দীপ বদ্ধপরিকর ছিল ও টুকবেই। কিন্তু কী ভাবে টুকবে সেটা জানত না। অনেক বোঝানো হল ওকে, যে টোকাটুকি একটা শিল্প। সবার দ্বারা এই শিল্প হয় না। আর কত যে পদ্ধতি আছে টুকলির, সে তো হাতে গুণে শেষ করা যায় না। আমাদের ক্লাসের শুক্লা সারা বছর সালোয়ার কামিজ পরে কলেজে এল। পরীক্ষার সময় হঠাৎ দেখি স্কার্ট পরে এসেছে। মুক্ত দেশের নারীকুলের মন থেকে গোঁড়ামি অবশেষে বিদায় নিচ্ছে ভেবে বেশ পুলক জেগেছিল! আমার পুলকের পরিমান দেখে ববি-ইন্দ্রাণীরা গম্ভীর হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পুলকের বেলুন ফুটো হয়ে নেতিয়ে পড়ল যখন জানতে পারলাম শুক্লা তার থাইতে উত্তর লিখে এনে টুকলি করেছে। স্কার্ট ছিল তার “ইউটিলিটি ড্রেস”… সালোয়ার কামিজ যে ইউটিলিটি তাকে কোনওদিন দেয়নি।

আমাদের কলেজের মেন্‌স রুমে (প্রস্রাবাগার লিখলাম না, কারণ তাতে কেমন সুলভ-সুলভ গন্ধ) বেশি জল জমে থাকে, না হেদুয়ার বেবি পুলে- এ নিয়ে প্রায়শই তর্ক লেগে যেতো। অর্থনীতি পরীক্ষার সময় একদিন সেই মেন্‌স রুমে হালকা হতে গিয়ে দেখি মিজোরাম থেকে আসা ডেভিড হাঁটু জলে দাঁড়িয়ে ইংরেজি খবরের কাগজ পড়ছে। এইরকম জ্ঞান-পিপাসু একজন আমার বন্ধু দেখে গর্বে বুক ভর্তি নিঃশ্বাস নিয়ে দম চেপে কোনওমতে তার পাশে গিয়ে উঁকি মারলাম। দেখার ইচ্ছে, পরীক্ষার হল ছেড়ে এইখানে দাঁড়িয়ে ও কী পড়ছে। ডেভিড ইশারায় দেখাল খবরের কাগজে কলকারখানার বিকেন্দ্রীকরণের ওপর এক নিবন্ধ। মনে পড়ে গেল, পরীক্ষায় এর ওপর একটা প্রশ্ন এসেছে! বস্তুত, পরীক্ষার সময় এই মেন্‌স রুম একটা বিভাগীয় লাইব্রেরি হয়ে যেত। চিপুর দোকানেও কোনও বিষয়ের ওপর অত বই থাকে না যা মেন্‌স রুমে থাকে, কারণ ওই বিকট দুর্গন্ধ আর হাঁটু পর্যন্ত জমা “জল”-এর মধ্যে বয়স্ক অধ্যাপকরা যেতে সাহস পাবেন না। সে যাই হোক, ডেভিডকে ইশারায় জিজ্ঞাসা করলাম, ও বইয়ের সাহায্য নিচ্ছে না কেন? ইঙ্গিতে জানাল, বইয়ের কোন জায়গায় উত্তর খুঁজে পাবে ও জানে না। তাই খবরের কাগজ পড়ছে।

কলেজের সিনিয়র পার্থদা টুকতে গিয়ে ধরা পড়ল চোতা-সমেত। পার্থদা ইনভিজিলেটরের হাত থেকে চোতা ছিনিয়ে নিয়ে কচমচ করে চিবিয়ে গিলে নিয়ে ইনভিজিলেটরকে চ্যালেঞ্জ করেছিল- “প্রমাণ করুন আমি টুকেছি!”

এইসব ক্ষণজন্মা প্রতিভার পাশে দীপ! হতে পারে দীপ খুব দায়িত্ববান ছেলে- কলেজের রাজনীতি থেকে পাড়ার সামাজিক দায়িত্ব সব ছেড়ে নিজের পড়াশুনা করার মতো দায়িত্বজ্ঞানহীন সে নয়। তাই সারাবছর পড়েনি। কিন্তু পাশের ছেলের খাতা থেকে উঁকি মেরে দেখে নেওয়া তো পাপ নয়! সেটা তো পরীক্ষার দস্তুরের মধ্যেই পড়ে। সেটা করতে তো কেউ মানা করছে না! তখন জানা গেল দীপের দুই পাশে এমন দুই জ্ঞানী পুরুষ বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন, তাঁদের প্রতি বছর শুধু ক্লাসে পরীক্ষা দিতে দেখা গিয়েছে গত কয়েক বছর ধরে। এই রোল নম্বরগুলো শিক্ষকেরাও এড়িয়ে যান ক্লাসের হাজিরা নেওয়ার সময়। এঁরা কলেজে কোনওদিনই আসেন না। বিলু আর আমার যদি ওই ঘরে সিট পড়ত তাহলে দীপ এত মরিয়া হয়ে উঠত না টুকলি করার জন্যে! আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ে খেলে দিত। কিন্তু ঘটনাচক্রে বিলুর আর আমার অন্য ঘরে সিট পড়েছে। “টুকলি তো সেই জ্ঞান হওয়া ইস্তক চলছে!তখন তো হাতে ধরে টুকতে শেখানো হয়! বাবা-বাছা করা হয়, হাততালি দেওয়া হয়। আর পরীক্ষায় টুকলেই দোষ?” – গোছের দার্শনিক মতামতে বিভ্রান্ত না হয়ে বিলু আর আমি দীপকে বুঝিয়েছিলাম নির্দিষ্ট একটা সময়ে আমাদের কেউ একজন টয়লেটের নাম করে বেরবো- দীপ সেই সময় একবার যেন বের হয় একই অজুহাতে- সাধ্যমতো ওকে সাহায্য করে দেব। এক ঘণ্টা পরে আবার আমাদের একজন একই অজুহাতে বের হব, দীপ যেন সেই সময় আর একবার হল থেকে বাইরে আসে। সব পরীক্ষাগুলো এই ছকে সুন্দর ভাবে উৎরে দীপ ফাঁসল শেষ পরীক্ষার দিন।

নির্দিষ্ট সময়ে বিলু ক্লাসের বাইরে গেল। ফেরত এসে জানাল দীপদের ঘরে ভাইস প্রিন্সিপাল গার্ড দিচ্ছেন, তিনি দীপকে টয়লেট যেতে দেননি। উল্টে দীপকে জিজ্ঞাসা করেছেন ওর সুগার আছে কিনা! কারণ ওঁর কাছে নাকি খবর গিয়েছে রোজ নির্দিষ্ট দুটো সময়ে দীপ টয়লেট গিয়েছে। এক ঘণ্টা বাদে আমি ক্লাস থেকে বেরলাম। দীপদের ঘরের দরজার কাছে এসে দেখি সে সতৃষ্ণ নয়নে দরজার দিকে চেয়ে আছে। আমাকে দেখেই লাফিয়ে উঠে ক্লাস থেকে বেরনোর অনুমতি চাইল। ভাইস প্রিন্সিপাল স্যার একবার ঘড়ি আর একবার দরজার দিকে তাকিয়ে আবেদন নাকচ করে দিলেন। খানিক বাদে আমি যখন ফিরছি, দেখি দীপদের ক্লাসে খুব হট্টগোলের আওয়াজ- উঁকি মেরে দেখি দীপ ধরা পড়েছে।

নিজের ক্লাসে ফেরত এসে উদ্বেগ না-লুকোতে পেরে বেশ জোরেই ঘোষণা করলাম “বিলু রে! দীপ ধরা পড়েছে!” আমাদের ঘরের ইনভিজিলেটর স্যার বিরক্ত হয়ে হাঁক দিলেন “সাইলেন্স!” কিন্তু কোথায় সাইলেন্স! বিলু ততক্ষণে পকেট থেকে নস্যির ডিবে বার করে বিকট আওয়াজ করে দুই নাকে এক টিপ করে নস্যি দিয়ে হাঁক দিলো “সে কী রে!” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য পরীক্ষার আগে কোনও মহাপুরুষের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে বিলু ঘুম তাড়ানোর জন্যে নস্যি নিত- ঘুম তো যেতোই না… বরং হেঁচে হেঁচে ক্লান্ত হয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ত। ইনভিজিলেটরের পক্ষে এতটা হজম করা কঠিন হয়ে পড়ল। তিনি এসে বিলুর খাতা নিয়ে নিলেন। এক প্রবল প্যান্ডেমনিয়ামের মধ্যে কাকুতি মিনতি করে খাতা ফেরত নিয়ে কোনও মতে পরীক্ষা শেষ করে আমরা দুই মক্কেল বেরলাম সরেজমিন তদন্তে।

ততক্ষণে দীপকে প্রিন্সিপালের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাইরে থেকে শুনি প্রিন্সিপাল চেঁচাচ্ছেন “চুরি করতে লজ্জা লাগে না!”আর তার চেয়েও জোরে দীপের গলা শোনা যাচ্ছে “আমি চোর নয়। টুকলি চুরি নয়। আর আমি টুকলি করিনি।” প্রিন্সিপালের ঘরে তখন ছাত্র সংসদের নেতারা একবার দীপকে চুপ করানোর চেষ্টা আর একবার প্রিন্সিপালকে শান্ত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে নিরূপায় ভাবে। সুড়ুৎ করে আমরা দুজন প্রিন্সিপালের ঘরে ঢুকে পড়ে একটা আলমারির ফাঁকে আশ্রয় নিয়ে ঠিক কী হয়েছে জানার চেষ্টা করলাম। দীপ নাকি চোতা নিয়ে ধরা পড়েছে- কিন্তু ও তো চোতা বানালে আমরা জানতাম! তাহলে কেসটা কী? নেতারা প্রিন্সিপালকে অনেক বোঝাতে উনি একটু নরম হয়ে ঘোষণা করলেন যে দীপকে সাসপেন্ড করছেন না এই কড়ারে যে, দীপের গার্জেনকে স্যারের সাথে দেখা করতে হবে।

বিমর্ষ মুখে দীপ প্রিন্সিপালের অফিস থেকে বেরিয়ে বলল গার্জেন কলের চেয়ে সাসপেন্ড হওয়া ভালো ছিল- ওর বাবা নাকি জানতে পারলে ওকে খুন করে ফেলবেন। দীপকে চেপে ধরতে জানা গেল আসল গল্প। আমার ইশারায় ক্লাস থেকে না বেরতে পেরে যখন দীপ ভাবছে ওর পাশ করার সব আশা শেষ, হঠাৎ ওর চোখে পড়ে ওর পাশে বসা জ্ঞানী পুরুষ পকেট থেকে একটা কাগজ বার করে লিখছেন। দীপ সেটা চাইতে সেই মহাজ্ঞানী দীপের হাতে কাগজটা দেয়। দীপ কাগজটা পকেটে রেখে সবে লিখতে শুরু করেছে, ভাইস প্রিন্সিপাল স্যার এসে পকেট থেকে উঁকি মারা কাগজটা চান। দীপ সেই কাগজটা থেকে এক লাইনও লেখার সুযোগ পায়নি তখনও- কিন্তু কী করবে? কাগজটা স্যারের হাতে তুলে দেয়। আর স্যার কাগজটা হাতে নিতেই কাগজটা ফৎফৎ করে লম্বা হতে শুরু করে আর এক বিশাল লম্বা চোতার আকার নেয় যাতে গোটা সিলেবাসটাই লেখা আছে। ভাইস প্রিন্সিপাল এই অনন্য কুটিরশিল্প দেখে বাক্‌রুদ্ধ হয়ে দীপকে সটান প্রিন্সিপালের অফিসে চালান করেন। দীপ তাঁকে হাতের লেখা মেলাতে অনুরোধ করলে তিনি বলেন যে এই চমকপ্রদ কুটীরশিল্প যে বানাতে পারে, হাতের লেখা বদল তার বাঁ হাতের কাজ!

