কোনও মহিলার কাছে-দ্য মোস্ট ওয়ান্ডরফুল ফিলিং| কিন্তু এই সময় অনেক রকম সমস্যা দেখা যায়, তার মধ্য স্ট্রেচ মার্ক অন্যতম| হঠাৎ করে এই সময় স্কিন স্ট্রেচ হয়ে যায় বলে শিশু জন্মানোর পরেও স্ট্রেচ মার্ক থেকে যায়| স্কিন স্ট্রেচ হলে জায়গায় জায়গায় ফেটে যায় আর এই ফাটলগুলোতে যদি ঠিক মতো কোলাজেন আর নতুন স্কিন সেল না তৈরি হয় তখন এই স্ট্রেচ মার্কসের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে| এই সমস্যার তা হলে সমাধান কী? কয়েকটা সবজ উপায় মেনে চললেই ই দাগ গায়েব।

বেশি করে জল খান : আমরা সবাই জানি জল শরীরের পক্ষে খুব ভাল আর গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে তো দ্বিগুণ ভাল| জল আমাদের শরীরকে ডিটক্সিফাই করে আর স্ট্রেচ মার্ক হতে দেয় না| দিনে অন্তত ৮ গ্লাস জল পান করা উচিত| কিন্তু এই সময় অনেক মহিলাই বেশি জল খেতে পারেন না, সে ক্ষেত্রে গ্রিন টি বা ক্যাফেইন মুক্ত কোনও পানীয় খেতে পারেন| শুধু পানীয়ই নয়, এমন খাবারও খাবেন যাতে জলের পরিমাণ বেশি থাকে| শসা, স্ট্রবেরি, তরমুজ জাতীয় ফল বেশি করে খান|

ঠিক মতো ভিটামিন খান: ভিটামিন এ,ই আর সি ত্বকের জন্য খুব উপকারী| ভিটামিন এ ত্বক মেরামত করে,ভিটামিন ই স্কিন মেমব্রেনকে অটুট রাখে আর ভিটামিন সি কোলাজেন আর ত্বকের নতুন কোষ তৈরি করে| এই সময় অনেকের ত্বক নিষ্প্রাণ হয়ে যায়, তাই গ্লো ফিরে পেতে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার বেশি করে খান| পালং শাক, স্ট্রবেরি, বাদাম, গাজর, রাঙালু, আম, আখরোট আর ডিম-এ প্রচুর পরিমাণে এইসব ভিটামিন আছে তাই নিজের খাদ্য তালিকায় এসব খাবার রাখার চেষ্টা করুন|

নিয়মিত ত্বকে ম্যাসাজ করান আর ময়শ্চারাইজার লাগান: গর্ভাবস্থায় পেট, কোমর ময়শ্চারাইড থাকা উচিত| কিন্তু সাধারণত যে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করেন তা এই সময় লাগাবেন না| স্ট্রেচ মার্কস এর জন্য বিশেষ যে ময়শ্চারইজার পাওয়া যায় তা ব্যবহার করুন বা প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে পারেন| তিল তেল বা নারকেল তেল বা ক্যাস্টর অয়েলের মধ্যে যে কোনও একটা নিয়ে দিনে দু বার হাল্কা করে জায়গাগুলোতে লাগান |

নিয়মিত ত্বকের ওপরের মৃত কোষ দূর করুন: এতে নতুন কোষ তৈরি হয় আর রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দেয় ফলে স্ট্রেচ মার্ক হয় না | আপনি ড্রাই ব্রাশিং বা লুফা ব্যাবহার করতে পারেন এক্সফলিয়েট করতে|

ব্যায়াম করুন নিয়মিত: এই সময় যোগ‚ ব্যায়াম করা খুব দরকার তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিন এই ব্যাপারে| নিয়মিত এক্সারসাইজ করলে ত্বকের নমনীয়তা বাড়ে, রক্ত চলাচল বাড়ে আর শরীরে বেশি অক্সিজেন ঢোকে |

স্ট্রেচ মার্ক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা করুন| স্ট্রেচ মার্কস যখন গোলাপী বা লাল অবস্থায় আছে তখনই তা সারিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন| স্ট্রেচ মার্কের উপর ভাল করে নারকেল তেল লাগান| অনেক রকম ওষুধ আছে, তবে তা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তবেই ব্যবহার করুন|

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *