কবি দীপক রায়ের লেখা ‘দূরের বন্ধু শম্ভু রক্ষিত’ বই হিসাবে প্রকাশিত হয়েছে কিছুদিন আগে। বইটির প্রকাশক আদম। এর আগে ‘শতানীক’ পত্রিকায় কবি শম্ভু রক্ষিতকে নিয়ে এই দীর্ঘ লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে। সম্পাদক একে উপন্যাস বলেছেন বটে, কিন্তু একে উপন্যাস নাকি দীর্ঘ মেমোয়ার বলা যাবে, সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে। রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের লেখা পড়ে জানা গেছিল যে, একটি উপন্যাসে সত্যিকারের জীবন্ত চরিত্র থাকলে তাকে ‘রোম অ ক্লেফ’ বা চাবিসমেত উপন্যাস বলা যেতে পারে। উপন্যাস যেখানে চরিত্র, কাহিনি ও তার নির্মাণে নিয়ে আসে ঘটনার উত্তুঙ্গ অভিঘাত, সমস্যা বা সমস্যার অবতরণ, এই লেখাটি কিন্তু সেসবের দিকে যায় না। বরং বাংলা ভাষার একজন গুরুত্বপূর্ণ কবির জীবন-কাব্য অভিঘাতের চিত্র নির্মাণ করে। লেখাটি একজন কিংবদন্তী কবিকে চরিত্র ভেবেছে আর লেখক হয়েছেন তাঁর ‘দূরের বন্ধু’। ফলে এটি যে শম্ভু রক্ষিতের জীবন এবং তাঁর কবিতা নিয়ে একটি খুবই উল্লেখযোগ্য কাজ হবে, এই বিষয়ে  সন্দেহ নেই। 

লেখাটি কবি শম্ভু রক্ষিতের উপর একটি মরমী আলো ফেলে রাখে। এক আশ্চর্য মায়াভরা দৃষ্টিকোণ থেকে লেখক তাঁর বন্ধুকে দেখতে চাইছেন। কবি দীপক রায়ের কবিতা যাঁরা পড়েছেন, তাঁরা জানেন এক অনন্য সহজতার সাধনা তিনি করেছেন সারা জীবন। এইটুকু সহজ সত্যিকার অর্থে এত অসামান্য, যে তা অর্জন করা খুব সহজ নয়। বস্তুত জীবন জীবিকা আর আমাদের বেঁচে থাকা যেখানে জটিল থেকে জটিলতর হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তার স্তর ও স্তরায়নের চাপে আমরাও হারিয়ে যাচ্ছি জটিলতার যন্তরমন্তরে, সেখানে সহজতার সাধনা হতে পারে এই সভ্যতার নিরুপম আশ্রয় ও নিরাময়। যদিও কবি দীপক রায়ের প্রথম কাব্যগ্রন্থের একটি বিশেষ অংশে এক ধরনের অন্ধকার হাসি আর স্যাটায়ার লক্ষ্য করা যায়, তবু লেখায় তিনি ক্রমে নীরবতার দিকে এসেছেন। শব্দে, নৈশব্দ্যে আর সহজতার এই সাধনা সমকালীন কবিদের থেকে তাঁকে স্বতন্ত্র করেছে।

Young Shambhu Rakshit
শম্ভু রক্ষিত ছিলেন একজন মুশকিল-পসন্দ কবি

শম্ভু রক্ষিত ছিলেন সত্যিকার অর্থেই একজন মুশকিল-পসন্দ কবি। অন্যদিকে দীপক রায়ের কবিতা যাত্রা করে সহজিয়া পথে। তা সহজ, কিন্তু তরল নয়। অথচ দীপক রায় শম্ভু রক্ষিতকে বুঝতে চান, জানতে চান। নিজের থেকে মেরুদূরত্বের একজনের অরোরা বোরিয়ালিস দেখতে চাওয়ার এই ইচ্ছে কিন্তু আমাদের অনেক কিছু শেখায়। শেখায় যে, কবি যে-পথেই হাঁটুন, সেই পথের কবিতা পড়া আর সে পথের কবিকে জানাই তাঁর আগ্রহের বিষয় হতে হবে, একথা অন্য কারোর কারোর ক্ষেত্রে সত্যি হলেও কেউ কেউ তো নিশ্চয়ই এই ভাবনার অনুবর্তী নন। ফলে পাঠকের আগ্রহ তৈরি হয় যে, কোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কবি দীপক রায় দেখতে চাইবেন তাঁর বন্ধু শম্ভু রক্ষিতের কবিতা আর কবিতাভাবনা। 