এতক্ষণে দীপ শান্ত হয়ে গার্জেন কলে বাবার জায়গায় কাকে দিয়ে প্রক্সি দেওয়ানো যায় সেই চিন্তায় মন দিয়েছে। ওদের পাড়ার নলিনদা এক নামী গ্রুপের নাটকে পর্দা টানত আর ক্রাউড সিনে অভিনয় করতো তাই ওকে নলিনদা’র কথা মনে করাতেই এক্কেবারে খেঁকিয়ে উঠলো – “ওই রকম অশিক্ষিত বাবা দিয়ে কাজ চলবে না! আমার বাবা অশিক্ষিত নাকি!” অনেক ভেবেও কোনও বাবা না পেয়ে ঠিক হল ওর এক দাদাকে নিয়ে যাওয়া হবে গার্জেন হিসেবে। অগতির গতি আমার প্রাক্তন গৃহশিক্ষক পোড়খাওয়া জেল-খাটা প্রাক্তন নকশাল নেতা রাজাদার শরণাপন্ন হলাম। রাজাদা দেখলাম বেশ প্রফেশনাল- এক কথায় রাজি হয়ে গেলেন।

রাজাদা নির্দিষ্ট দিনে দীপকে সঙ্গে নিয়ে প্রিন্সিপালের ঘরে ঢুকলেন। আর প্রিন্সিপালের অভিযোগ শুনে সেখানেই দীপকে ঠাঁটিয়ে এক থাপ্পড় মারলেন। হতভম্ব প্রিন্সিপালের সামনে দীপের চুলের মুঠি ধরে দীপকে আরও মারতে উদ্যত হলে প্রিন্সিপাল ঝাঁপিয়ে পড়ে দীপকে উদ্ধার করেন আর দীপের হয়ে রাজাদার কাছে ক্ষমা চান এই বলে যে “বাচ্ছা ছেলে- একটা ভুল করে ফেলেছে- আপনি কথা দিন আর মারধোর করবেন না ওকে!” পরে বউদির চায়ের দোকানে চা খেতে খেতে আমাদের সামনে দীপ রাজাদার কাছে থাপ্পড় নিয়ে অনুযোগ জানাতে রাজাদা বলেছিলেন “একে বলে ন্যাচারাল অ্যাক্টিং- আর্ট ফিল্ম তো দেখো না! আর টুকলি করে তো একটা অন্যায় করেছিলে- তাই না!”

পেশার তাগিদে সার্ভিস সেক্টর বিশেষজ্ঞ, নেশা আর বাঁচার তাগিদে বই পড়া আর আড্ডা দেওয়া। পত্রপত্রিকায় রম্যরচনা থেকে রুপোলি পর্দায় অভিনয়, ধর্মেও আছেন জিরাফেও আছেন তিনি। খেতে ভালোবাসেন বলে কি খাবারের ইতিহাস খুঁড়ে চলেন? পিনাকী ভট্টাচার্য কিন্তু সবচেয়ে ভালোবাসেন ঘুমোতে।

21 Responses

  1. Pinaki da believe me ami aaj opdi aro boro bangla lekha pori ni but ETA porlam because it’s related to my most dearest darling brother cum friend Deep da. Just puro visualize korlam ak ak ta muhurto ,just too good Pinaki da ki bhalo sorol lekha tomar ..I am just happy reading this just too good Pinaki da

