তেতাল্লিশ বছর আগেকার কথা। এখনকার মতো তখনও পুজো আসি আসি করছে, আকাশে শরতের সাদা মেঘের আনাগোনা। ১৯৭৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষাশেষি এরকমই একটি দিনে আকাশভাঙা বৃষ্টি নামল। চলল দিন তিনেক ধরে টানা। ওই তিন দিনের মধ্যে প্রায় হাজার মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে কলকাতার ওপরে। সবচেয়ে বেশি পড়েছে ২৭ সেপ্টেম্বর। পরদিন সকালে উঠে দেখি সারা শহর জলের তলায়। কাতারে কাতারে মানুষ জল ভেঙে চলেছে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে। কারও মাথায় যৎসামান্য সম্বল পোঁটলা বাঁধা, কেউ বুকে জড়িয়ে ধরে রেখেছে শিশু সন্তানকে, কেউ কোলে তুলে নিয়েছে পোষা কুকুরকে। মিছিলনগরী কলকাতায় এ-ও যেন এক হৃদয়বিদারক মিছিল।
দিন কয়েক পরে জল নামল, জীবন ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের দিকে এগোতে থাকল। ওই ক’টা দিন জমা জলই ছিল সবচেয়ে আলোচিত খবর। কিন্তু অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে হঠাৎই খবরের অভিমুখ আচমকা বদলে গেল। এক বিকেলে দূরদর্শনে প্রচারিত হল একটি বিশেষ সংবাদ- ভারতের প্রথম টেস্টটিউব বেবির জন্ম হয়েছে কলকাতায়! দিনটা ছিল ৩ অক্টোবর, ১৯৭৮।
দূরদর্শনের পর্দায় দেখা গেল তিনজনকে। উপস্থাপক পরিচয় করিয়ে দিলেন মধ্যমণি চিকিৎসক, বিজ্ঞানী তথা গবেষক ডাঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তাঁর দু’পাশে দুই সহযোগী- কলকাতার বিশিষ্ট স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সরোজকান্তি ভট্টাচার্য ও ক্রায়োলজিস্ট সুনীত মুখোপাধ্যায়। সুভাষবাবু জানালেন, কীভাবে তাঁদের রাতদিন এক করা পরিশ্রমের ফসল ফলেছে। নিতান্তই সাধারণ কিছু যন্ত্রপাতি, আর ওঁর ফ্ল্যাটের রেফ্রিজারেটর, ব্যাস! এই সামান্য কারিগরি সহায়তা সম্বল করে দীর্ঘ বারো বছর ধরে সন্তান কামনা করেও নিষ্ফল এক দম্পতির কোলে এসেছে ফুটফুটে কন্যা সন্তান, তাঁদের নিজেদেরই। ভারতের প্রথম টেস্টটিউব বেবি। হাসিমুখে সুভাষবাবু বললেন, তার নাম দেওয়া হয়েছে দুর্গা।
তখন সবেমাত্র জলে ডোবা কলকাতা দ্বীপের মতো মাথা তুলে জেগে উঠেছে, তাই মেয়েটির নাম বন্যা হতেই পারত। কিন্তু সুভাষবাবুর মনে হয়েছিল, যেহেতু দুর্গাপূজা আসন্ন, ভক্তের আবেদনে সাড়া দিয়ে সদ্যোজাত কন্যারূপে স্বয়ং দেবীই অবতীর্ণ হয়েছেন। এ তো দারুণ খবর! তার মাত্র মাস দুয়েক আগে ইংল্যান্ডে জন্ম হয়েছে পৃথিবীর প্রথম টেস্টটিউব বেবির। তাকে নিয়ে বিশ্বজুড়ে বিপুল আলোড়ন চলছে। তারই মধ্যে আমাদের এই গরিব দেশের গরিবতর শহরের অখ্যাত কয়েকজন গবেষক নিঃশব্দে এমন একটা যুগান্তকারী আবিষ্কার করে ফেললেন, কাকপক্ষীও টের পায়নি!

আমাদের বাড়িতে বিস্ময় আর উত্তেজনা দুই-ই বেশি ছিল। কারণ, এই প্রকল্পে ডাঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের অন্যতম সহযোগী, নামী গাইনোকলজিস্ট ডাঃ সরোজ ভট্টাচার্য ইন্টালি গভর্নমেন্ট হাউজিং এস্টেটে আমাদের ঠিক নীচের তলায় থাকতেন। আসা-যাওয়ার পথে টুকটাক কথাবার্তা হয়েছে, কিন্তু ওই সম্পর্কে কিছুই বলেননি। আসলে সুভাষবাবু নিজেও জানতেন না, তাঁর পরীক্ষা কতটা সফল হবে। তাই পুরোপুরি সফল না হওয়া পর্যন্ত ব্যাপারটা গোপন রাখতে চেয়েছিলেন। তাছাড়া যাঁদের সন্তান টেস্টটিউব বেবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে, তাঁদেরও অনুরোধ ছিল গোপনীয়তা রক্ষার। আত্মীয়স্বজন ও সমাজের লোকজন এটাকে কীভাবে নেবে তাঁরা ঠিক বুঝতে পারছিলেন না। বিজ্ঞান জগতেই ব্যাপারটা পুরো নতুন। তখনও সারা পৃথিবীতে হয়নি বললেই চলে, ভারতে তো নয়ই।
তাই দুর্গা একেবারে সুস্থ সুন্দরভাবে জন্মানোর পর অত্যন্ত আনন্দিত হন এঁরা সকলে- দুর্গার বাবা-মা প্রভাত আগরওয়াল আর বেলাদেবী, ডাক্তার সুভাষ মুখোপাধ্যায়, ডাক্তার সরোজ ভট্টাচার্য ও ডাক্তার সুনীত মুখোপাধ্যায়। তাঁরা আশা করেছিলেন, দেশ তাঁদের এই আবিষ্কার লুফে নেবে। তাই ডাক্তার মুখোপাধ্যায় কলকাতায় একটা সাংবাদিক সম্মেলন ডাকলেন। সেখানে শহরের নামী চিকিৎসকদের আমন্ত্রণ জানানো হল। তাঁদের সামনে সুভাষবাবু তাঁর গবেষণার নানা দিক ব্যাখ্যা করবেন, কারও কোনও প্রশ্ন থাকলে উত্তর দেবেন। গোটা প্রক্রিয়া সম্পর্কে যাতে কোনও সন্দেহ না থাকে, সেটা শতকরা একশো ভাগ নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন তিনি।
ভুল বুঝেছিলেন। বাঙালি তো কাঁকড়ার দল। প্রাথমিক হতভম্ব ভাব কাটিয়ে তারা কাঁকড়াপনায় সক্রিয় হয়ে উঠল। প্রচণ্ড ঈর্ষায় তাদের বুক ফেটে যাচ্ছিল। সুভাষ মুখোপাধ্যায় যখন ‘ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন’ বা ‘আইভিএফ’ প্রক্রিয়া সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য ব্যাখ্যা করছেন, তখন কিছু বয়স্ক আপাত সম্ভ্রান্ত ডাক্তার ঘরের মধ্যে খোলাখুলি বেড়াল কুকুরের ডাক ডাকতে লাগলেন, হাততালি দিতে লাগলেন ব্যঙ্গ করে এবং গবেষণা নিয়ে যাতে তিনি কিছু না বলতে পারেন সেটা সুনিশ্চিত করার সবরকম ব্যবস্থা করতে লাগলেন। ওই ডাক্তারদের পেটোয়া কিছু সাংবাদিক পরেরদিন খবরের কাগজে নানাভাবে সুভাষবাবুর এই আবিষ্কারকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করলেন। তাঁকে হাস্যাস্পদ করে তুললেন।
এতেও শেষ হয়নি। তদানীন্তন বামফ্রন্ট সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও তাঁদের তাঁবেদার আমলারা ওঁর আবিষ্কার ঠিক কিনা, তা জানতে অনুসন্ধান কমিটি বসালেন। কমিটির সকলেই নানান ক্ষেত্রের ডাক্তার, কিন্তু তাঁদের কারও বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসার ব্যাপারে কোনও ধারণাই ছিল না। ফলে যা হবার তাই হল। তাঁরা রায় দিলেন, বোগাস গবেষণা! সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের সাফল্যের দাবি ভিত্তিহীন। আর নেকড়ের দল তো এই সুযোগের অপেক্ষায় ছিলই।

কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা ঝাঁপিয়ে পড়ল। ডাক্তার মুখোপাধ্যায়ের ওপর ফতোয়া জারি হল, তিনি কলকাতায়, পশ্চিমবঙ্গে, আর ভারতেই শুধু নয়, বিশ্বের কোনওখানে কোনও পত্রপত্রিকায় তাঁর এই আবিষ্কার নিয়ে কিছু লিখতে পারবেন না, কোথাও কোনও বক্তৃতা দিতে পারবেন না। জাপানের বৈজ্ঞানিক মহল তাঁর কথা শোনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। সরকার অনুমতি দিল না। সুভাষ মুখোপাধ্যায় জানতে চাইলেন, কেন? কোনও জবাব নেই। সুভাষবাবু অনুরোধ করলেন বাঁকুড়া থেকে তাঁর গবেষণার কাজ চালাতে অসুবিধার জন্য তাঁকে অন্তত কলকাতায় বদলি করা হোক! কিন্তু না। তাঁকে বাঁকুড়াতেই রেখে দেওয়া হল এবং আস্তে আস্তে ডাক্তার সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের নাম এই আবিষ্কারের ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা হতে লাগল। চক্রান্তকারীরা এতটাই সফল হল যে, ভারতের প্রথম নলজাতিকা হিসেবে দুর্গাকে স্বীকৃতিই দেওয়া হল না।
চূড়ান্ত লাঞ্ছনা, অপমান ও অবজ্ঞার শিকার হয়ে ডাক্তার সুভাষ মুখোপাধ্যায় ১৯৮১ সালে আত্মহত্যা করলেন। তখন তাঁর বয়স মাত্র পঞ্চাশ। আরও কত বছর আরও কত কী তাঁর দেওয়ার ছিল, কিন্তু আর তিনি এই বঞ্চনার সঙ্গে যুঝতে পারলেন না। এখন মনে হয়, কলকাতার স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ না হয় পসার হারানোর ভয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ওঁকে অপমান করেছেন, ওঁর আবিষ্কারকে মিথ্যা প্রমাণের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু রাজ্য সরকার কেন এমন করল? সেটা আজও দুর্বোধ্য রয়ে গিয়েছে। ওঁর যে আবিষ্কারকে মদত দিয়ে রাজ্য সরকার সারা পৃথিবীতে কৃতিত্ব দাবি করতে পারত, তারা কেন এভাবে নিজেদেরই পায়ে কুড়ুল মারল, কেউ জানে না। তবে তখন থেকেই সিপিএমের প্রতি ঘৃণাবশত কিছু শিক্ষিত বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিলেন। ডাক্তার সরোজ ভট্টাচার্য এরপর বাড়ি বদলে অন্যত্র চলে যান। কিন্তু সুভাষবাবুর অপমান তো তাঁরও অপমান ছিল! ওই অতবড় নামী মানুষটিকে আমি ছোটদের মতো ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে দেখেছি।

পরিস্থিতি দেখে ভয় পেয়ে দুর্গাকে নিয়ে তার বাবা-মাও কলকাতা ছেড়ে অন্য শহরে অজ্ঞাতবাসে চলে যান। মানুষ কালের নিয়মে আস্তে আস্তে ওই ঘটনা ভুলতে থাকে। শুধু ভুলতে পারেননি ডাঃ সুনীত মুখোপাধ্যায়। তিনি সুভাষবাবুর কীর্তি প্রচারের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন। দুর্গার জন্মের আট বছর পরে, তামিলনাড়ুর টিসি আনন্দকুমার নামে আর এক গবেষক-জীববিজ্ঞানী একটি নলজাতকের জন্ম দেন। নাম, হর্ষ। ওঁকে নিয়ে কিন্তু যেমন হওয়ার কথা, তেমনই হৈচৈ পড়ে যায়। ভারতের বৈজ্ঞানিক মহল ও সরকার, হর্ষকে ভারতের প্রথম নলজাতকের স্বীকৃতি দেয়। ওই সময় ডাঃ সুনীত মুখোপাধ্যায় ডাঃ কুমারের হাতে সুভাষবাবুর লেখা ডায়রিটি তুলে দেন। সেটি পড়ে কুমার জানতে পারেন, তাঁর থেকে আট বছর আগেই ভারতের প্রথম টেস্টটিউব বেবির জন্মদানের কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন ডাঃ মুখোপাধ্যায়।

ডাঃ কুমার ইচ্ছে করলেই পুরো কৃতিত্ব আত্মসাৎ করতে পারতেন। সে সুযোগও তাঁর ছিল। কিন্তু তা না করে তিনি সময় নিয়ে সব সাক্ষ্যপ্রমাণ জোগাড় করলেন, তারপর ডাঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের স্বীকৃতির দাবি পেশ করলেন ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ’, ‘আইসিএমআর’-এর কাছে। এবারে আর বাগড়া দেওয়ার কেউ ছিল না। সুতরাং ভারতীয় চিকিৎসা বিজ্ঞান পরিষদ স্বীকৃতি দিল। সরকারও স্বীকার করে নিল, সুভাষ মুখোপাধ্যায়ই ভারতে বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসার পথিকৃৎ এবং দুর্গাই ভারতের প্রথম নলজাতিকা। এতদিনে ডাঃ সুনীত মুখোপাধ্যায়ের গুরুপ্রণাম সার্থক হল।
এরই মধ্যে সাহিত্যিক রমাপদ চৌধুরী সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের চরিত্রের আদলে উপন্যাস লিখলেন ‘অভিমন্যু’। অর্জুনপুত্র সেই বীর তরুণ, সম্মুখ সমরে এঁটে উঠতে না পেরে কৌরবপক্ষের মহারথীরা যাকে চক্রব্যুহের ফাঁদে ফেলে খুঁচিয়ে মেরেছিল। ওই কাহিনি অবলম্বনে তপন সিংহ হিন্দিতে ছবি করেন- ‘এক ডক্টর কি মওত’। সেটি মুক্তি পেল সুভাষবাবুর মৃত্যুর এক দশক পরে। সারা ভারতে সাড়া জাগানো সেই ছবি আর সেই সঙ্গে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কথা আবার নতুন করে আলোচনায় উঠে এল। আরও কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছে ওই কয়েক বছরের মধ্যে। দুর্গা তার অজ্ঞাতবাস ছেড়ে বেরিয়েছে। পঁচিশ বছরে পা দিয়ে সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাটিয়ে সে জানিয়েছে, তার বাবা-মায়ের দেওয়া নাম কানুপ্রিয়া, ডাকনাম দুর্গা। তার জন্মের জন্য ডাঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের নাম কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে সে।

নব্বই বছর আগে তখনকার বিহারের হাজারিবাগে জন্মেছিলেন সুভাষ। এখনকার ঝাড়খণ্ড সরকার কৃতী ভূমিপুত্রের স্মরণে সেখানে তাঁর একটি প্রমাণ আকৃতির মূর্তি স্থাপন করেছে। ডাক্তার সুভাষ মুখোপাধ্যায় ছিলেন নীলরতন সরকার হাসপাতালের গাইনোকলজি ডিপার্টমেন্টে। দীর্ঘকাল তিনি এবং পরবর্তীকালে বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসায় খ্যাতনামা ডাক্তার বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী একইসঙ্গে টেস্টটিউব বেবি নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন। হঠাৎই স্বাস্থ্য দফতর ডাঃ মুখোপাধ্যায়কে বাঁকুড়ায় আর ডাঃ চক্রবর্তীকে শিলিগুড়িতে বদলি করে দেওয়ায় টানা গবেষণার কাজ করা অসুবিধে হয়ে যায়। তাও প্রতি সপ্তাহান্তে কলকাতায় এসে তাঁরা গবেষণা চালিয়ে যেতেন। তার পর সুভাষ মুখোপাধ্যায় দুর্গাকে সৃষ্টি করলেন। ওই ‘আইভিএফ’ প্রক্রিয়াতেই ডাঃ বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী এ পর্যন্ত চার হাজারেরও বেশি টেস্টটিউব বেবির জন্ম দিয়েছেন। আমি কয়েক বছর আগে আনন্দবাজারে একটা খবর করতে গিয়ে ওঁর অফিস ঘরে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ছবি টাঙানো দেখেছি।
আর এক বিখ্যাত গাইনোকলজিস্ট গৌতম খাস্তগীর এখনও সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিরক্ষার্থে নিরলস প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রদের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই সেদিন এনআরএস কলেজে সুভাষবাবুর একটি আবক্ষ মূর্তি বসিয়েছে। এইভাবে রাজ্যের এক সরকারের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করল আর এক সরকার। ওই মূর্তির উদ্বোধন করলেন কানুপ্রিয়া ওরফে দুর্গা, আর তাঁর বাবা প্রভাত আগরওয়াল। পৃথিবী আরও একটা কথা মেনে নিয়েছে, ডাক্তার সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের আবিষ্কৃত ‘ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন’, মানে ‘আইভিএফ’ই বন্ধ্যাত্ব মোচনে আজ পর্যন্ত সবচেয়ে সহজ, শস্তা ও নিরাপদ প্রক্রিয়া।
*ছবি সৌজন্য: লেখক
দুই পুরুষের সাংবাদিক দীপংকর চক্রবর্তীর চার দশকের পেশাগত জীবনের শুরু ও শেষ আনন্দবাজার পত্রিকায়। মাঝে এক দশক বেতার সাংবাদিকতা জার্মানিতে ডয়চে ভেলে, আর ওয়াশিংটন ডিসিতে ভয়েস অফ আমেরিকায়। প্রিন্ট মিডিয়া থেকে অবসর নিলেও মাল্টিমিডিয়ায় এখনও পুরোপুরি সক্রিয়। করেছেন বই সম্পাদনার কাজও। দেশে বিদেশে তাঁর অভিজ্ঞতার ভাণ্ডারও বিচিত্র ও চিত্তাকর্ষক।
যতবার ডঃ সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কথা পড়ি মনটা এখনো ৺কেদে ওঠে। এতবড় একজন মহান বিজ্ঞানীকে বুঝতে পারলেন না এই শহরের কিছু মানুষ!