ব্যক্তিগত জায়গা থেকে গল্প বলতে বলতে চিঠি লিখতে লিখতে শম্ভু রক্ষিতের জীবনের সমস্ত ঘটনা কী জাদুবিদ্যায় এই বই ছুঁয়ে যায়, পাঠক বুঝতেই পারেন না। কারণ লেখক এখানে একেবারেই পান্ডিত্যের কোনও ভূমিকা রাখেননি, সামান্যজন হিসাবে নিজেকে কল্পনা করে তাঁর চন্দন দাসের বাড়ি যাওয়া, শম্ভু রক্ষিতের সঙ্গে বসন্ত কেবিনে দেখা হওয়া, সরকারি অনুদান নিতে অনুরোধ করা আর কবির সেই অনুরোধ ফিরিয়ে দেওয়া, জরুরি অবস্থার সময়ে কবি শম্ভু রক্ষিত কী ভূমিকা নিয়েছেন, তার কথা বলেছেন। এবং তার বিবরণ এমন ভাষায় লেখা হয়েছে, যে পড়তে পড়তে কখন যে ভিতরে প্রবেশ করেন পাঠক, তিনি নিজেও বুঝতে পারেন না। হিরে মোতি অলংকারের মতো নয় , বরং গ্রামের পুকুরে নিরভিমান একটি শালুকের সাধারণ সৌন্দর্য প্রকাশিত হয়েছে এখানে।

সঙ্গে কি শম্ভু রক্ষিতের ব্যক্তিগত জীবন নেই? তাও আছে। তাঁর বাড়ি, তাঁর সহধর্মিণী, তাঁর ভাই, একজন ছোট পত্রিকার সম্পাদক, কবি জ্যোতির্ময় দত্ত, কবি রমা ঘোষ। কীভাবে লেখক প্রমোদ বসুর একটি লেখা তুলে দু’জনের কথোপকথনের একটা অংশ তুলে দেন যা থেকে ‘প্রিয় ধ্বনির জন্য কান্না’ বইখানার নাম-ভাবনা কবির কাছে কেমন ছিল তা জানতে পারি:

“তোকে একটা বই দেব। ‘প্রিয় ধ্বনির জন্য কান্না’। বইটা ওকে ( রমা ঘোষ) নিয়ে লেখা। রমা আমার প্রিয়। তার কথা অর্থাৎ ধ্বনি আমার প্রিয়। তাই সে আমার প্রিয় ধ্বনি। তাই রমা ঘোষ মানে প্রিয় ধ্বনি। তার জন্য আমার কবিতা, মানে আমার কান্না।”

মুহূর্তে আমাদের আরও একটি কাব্যগ্রন্থের কথা মনে পড়ে যায়। ‘ফিরে এসো চাকা’ এবং কীভাবে ‘চাকা’ শব্দটি কবি conceive করলেন সেটাও। তবে এক্ষেত্রে কি রমা ঘোষের শিরোনামখানাও গুরুত্বপূর্ণ নয়? ‘ঘোষ’ শব্দটির অর্থ হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়-এর বানান অভিধানে পাচ্ছি- ধ্বনি, শব্দ। ফলে ‘চক্রবর্তী’ যেভাবে ‘চাকা’, ‘ঘোষ’ কি সেভাবে ‘ ধ্বনি’ হতে পারে না? এই ভাবনা রইল লেখকের কাছে। সে যাই হোক, এই অসামান্য কাব্যগ্রন্থ এবং সেটি প্রকাশিত হয়েছিল কত সালে, সেখানে কয়টি কবিতা ছিল এবং সেটি প্রকাশিত হওয়ার পর কীরকম প্রতিক্রিয়া হয়েছিল বিদ্যোৎসাহীজনেদের, তারও একটা সন্ধান পাওয়া যাবে এই বইয়ে। অর্থাৎ এই বইখানি যে শুধু মুগ্ধতার ছায়াপথ, তা কিন্তু নয়। এখানে তথ্য আর জীবনকৃতির অসামান্য বন্ধন হয়ে গেছে।

আর সেইসব একেবারেই শুকনো সংখ্যাতত্ত্বের ঢঙে নয়, এসেছে সুরসিক পরিবেশনায়। এইখানে বার্নার্ড শ-র ভাবনা মনে পড়বে আমাদের। তিনি ভেবেছিলেন, যে যদি কেউ তথ্য বা তত্ত্বের প্রাণান্ত কচকচিতে আগ্রহী না হন, তাহলে সেই সমস্তকিছু তিনি ‘sugercoat’ করে দেবেন। এই বইয়েও কী রসায়নে যে লেখক জীবন আর তথ্যগুলিকে মেশালেন সে আমাদের বিস্ময় উৎপাদন করে। কারণ বইখানা পড়ার শেষে তাকে আমরা আর আলাদা করতে পারি না। একটা রাসায়নিক পরিবর্তনের মধ্যে আমরা ভাবতে থাকি লেখাটি কি একটি তথ্যচিত্র, একটি ডকিউ-নভেল নাকি রোম অ ক্লেফ!!

Shambhu Rakshit
সঙ্গে কি শম্ভু রক্ষিতের ব্যক্তিগত জীবন নেই? তাও আছে

বইখানা কি একটা উত্তাল সময়েরও অভিজ্ঞান নয়? শম্ভু রক্ষিত, তাঁর ‘প্রিয় ধ্বনির জন্য কান্না’, ১৯৭০ সাল, ‘মহাপৃথিবী’র প্রকাশ, ১৯৭৫ সালে ২৬ জুন জরুরি অবস্থা ঘোষণা, কবির কারাবরণ, হাংরি আন্দোলন, সজল বন্দ্যোপাধ্যায়-পুষ্কর দাশগুপ্ত-দের ‘শ্রুতি’ নামে শাস্ত্রবিরোধী কবিতা আন্দোলনের পত্রিকা, কফি হাউস, ভাস্কর চক্রবর্তী, অরুণকুমার ঘোষ, কালীকৃষ্ণ গুহ, আলো-আঁধারের মধ্যে একা বসে থাকা বিনয় মজুমদার, গৌতম চৌধুরীর ‘অভিমান’, ‘পিলসুজ’ পত্রিকাটি ইত্যাদি। অন্যদিকে দ্রোণাচার্য ঘোষ। হুগলি জেল। ১৯৭১। দীপক রায় লিখেছেন “একদিকে হাংরি অন্যদিকে নকশাল প্রতিবাদের এই দুই প্রবাহের মধ্যে তার কাব্যসত্তার সূচনা হল।” এই সময়েই ‘কলকাতা’ পত্রিকার সম্পাদক জ্যোতির্ময় দত্ত-র সঙ্গে পরিচয়। জরুরি অবস্থা, লেখা সেন্সরশিপ হচ্ছে, লেখকের উপর রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ শুরু হয়েছে, এই সময়: 

 “জ্যোতির্ময় জানালেন সব বন্ধুরা যখন তাঁকে পরিহার করছে তখন এগিয়ে এলে শম্ভু। শম্ভু বলল– আমি আছি জ্যোতিদা…” 

প্রতিবাদে লেখকদের যৌথ বিবৃতিতে শম্ভু রক্ষিত স্বাক্ষর প্রদান করলেন এবং ‘কলকাতা’ পত্রিকাকে সরকারের তরফে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল। শম্ভু রক্ষিত নানা জায়গায় আত্মগোপন করে কাটালেন। এইসব ঘটনার তন্নতন্ন বিবরণ মিলবে এই বইয়ে। ফলে এই বই পড়তে গিয়ে একটি উত্তাল সময়ের দেখা পাওয়া যাবে। 