  2. আহা, কী যে সব দিন! ম্যাথস অনার্সের পার্ট ওয়ান সিট পড়েছিল ডানলপে বিকেসি-তে… আমার লুজ শিট সামনের বেঞ্চে সৌরভের কাছে, সৌরভেরটা আমার কাছ থেকে পেছনের বেঞ্চে… আমির খানের থ্রি ইডিয়টস তখন বছর ১৫ দূরের ভবিষ্য… হঠাৎ পরপর তিনটে বেঞ্চ থেকে একগাদা খাতা পড়ে গেল মাটিতে, খাতা জমা দিতে তখন মিনিট দশেক… কী ফূর্তিতে যে যার খাতা লুজ-শিট মিলিয়ে তুলে নিয়েছিলাম, মনে পড়ল… 🙂
    দীপের গল্পগুলো এভাবেই লিখে চলুন স্যর, সব আমাদের পরিষেবা সীমানার মধ্যেই থাকবে, ‘গ্রান্টি’ … 🙂

  3. দুর্দান্ত লেখা। আমার মতন আরো আরো অনেক মধ্যবয়স্ক সংসারী মানুষের অতীতের সুখস্মৃতিকে উস্কে দিয়ে অনাবিল আনন্দের সন্ধান দেবে এই স্মৃতিচারণ। বড্ড ভালো লাগলো দাদা। আরো চাই, আরো আরো চাই।

  4. অসম্ভব সুন্দর । দারুন হয়েছে । খুব মনে পড়ে দীপকে, বিলু কে । কি দারুন সব দিনগুলো ছিল । তোমার লেখাতে পুরনো দিনগুলো কিচ্ছুক্ষণের জন্য ফিরে পেলাম । অনেক ধন্যবাদ ।

  5. অসাধার। কলেজ জীবনের জ্যান্ত ছবি। হয়তো দীপ কে আর তোকে দুজনকেই খুব কাছ থেকে চিনি বলে একটু বেশীই একাত্ম হয়ে গেছি।
    এরকম আরও অনেক এপিসোডেরঅপেক্ষায় রইলাম।

  6. কি অসাধারণ লেখা!!! . মনে হলো কলেজ জীবনের কোনো পরীক্ষার হলের কিছু মুহূর্ত চোখের কোণে ভাসছে… জীবনের এই প্রান্তে এসে পুরোনো স্মৃতি গুলি সুন্দর মিষ্টি সুরে বাজিয়ে গেলো… সব কাহিনী যদিও এক তবু মনে হলো এ যেনো এক অন্য ধারায় বয়ে গেলো…. ভালো লাগলো… এ রকম আরও লেখা পাবো আশা করি, ভালো থাকবেন, ভালো রাখবেন

  7. কি অসাধারণ লেখা!!! কলেজ জীবনের কোনো পরীক্ষার হলে বসে আছি… চোখের সামনে ভাসছে অনেক স্মৃতি… একে একে চেনা চরিত্র গুলো কথা বলছে…. মনে হচ্ছে এই তো সেদিনের কথা… না সেই দিনের নয়, জীবনের এই প্রান্তে এসে স্মৃতি গুলো মিষ্টি গন্ধে বর্ণ-এ ভরিয়ে দিলো…. যদিও কাহিনী এক তবু এ কাহিনী অন্য মাত্রা পেলো…. খুব ভালো লাগলো আপনার লেখা, আরও লেখা পাবো আশা করি… ভালো থাকবেন, ভালো রাখবেন

  8. কি অসাধারণ লেখা!!! . মনে হলো কলেজ জীবনের কোনো পরীক্ষার হলের কিছু মুহূর্ত চোখের কোণে ভাসছে… জীবনের এই প্রান্তে এসে পুরোনো স্মৃতি গুলি সুন্দর মিষ্টি সুরে বাজিয়ে গেলো… সব কাহিনী যদিও এক তবু মনে হলো এ যেনো এক অন্য ধারায় বয়ে গেলো…. ভালো লাগলো… এ রকম আরও লেখা পাবো আশা করি, ভালো থাকবেন, ভালো রাখবেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *