দার্জিলিং-এর টয় ট্রেন - লোপামুদ্রা তালুকদার

কলকাতার ডালহৌসি চত্বরে যে পেল্লায় ব্রিটিশ আমলের বাড়িখানা গিল্যান্ডার হাউস হিসেবে পরিচিত, সেটা ছিল গিল্যানডার আর্বাথনট অ্যান্ড কোম্পানির দপ্তর। এই কোম্পানিই হিমালয়ান রেলওয়েজ ওরফে দার্জিলিং-এর টয় ট্রেনের লাইন পাতার বরাত পেয়েছিল ১৮৭৯ সালে। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং অবধি লাইন পাতার কাজ শেষ হয় ১৮৮১ সালে। 

তারপর অনেক জল গড়িয়েছে। হাঁস ফাঁস করা স্টিম ইঞ্জিনের বদলে ডিজেল ইঞ্জিন এসেছে। শর্মিলা ঠাকুরের বয়স বেড়েছে এবং রাজেশ খান্না অন্য কোনওখানে পাড়ি দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের সপনো কি রানি দার্জিলিং-এর দোসর টয় ট্রেন, এখনও আগের মতোই একবগ্গা। পাশ দিয়ে হুশ করে বেরিয়ে যাওয়া মোটরগাড়ির ঔদ্ধত্যকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, টুং সোনাদা ঘুম পেরিয়ে ছুটে চলে পাহাড়ের রানির কোলে দু দন্ড জিরিয়ে নেবে বলে। 

ঐতিহ্যের গরবে গরবিনী সেই টয় ট্রেন সাদায় কালোয় ধরা দিয়েছে লোপামুদ্রা তালুকদারের ক্যামেরায়। 

Photo gallery list

পল্লবী বন্দ্যোপাধ্যায় আকারে স্থূল, প্রকারে কুল এবং জোকার-এ মশগুল। ভালোবাসেন মার্ভেল, ডিসি, আর যা কিছু ফিশি। পূর্বজন্মে ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী ছিলেন। বর্তমানে বাংলার নেশায় বুঁদ। পরজন্মে গল-দের গ্রামে খোলা আকাশের নীচে গোল টেবিলে নৈশভোজের আসরে বসে বুনো শূকরের রোস্ট খেতে চান।