দারিদ্র ছিল শম্ভু রক্ষিতের চিরসঙ্গী। কিন্তু দারিদ্র কখনও প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়নি তাঁর কাজের, তাঁর পত্রিকা প্রকাশের, তাঁর বৈপ্লবিক চিন্তাভাবনার। জ্যোতির্ময় দত্ত অবাক হয়েছিলেন তাঁর আর্থিক পরিস্থিতি দেখে, তবু প্রকৃত অর্থেই এক বাউন্ডুলের জীবন যাপন করেছিলেন শম্ভু রক্ষিত, বহুবার স্টেশনেও রাত কাটিয়েছেন, বিপদেও পড়েছেন। দীপক রায় লিখেছেন: 

“‘হে দারিদ্র তুমি মোরে করেছ মহান’ — এমন কোনো দার্শনিক বারতা শোনা যায়নি তার মুখে। ব্যবহারে ঘুণাক্ষরেও প্রকাশ পেত না এসব। তবু শৈলেনদা (শৈলেনকুমার দত্ত, শ্রীরামপুর) মনে করেন দারিদ্র শম্ভুকে ক্রমশ নিস্পৃহ করেছে। আপাত রসিকতার আড়ালে সে এক আশ্চর্য মানুষ …”

Book by Deepak Ray
বইটিতে শম্ভু রক্ষিতের গদ্যের আর কবিতার অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ রয়েছে

বইটি লিখতে লিখতে অসংখ্য মানুষের কথা এসেছে যাঁরা ভালোবাসার আত্মীয়তায় শম্ভু রক্ষিতের স্পর্শে আসতে চেয়েছিলেন। এসেছে কবি সেলিম মল্লিকের কথা, এসেছে চন্দন দাসের কথা, এসেছে শম্ভু রক্ষিতের ভাই শ্যামলের কথা, তাঁর দীর্ঘদিনের সঙ্গী অজিত বাইরির কথা, বন্ধু অসীমকুমার বসুর কথা, কবি যশোধরা রায়চৌধুরী, কবি শ্যামলকান্তি দাশ, কবি সুজিত সরকার অথবা জ্যোতির্ময় দাশ কী লিখেছেন তাঁকে নিয়ে, কবি কৌশিক বাজারী, কবি বেবি সাউ আর কবি পার্থজিৎ চন্দ-র তাঁকে নিয়ে লেখা গদ্য এবং কবি গৌতম চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া। ‘প্রিয় ধ্বনির জন্য কান্না’ বইটির প্রসঙ্গে বাংলাকবিতার অন্যতম সব গুরুত্বপূর্ণ মানুষদের প্রসঙ্গও এসেছে। বইটিতে শম্ভু রক্ষিতের গদ্যের আর কবিতার অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ রয়েছে। কোন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তাঁর কবিতা দেখা যেতে পারে তার একটা হদিশ এই বইয়ে পাওয়া যাবে। তাঁর প্রয়াণসংবাদ নিয়ে এই বইয়ের লেখক কবি দীপক রায় লিখেছেন —

“২৯শে মে ২০২০ শম্ভু রক্ষিত মহাপৃথিবীর পথে যাত্রা করল। সকাল আটটায় প্রয়াত হল শম্ভু — আর সেই সংবাদ তার তরুণ বন্ধু, যার ওপর সে তার জীবনের শেষ সাত বছর সবচেয়ে বেশি নির্ভর করেছিল, সেই চন্দন দাস দুরভাসে আমাকে জানালো ঠিক কুড়ি মিনিট পর…”

 

আরও পড়ুন: শম্ভু রক্ষিতের প্রয়াণের পর দীপক রায়ের লেখা

 

