বীরাপ্পনের খপ্পরে
যে কোনও অফিসের মতোই খবরের কাগজের অফিসেও কর্তার ইচ্ছায় কর্ম হয়। এখন যেমন আনন্দবাজারের প্রথম পাতায় দেখি হার্ড নিউজ ছাড়া আর কিছু যায় না। তখনকার কাগজ কর্তৃপক্ষ বলতেন, প্রথম পাতায় আলাদা করে একটা সফট নিউজ থাকবে। সেটাও খবর, কিন্তু সেই খবরে পাঠকেরা একটু অন্য রকম খোরাক পাবেন। অর্থনীতির কচকচি, রাজনীতির কাদা ছোড়াছুড়ি, পেজ ওয়ান নিউজের এই চিরাচরিত ছবিটা একটু বদলাবে। একদম পাতার নীচে বসে থাকে বলে কাগুজে ভাষায় ওটাকে বলা হয় ‘অ্যাঙ্কর’ নিউজ। নোঙর যেমন জাহাজকে ধরে রাখে, অনেকটা সেরকম!
আনন্দবাজারে এটা চালু হওয়ার পর থেকেই নানা দিক থেকে নানা ইন্টারেস্টিং খবর আসতে শুরু করল। দৈনন্দিন খবরের থেকে আলাদা, খোলামেলা হাওয়ার খোঁজ পাওয়া যেত তাতে। আমার ভাগ্য একটু ভালই ছিল বলতে হবে, কারণ প্রায়ই আমি কোনও না কোনও সূত্রে অ্যাঙ্কর স্টোরি পেয়ে যেতাম। কেউ খোঁজ দিত, অথবা নিজে খোঁজ করে আনতাম। বার্তা সম্পাদক মজা করে আমার নাম দিয়েছিলেন ‘ডিপ অ্যাঙ্কর’।
তো, এক সন্ধ্যায় আমি সেদিনের মতো কাজ শেষ করে অফিস ছেড়ে বেরবো, একজন লোক সামনে এসে দাঁড়ালেন। বললেন,
“আমি আপনাকে একটা খবর দিতে এসেছি।”
“কী খবর!”
লোকটির মলিন বেশভূষা, ছোটখাটো চেহারা, গোবেচারা টাইপের দেখতে। ভাষাটাও আমার চেনা লাগছে না, খুব অ্যাকসেন্টেড হিন্দি। বললাম,
“বসুন। কী নাম আপনার?”
“হনুমন্ত। পদবী ব্যবহার করি না। ডাকনাম নিয়েছি মনু, সেটাই বলি”(দেখলাম, নামের মাঝের দুটো অক্ষর আগে পরে করে নিয়েছেন। ওঁর কথা কোনওমতে বোঝার চেষ্টা করতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পর দেখলাম অল্প অল্প বুঝতে পারছি।)
“কোথায় থাকেন? মানে, কোত্থেকে আসছেন?”
“আমার বাড়ি অন্ধ্রপ্রদেশের ছোট একটা গ্রামে। তবে বছর দুয়েক হল আমি বাড়িছাড়া। সাইকেলে করে সারা ভারত ঘুরছি। দক্ষিণ থেকে উত্তর পর্যন্ত গিয়ে এখন এদিকে এসেছি।”
“ওঃ, আপনি ভূপর্যটক?”
“ঠিক তা নয়! গ্রামের একটি মেয়েকে ভালোবাসতাম, সেও আমাকে ভালোবাসত। কিন্তু ওরা উঁচু জাতের, আমরা নিচু জাত। তাই আমাদের প্রেম কেউ মেনে নিল না। মেয়েটির বাড়ির লোকেরা একদিন আমাকে ধরে খুব মারল। মনের দুঃখে সামান্য যা সম্বল ছিল, সাইকেলে চাপিয়ে একটা গ্রামোফোন সঙ্গে নিয়ে গ্রাম ছেড়ে বেরিয়ে পড়লাম।”

“এত কিছু থাকতে গ্রামোফোন কেন?”
“গান আমার খুব ভাল লাগে। নিজে গাইতে পারি না, তবে এখন আমি নানা জায়গায় গ্রামোফোন রেকর্ডে প্রেমের গান শুনিয়ে বেড়াই। আর লোককে বোঝাই, ভালোবাসা জাতপাত মানে না। সকলে অবশ্য বুঝতে চায় না। কোথাও গালি খাই, মারও খাই কখনও। তবে, এমনিতে শান্তি পাচ্ছি।”
আমি বললাম, “দু’বছর ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, খাওয়া-দাওয়া চলছে কেমন করে, টাকাপয়সা কোথায় পাচ্ছেন?”
উনি একটু হেসে বললেন, “আমার চাহিদা খুব কম। গান শুনে খুশি হয়ে যদি কেউ কিছু দেন! কেউ খাবার, কেউ কয়েকটা টাকা দেন, ওতেই আমার হয়ে যায়।”
আমি বললাম, “খুব ভাল। কিন্তু এটা নিছকই একটা প্রেমে দাগা খাওয়ার গল্প! খবরের কাগজে ছাপানোর মতো কিছু না।”
মনু বললেন, “হবে হয়তো! তাই এতগুলো কাগজে ঘুরলাম, কেউ কথাই শুনতে চাইল না। সবাই দূর দূর করে তাড়িয়ে দিল।”
“আচ্ছা, লোকে আপনার কথা শুনতে চাইবে কেন বলুন তো? প্রেমে বঞ্চিত হয়ে কত লোকই তো বিবাগী হয়ে যায়!”
এবার চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ালেন মনু। একটু হাসির চেষ্টা করে বললেন,
“আমার ভাগ্যটাই খারাপ। প্রেমের কথা প্রচার করি, তাও বেশিরভাগ জায়গায় গালি আর মার খাই। দু’বছর আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই গিয়ে পড়লাম বীরাপ্পনের ডেরায়। হাত-পা ভেঙে একেবারে ‘দ’। খুনই হয়ে যেতাম, কোনওমতে বেঁচেছি। তারপরেও নানা জায়গায় মার খেয়েছি। আমার এই রোগাসোগা চেহারা, তাতেও লোকে আমাকে কী মনে করে, কে জানে! ভয় পায়, মারধর করে! এই তো এখানে ব্যারাকপুরে আর্মি ক্যাম্পের লোকরাও আমাকে গুপ্তচর সন্দেহ করে মারল..” একনাগাড়ে ভদ্রলোক বলেই চলেছেন…

আমি থামিয়ে বললাম, “দাঁড়ান দাঁড়ান! আপনি বীরাপ্পনের ডেরায় গিয়েছেন? সেই নৃশংস দস্যু? সরকার যার মাথার দাম ধরেছে ৫২ কোটি টাকা! যাকে ধরার চেষ্টা করতে গিয়েই প্রায় আটশো কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে, তবু সে ধরাছোঁয়ার বাইরে?”
“ওর ডেরায় ইচ্ছে করে যাইনি। সাইকেলে চড়ে জঙ্গল পার হতে গিয়ে বীরাপ্পনের হাতি ধরার গর্তে পড়ে গেছিলাম…”
“আরে, কী আশ্চর্য! এটা আগে বলবেন তো! বসুন, বসুন, কিছু খাবেন?”
“একটু চা খেতে পারি।”
ক্যান্টিনে চায়ের সঙ্গে টোস্ট বলে দিলাম। এক গ্লাস জল এনে দিলাম। ঢকঢক করে জল শেষ করে হনুমন্ত ওরফে মনু তাঁর গল্প শুরু করলেন।
“অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে বেরিয়ে এদিকে আসতে গেলে মাঝে একটা বিশাল জঙ্গল পড়ে। আসলে কয়েকটা জঙ্গল যেন একটা আর একটার সঙ্গে লাগানো। সেই জঙ্গলের কিছুটা কর্ণাটকে, কিছুটা কেরলে, আর কিছুটা তামিলনাড়ুতে। গ্রামে থাকতে জানতাম না, যে ওই জঙ্গলেই রাজত্ব করে বীরাপ্পন। ওর নাম যে শুনিনি, তা নয়! কে না শুনেছে! কিন্তু লোকটা দুর্ধর্ষ ডাকাত, পুলিশও ওকে ভয় পায়, শুধু এটাই জানতাম।
সাইকেলে করে আস্তে আস্তে জঙ্গলের ভেতর দিয়ে চলেছি। পথ আর ফুরোয় না। অন্ধকার নেমে গেল। আমার কাছে কোনও আলো ছিল না। হঠাৎ ধড়াম করে পড়লাম একটা ঝোপের উপর। আর সেই ঝোপটা আমাকে শুদ্ধু নেমে গেল অনেক নীচে। অত উপর থেকে পড়ে সাইকেল দুমড়ে গেছে, আমার একটা হাত ভেঙেছে, পা মচকেছে। অসহ্য যন্ত্রণায় চিৎকার করছি। ওই জঙ্গলের ভেতরে কে আমার চিৎকার শুনবে! খালি ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক ছাড়া আমিও আর কিছুই শুনতে পাইনি।
যন্ত্রণার মধ্যে সারা রাত কাটলো, ভোরের আলো ফুটতে দেখি লম্বা-চওড়া গভীর একটা গর্তের মধ্যে পড়ে আছি। কোনও কিছু বেয়ে ওপরে ওঠার উপায় নেই। যদি বা থাকত, তাও পারতাম না। কারণ হাত ভাঙা, পা ভেঙেছে কিনা বুঝতে পারছি না। মাঝে মাঝে খালি “বাঁচাও, বাঁচাও”… করে চেঁচিয়ে যাচ্ছি। খাবার নেই, জল ফুরিয়ে গেল, যন্ত্রণা কমছে না। এইভাবে দিন কাটছে, রাত কাটছে। আস্তে আস্তে আমার শরীর দুর্বল হচ্ছে, গলার স্বর বেরচ্ছে না, চ্যাঁচাতেও পারছি না। ক্লান্তিতে একসময় ঘুমিয়ে পড়লাম।

এরকম করে কত সময় কেটেছে জানি না। হঠাৎ মানুষের গলা শুনে দেখি, ওপরে গর্তের মুখে কয়েকটা লোক দাঁড়িয়ে আমার সম্বন্ধে কিছু বলাবলি করছে। আমি হাত নেড়ে তাদের অনুনয়-বিনয় করতে লাগলাম তোলার জন্য। ওরা চলে গেল। কিছুক্ষণ পরে ফিরে এলো একটা মোটা দড়ি নিয়ে। কিন্তু সেই দড়ি ধরে ওঠার ক্ষমতা আমার ছিল না। ওদেরই একজন নীচে নেমে দড়ির সঙ্গে আমাকে বেঁধে দিল, ওপর থেকে অন্যরা তুলে নিল আমাকে। আবার দড়ি নামিয়ে দিয়ে সাইকেলটা তুলল। তার পরে নীচে যে লোকটা ছিল সে দড়ি বেয়ে উঠে এল।
এবার শুরু হল আমাকে জেরা করা। আমি কথা বলব কী! বারবার টলে পড়ে যাচ্ছি। কতদিন মনে হয় কিছু খাইনি। তার মধ্যেই ওরা আমাকে মারধর করছে, জানতে চাইছে জঙ্গলে কেন এসেছি। অথচ কেউ কারও কোনও কথাই বুঝতে পারছি না। এভাবে কিছুক্ষণ চলার পর আমাকে ওরা নিয়ে চলল আরও জঙ্গলের ভেতরে। গভীর জঙ্গল পার হয়ে একটুখানি ফাঁকা, সেখানে পাথরের উপর একটা লোক বসে ছিল। ইয়াব্বড় জমকালো গোঁফ, জলপাই রঙের পোশাক পরা, হাতে বন্দুক। রোগা চেহারা, কিন্তু চোখদুটো ভয়ঙ্কর হিংস্র!
আমার তখন ভয় পাওয়ারও ক্ষমতা নেই। সেই লোকটা আমাকে কী যেন বলে গেল, কিছুই বুঝলাম না। আরও কয়েকটা লোক আমাকে কিছু বলার চেষ্টা করল, তাও বুঝলাম না। ওরা আমাকে খেতে দিল না, জলও দিল না। টেনে হিঁচড়ে একটু দূরে নিয়ে গিয়ে মাথার কাছে একটা পিস্তল ধরল। এবার মৃত্যু আসন্ন বুঝে আমার নিজের ভাষা তেলুগুতে চেঁচিয়ে বললাম… “আমি কিছু করিনি, আমি কিছু জানি না।” শেষ শক্তি দিয়ে চেঁচিয়ে উঠলাম… “বাঁচাও!”
এবার ম্যাজিকের মতো কাজ হল। পেছন থেকে একটা লম্বা লোক এসে সেই গোঁফওয়ালা লোকটাকে কী যেন বোঝাল। গোঁফওয়ালার ইশারায় আমার মাথার উপর থেকে পিস্তল সরে গেল। আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়লাম। যখন জ্ঞান এল, দেখলাম একটা খাটিয়ায় শুয়ে আছি। আমাকে কেউ একটু জল দিল, আস্তে আস্তে কিছু খাবার খেলাম। যে লোকটি আমাকে বাঁচাল, ওদের সবার মধ্যে একমাত্র সে-ই আমার ভাষা বুঝতে পেরেছে। খুঁটিয়ে-খুঁটিয়ে নানান কিছু জিজ্ঞেস করে সে বুঝল আমি কারও ক্ষতি করার মতলব নিয়ে ওই জঙ্গলে ঢুকিনি। লোকটি আবার গোঁফওয়ালাকে ওই কথা বোঝাল। হাতের হাড়টা যেখানে ভেঙেছিল তার দু’পাশে কাঠ দিয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে ব্যথার ওষুধ দিয়ে শুইয়ে রাখল। আমি আবার ঘুমিয়ে পড়লাম।
এইভাবে কয়েকদিন কাটল। এর মধ্যে হাতের হাড় কিছুটা জোড়া লেগেছে, পায়ের ব্যথা কমেছে। দু’বেলা খাওয়া-দাওয়া করে শরীর একটু সুস্থ হয়েছে। আমার ভাঙা সাইকেলটা ওরা সারিয়েও রেখেছে। কথায় কথায় জেনেছি, ওই গোঁফওয়ালা লোকটিই হল দুর্ধর্ষ দস্যু কুসে মুনিসামী বীরাপ্পান গৌন্ডার। জঙ্গলের ত্রাস। কারও ওপরে সন্দেহ হলে তার আর রক্ষা নেই। আমি যে ওর হাত থেকে বেঁচে ফিরতে পেরেছি তাতেই আমি ভগবানের কাছে কৃতজ্ঞ।”

এতক্ষণ রুদ্ধশ্বাসে মনুর কথা শুনছিলাম। জিজ্ঞেস করলাম,
“আর কাউকে কি এই গল্প বলেছেন?”
মনু বললেন,
“কাকে বলব? কেউ তো আমার গল্প শুনতেই চাইল না!”
মনে মনে ভাবলাম ভাগ্যিস কেউ শুনতে চায়নি! ভাগ্যিস আমি শুনলাম! তবে লোকটি যে সত্যি কথা বলছেন, সেটা কিন্তু বোঝা যাচ্ছে। নানারকম ভাবে জেরা করে বুঝলাম, মনুর পুরো অভিজ্ঞতাটাই খাঁটি। এ সেই বীরাপ্পন, চন্দনকাঠ আর হাতির দাঁতের চোরাকারবারি, চোরাশিকারী। একের পর এক নামকরা লোকদের গুম করে মুক্তিপণ আদায় করা নৃশংস খুনি! হেন অপরাধ নেই যে লোকটা করেনি। পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক দুষ্কৃতী হিসেবে ততদিনে ওর নাম হয়ে গিয়েছে।
চল্লিশ বছর ধরে জঙ্গলে রাজত্ব করেছে বীরাপ্পন। তার মধ্যে শেষের কুড়ি বছর সরকার তাকে ধরার চেষ্টা করেছে, মারার চেষ্টা করেছে, কোনওভাবেই নাগাল পায়নি। জঙ্গলে হাতিদের চলার পথে গর্ত খুঁড়ে ফাঁদ পেতে হাতি ধরত। গভীর গর্তে পড়ে হাতি মরে গেলে বীরাপ্পন সেই হাতির দাঁত কেটে বিক্রি করত। তা ছাড়া ছিল চন্দনকাঠের কালোবাজারি। কয়েকশো হাতি মেরেছে বীরাপ্পন, স্রেফ দাঁতের লোভে। কয়েকশো কোটি টাকার চন্দন গাছ চোরাচালান করেছে, যার জন্য তার নাম হয়েছিল চন্দনদস্যু।
কেরালা, কর্ণাটক আর তামিলনাড়ু, তিন রাজ্যের মিলিত পুলিশবাহিনী একযোগে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েও বীরাপ্পনের টিকি, থুড়ি গোঁফও ছুঁতে পারেনি। উল্টে ১৮৪ জন বীরাপ্পনের হাতে মারা গেছে, যার অর্ধেকই হয় পুলিশ, নয় বনকর্মী। নানাভাবে চর পাঠিয়েও বীরাপ্পনের খোঁজ মেলেনি। বরং সেই চরদের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। আমাদের হনুমন্তও হাতির জন্য পেতে রাখা গর্তে পড়েছিল। বীরাপ্পন প্রথমে ভাষা বুঝতে না পারায় তাকে পুলিশের চর ভেবেছিল। কোনওমতে সে বেঁচে যায়।
হনুমন্তের এই অভিজ্ঞতার খবর পরের দিন আনন্দবাজারে অ্যাঙ্কর স্টোরি হয়ে বেরল। সেই সন্ধ্যায় হনুমন্ত ওরফে মনু আবার এসে হাজির। মুখে একগাল হাসি, ধন্যবাদ জানাতে এসেছেন। জিজ্ঞেস করলাম,
“আপনি কেমন করে বাংলায় লেখাটা বুঝলেন?”
“একজন আমাকে পড়ে শুনিয়েছে। খুব ভালো লাগল।”
এর বেশ কয়েক বছর পরে ২০০৪ সালে পুলিশের গুলিতে শেষ পর্যন্ত বীরাপ্পন মারা যায়।
*সাইকেলওলার ছবিটি প্রতীকী। সৌজন্যে লেখক
* বাকি ছবি সৌজন্যে: Wikipedia, Artzolo, Wirally
দুই পুরুষের সাংবাদিক দীপংকর চক্রবর্তীর চার দশকের পেশাগত জীবনের শুরু ও শেষ আনন্দবাজার পত্রিকায়। মাঝে এক দশক বেতার সাংবাদিকতা জার্মানিতে ডয়চে ভেলে, আর ওয়াশিংটন ডিসিতে ভয়েস অফ আমেরিকায়। প্রিন্ট মিডিয়া থেকে অবসর নিলেও মাল্টিমিডিয়ায় এখনও পুরোপুরি সক্রিয়। করেছেন বই সম্পাদনার কাজও। দেশে বিদেশে তাঁর অভিজ্ঞতার ভাণ্ডারও বিচিত্র ও চিত্তাকর্ষক।
jotha poorbam ..lekhata khub bhalo laglo….tobe ektu swarthoparotar abhaas elo……….
ekta uposhee,doostha,bhabaghure,byartho-premik manush kichu galpo shonate chaiche..ta icche korlona…kintu jei nijer “deep anchor” khetabta dridhotaro korar sombhabona
dekha dilo …omni oi manushtake Cha-tha khaiye galpo shunte rajee hoye gelen ..just joking ….galpota bhalo legeche
দীপক সমাদ্দার ঠিকই বলেছেন। তবে খবরের কাগজের মালিক বা সম্পাদক তো আমি ছিলাম না। কোনও কিছু ছাপার উদ্দেশ্যে লেখার আগে তার যাথার্থ প্রমাণ করতে হতো। সে রকম কোনও পয়েন্ট না পাওয়ায় অন্য কোনও কাগজ হনুমন্তের কাহিনি শুনতে চায়নি। আমিও প্রথমে আগ্রহী হইনি। যখন বুঝলাম ছাপা যাবে তখনই ওঁকে বসালাম এবং সাধ্যমতো সামান্য আপ্যায়ন করলাম।