এরপর কালীকৃষ্ণ গুহর বার্তা কিংবা কবি হিন্দোল ভট্টাচার্যের অনুরোধ এই বলে, যে শম্ভু রক্ষিতের জন্যে এখুনি একটা লেখা চাই যে লেখা তিনি ‘বাংলালাইভ’ ওয়েব ম্যাগাজিনে পাঠিয়ে দেবেন, যখন এমনকী শববাহকেরাও এসে পৌঁছননি। এইসব কিছু পড়ে মনে হয়, মৃত্যুর পরেও যেন হেঁটে যেতে পারি– বাংলা ভাষার গুরুত্বপূর্ণ কবির এই প্রার্থনা নিশ্চয়ই মিথ্যা নয়। একজন শিল্পীর, কবির আসল প্রাসঙ্গিকতা তো শুরু হয় তাঁর মৃত্যুর পরেই, অনুরাগী আর বন্ধুদের ভালোবাসার মাধ্যমেই তো তিনি আবার বাঁচতে শুরু করেন। এই বই তাই এক অর্থে কবি শম্ভু রক্ষিতের রেজারেকশান ঘটায়।

কবিতার জগতে কত খ্যাতনামা কবিদের বন্ধুত্ব পড়েছি আমরা! শঙ্খ ঘোষ আর অলোকরঞ্জনের বন্ধুত্ব, সঞ্জয় ভট্টাচার্য আর সবিতাব্রত ঘোষের বন্ধুত্ব, বুদ্ধদেব-ভাস্কর-শামসের-সুব্রত চক্রবর্তীর বন্ধুত্ব, সুনীল শক্তির ‘যুগলবন্দি’— এইসব স্বনামধন্য বন্ধুত্বেরও বাইরে শহরে-মফসসলে বন্ধুত্বের অভিজ্ঞানে চিহ্নিত হয়ে আছে কবিতা আর সাহিত্যের অনন্য জগতখানি। সেসব থেকে অনেক দূরে এই ‘দূরের’ বন্ধুত্বও এক আশ্চর্য সম্পর্কের সন্ধান দেয় আমাদের। একজন বন্ধু নীরবে ভালবাসছেন আর এক বন্ধুর কাজ। দূর থেকে মায়াভরা দৃষ্টিতে তাকে কেবলই ভালোবেসে যাওয়ার এই যে একটা অসাধারন সংজ্ঞা তৈরি করল এই বই, তাকে আসলে জীবনচিহ্নিত করে ফেলল, এ কেবল এই ধারণারই জন্ম দেয় যে, এই বই হয়ে থাকবে বন্ধুত্বেরই উদযাপন, বন্ধুত্বেরই অনুসন্ধান। আবার প্রমাণিত হল বন্ধুর সঙ্গে বন্ধুর বিচ্ছেদ হতে পারে, কিন্তু বন্ধুত্ব মৃত্যুহীন, চিরজীবী।  

গ্রন্থ: দূরের বন্ধু শম্ভু রক্ষিত
দীপক রায়
আদম প্রকাশন
প্রকাশকাল:নভেম্বর ২০২১
বিনিময়: ১৮০ টাকা (হার্ডকভার)

 

*ছবি সৌজন্য: Midnapore.in, Aajkal.in

কুন্তল মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯৭৬৷ পেশা শিক্ষকতা। পড়াশোনা ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে। মূলত কবিতাই আগ্রহের বিষয়। ২০১৬ সালে প্রকাশিত হয় প্রথম কবিতার বই “দুখীরামের গোপন জার্নাল” সিগনেট, আনন্দ থেকে। ২০১৮ সালে একটি কবিতাপুস্তিকা প্রকাশিত হয় তবুও প্রয়াস থেকে। নাম: অন্য এক অন্ধকার। ২০১৯ সালে ভাষালিপি থেকে প্রকাশিত হয় “নির্জনতা, এগারো মাইল”। ২০২০ সালে একটি গদ্যের বই প্রকাশিত হয় তাঁর। নাম: এইখানে সরোজিনী শুয়ে আছে ও অন্যান্য গদ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *