“তুমি কোলে নিয়েছিলে সেতার
মীড় দিলে নিষ্ঠুর করে…”

রবীন্দ্রনাথের এই পংক্তি দু’টি আজও গভীর প্রাসঙ্গিকতা বহন করে। মাঝরাতে যদি ঘুম ভেঙে যায়, আর আচমকা যদি মনে হয় ভারতীয় সঙ্গীতের ইতিহাসের কথা, তখন নিশ্চিতভাবে একজনের কথাই মনে পড়ে যিনি কোলে সেতার নিয়ে নিষ্ঠুর করে মীড় না দিলে হয়তো আজ ভারতীয় মার্গসঙ্গীত যে উচ্চতায় উঠেছে এবং যেভাবে ভারতবর্ষের নাম উজ্জ্বল করে রেখেছে, তার সবটাই একটি অবাস্তবায়িত স্বপ্ন হিসেবেই থেকে যেত।

ভারতীয় সঙ্গীতের ইতিহাস যদি দেখতে হয়, তাহলে সবার আগে যে নামটা নজর কাড়বে, তা হল পণ্ডিত রবিশঙ্কর। এর প্রথম এবং প্রধান কারণ, ভারতীয় সঙ্গীতে সার্বিক অবদানের ক্ষেত্রে যে কয়েকজনের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, রবিশঙ্করের নাম সেই তালিকায় সবার আগে স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। উপরোক্ত মন্তব্যটি অতিরঞ্জন নয়, ঘটনা। দেশের বাইরে এত মানুষ যে আজ ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীত শুনছেন, শাস্ত্রীয় কচকচি সহ্য করছেন, তা সম্ভব হয়েছে রবিশঙ্করের জন্যই। রবিশঙ্করের কাজের নিরিখে তাঁকে বুঝতে গেলে যে বিশাল সমুদ্রের সামনে উপস্থিত হতে হয়, তাকে একটা স্বল্প পরিসরের মধ্যে আলোচনা করে কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া শুধু অসম্ভব নয়, অনুচিতও। আমি চেষ্টা করব তাঁর সঙ্গীতজীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি দিক ও সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে কয়েকটি অবদানের কথা তুলে ধরতে।

সেতার যন্ত্রটিতে রবিশঙ্কর কী কী পরিবর্তন আনলেন, সেই বিষয়ে আলোচনা করার বিশেষ প্রয়োজন মনে করি। রবিশঙ্কর যে সময়ে উঠতি শিল্পীদের দলে, সেই সময় ভারতবর্ষ বিভিন্ন ‘বংশোদ্ভব’ ওস্তাদ সেতারীদের দাপটে কাহিল। তাঁদের নানাজনের নানা মত। ‘ঘরানা’দার সেতারীরা প্রত্যেকেই নিজের নিজের মতামত প্রতিষ্ঠা করতে ব্যস্ত। এঁদের মধ্যে লখনউয়ের ইউসুফ আলি খান, দ্বারভাঙ্গার রামেশ্বর পাঠক এবং তৎকালীন ভারতবর্ষের সেতার-দুনিয়ার অবিসংবাদিত অধিপতি তথা নামজাদা শিল্পী ইনায়েৎ খান রবিশঙ্করের উপর বিরাট প্রভাব ফেললেন। যদিও রবিশঙ্কর আর পাঁচজন তৎকালীন উঠতি সেতারীদের মতো ইনায়েৎ খানের ঢংয়ে বাজাবেন না বলেই ঠিক করেছিলেন, তবুও সেতার যন্ত্রটিকে তাঁর নিজের সুবিধার্থে একটু অদল বদল করার ক্ষেত্রে যে প্রথম পদক্ষেপটি তিনি নিলেন, তা ইনায়েৎ খানকে দেখেই। পাশ্চাত্য পরিভাষা অনুযায়ী যাকে আমরা পিচ বলি, রবিশঙ্কর ঠিক করলেন তা একটু উপরের দিকে রাখবেন। আবার ইনায়েৎ খান যেমন ডি-ডি(শার্প)-এ মেলাতেন ওঁর সেতার, তেমন নয়। রবিশঙ্কর তাঁর সেতারের পিচ বড়জোর সি-সি(শার্প)-এর গণ্ডীর মধ্যেই রাখলেন।

রবিশঙ্করের সেতারে খরজ ও পঞ্চমের তারের ব্যবহারের প্রাবল্য লক্ষ করা যায়। পূর্বোক্ত ইউসুফ আলি খান ও রামেশ্বর পাঠকের সেতারেও খরজ ও পঞ্চমের তার ছিল। রবিশঙ্কর তাঁর সেতারে সেই আওয়াজ আনলেন, যা সেতারের আওয়াজের সঙ্গে সুরবাহারের আওয়াজের মেলবন্ধন ঘটায় এবং অসামান্য ঝঙ্কারের সৃষ্টি করে। সেই আওয়াজ একই সঙ্গে সেতারের নতুন পরিচয় স্থাপন করে এবং সেতারকে অন্যান্য সমস্ত তারযন্ত্রের চেয়ে বেশ খানিকটা আলাদা মাত্রা দেয়। সেতারের আসল আয়তনকে একটু ছোট করে, পিচ একটু চড়িয়ে, লাউয়ের আকৃতি গোলাকার করে সেতার ও সুরবাহারের একটা মধ্যস্থতায় এলেন তিনি।

sitar of ravishankar
রবিজির সেতারের গঠন ছিল অনেকটা এরকম। ছবি সৌজন্য – blog.britishmuseum.org

খরজ ও পঞ্চমের তারের ব্যবহার যেমন সেতারের আওয়াজকে অনেক শ্রুতিমধুর করে তোলে, সেরকমই দ্রুতলয়ে বাজাবার সময়ে একটু জোরে টোকা পড়লে তার শ্রুতিনান্দনিকতার বিঘ্ন ঘটে। এই কারণেই তিনি সেতারে “হুক-হুক” পদ্ধতি আনলেন। বিলম্বিত অঙ্গে বাজনা হয়ে গেলে তিনি খরজ ও পঞ্চমের তারকে এমনভাবে আটকে দিতেন যে তার শব্দের গাম্ভীর্য কম হলেও তা উপরের সপ্তকের ষড়জ ও পঞ্চমের সুরে অনুনাদিত হতো।

রবিশঙ্করের বাজনা তাঁর প্রথাচার-দ্রোহিতার স্পষ্ট স্বাক্ষর বহন করে। তিনি মনে করতেন, জয়পুরের সেতারীরা মিয়াঁ তানসেনের পুত্র (মতভেদে, জামাই) বিলাস খানের বংশের রবাবশিল্পী মসীদ্ খাঁয়ের প্রচলিত প্রথায় মধ্য-বিলম্বিত তিনতালের বারো মাত্রা থেকে উত্থিত মসীদখানি গৎ বাজাতেন। শুধু জয়পুর কেন, আলাউদ্দিন খানের আগে এবং তাঁর সমসময়ে বিলম্বিত গৎ হিসেবে এই বাজনারই চল ছিল। আর দ্রুত গৎ হিসেবে বাজত মসীদ খানের শিষ্য লখনউ-নিবাসী রেজ়া খান দ্বারা প্রচলিত রেজ়াখানী গৎ। রবিশঙ্করের আগের প্রজন্মের প্রসিদ্ধ সেতারী, কলকাতা-নিবাসী মুস্তাক আলি খানও আলাপ, জোড় বাজিয়ে মধ্যলয়ে গৎ ধরতেন।

রবিশঙ্কর তাঁর গুরু আচার্য আলাউদ্দিন খানের তালিম মাফিক শুরু করলেন বিলম্বিত তিনতালে গৎ বাজানো। এবং আজীবন কর্ণাটকী সঙ্গীত পদ্ধতিতে বিশ্বাসী থাকার দরুণ তিনি সেই গতে লয়ের মারপ্যাঁচ, অঙ্কের হিসেব, তেহাই ইত্যাদি নিয়ে এলেন। এতে তাঁর বাজনায় আমরা পেলাম সুরের সঙ্গে তাল-লয়ের অসামান্য সামঞ্জস্য। মিয়াঁ তানসেনের কন্যার বংশোদ্ভূত বীণকার ঘরের তালিম এবং সঙ্গে অঙ্কের ব্যবহার – সব মিলিয়ে রবিশঙ্করের বুদ্ধিমত্তার তুলনা মেলা ভার। রবিশঙ্করের অঙ্কের প্রতি এই ঝোঁকের গল্প শুনেছিলাম তাঁর জ্যেষ্ঠতম শিষ্য শ্রী শ্যামল চট্টোপাধ্যায়ের কাছে – কী ভাবে শ্রোতারা রবিশঙ্করের বাজনা শোনার সময়ে হাতে অঙ্কের হিসেব গুনতে গুনতে গলদঘর্ম হয়ে যেতেন। অথচ, রবিশঙ্করের বাদনশৈলী কখনই শ্রোতাদের কাছে পীড়াদায়ক হয়ে উঠত না, তা সে যতই জটিল হোক না কেন।

এবার রবিশঙ্করের সৃষ্টি কয়েকটি রাগের কথা বলি। খরজ পরিবর্তনের মাধ্যমে যে কয়েকটি রাগ সৃষ্টি করেছিলেন তিনি, তাঁদের তিনি বলতেন ঈশ্বরী গোত্রের রাগ। দক্ষিণ ভারতীয় রাগ সরস্বতীতে আরোহীতে কোমল-নিষাদের ব্যবহার করে সৃষ্ট হল কামেশ্বরী। কামেশ্বরীর রেখাবকে ষড়জ ধরে সৃষ্ট হল গঙ্গেশ্বরী। গঙ্গেশ্বরীর মধ্যমকে ষড়জ ধরে সৃষ্ট হল রঙ্গেশ্বরী। আর, রঙ্গেশ্বরীর রেখাবকে ষড়জ ধরে সৃষ্ট হল পরমেশ্বরী। পাঠকদের সুবিধার্থে রাগগুলির আরোহী []-অবরোহী [] নিচে দেওয়া রইল –

  কামেশ্বরী  – স র হ্ম প ধ ণ র্স     র্স ণ ধ প হ্ম র স

 গঙ্গেশ্বরী  –    স গ ম প দ ণ র্স     র্স ণ দ প ম গ স

  রঙ্গেশ্বরী  –   স র জ্ঞ ম প ন র্স   র্স ন প ম জ্ঞ র স

 পরমেশ্বরী  –   স ঋ জ্ঞ ম ধ ণ র্স   র্স ণ ধ ম জ্ঞ ঋ স

এই একই গোত্রের আর একটি রাগ যোগেশ্বরী, যদিও এর উদ্ভব খরজ পরিবর্তনের মাধ্যমে হয়নি। রাগেশ্বরীর আরোহী এবং অবরোহীতে প্রচলিত যোগের ছায়া মিশিয়ে এই রাগের সৃষ্টি। অন্যভাবেও দেখা যায় এই রাগের গঠন। অপ্রচলিত খাম্বাজ ঠাটের দুর্গার সঙ্গে প্রচলিত মালকোষের মিশ্রণে এই রাগের উৎপত্তি – এভাবেও বলা যায়।

  যোগেশ্বরী  –   স গ ম ধ ণ র্স       র্স ণ ধ ম গ ম জ্ঞ স

তাঁর সৃষ্ট কৌশিক তোড়ী, চারুকোষ, মোহনকোষ (গান্ধিজিকে উৎসর্গীকৃত), ইত্যাদি অনেক রাগের মধ্যে যে রাগটি আমার বিশেষ প্রিয়, তা হল তিলকশ্যাম। রবিশঙ্করের নিজের কথাতেই এই রাগের পরিচয় নেওয়া যাক-

দিল্লিতে থাকাকালীনই তিলকশ্যামের আবির্ভাব হল এর গঠনটি ভারি মজার এবং লজিক্যাল বলেই আমি মনে করি পঞ্চমকে যদি ষড়জ করে ধরো তাহলে প়ন় হয়ে যাবে হ্ম, অর্থাৎ রেখাব, তীব্র মধ্যম এবং পঞ্চম তারপর আদত থেকে , তীব্র মধ্যম এবং লাগালে এটা একটা প্যারালাল প্যাটার্ন হয়ে যায় অর্থাৎ দুভাগেই শ্যাম কল্যাণের ইঙ্গিত তারপর এলো তিলক কামোদ সেটাকেও যদি এই দুই ভাগে ফেলা যায় তাহলে পাওয়া গেল  প়ন়, হ্ম এটাই ছিল প্রথম আবিষ্কার এর পরেই গড়ে তুললাম এই দুই রাগের একটা সমন্বিত রূপ এবং যা দাঁড়াল তা হচ্ছে একটা অতি মিষ্টি রাগ এই রাগে আমার দুটো জনপ্রিয় গান আছে বিলম্বিতেতিলক লাগায়ে শ্যামআর দ্রুতেযমুনা তট পনঘট।” [রাগ-অনুরাগ – রবিশঙ্কর, আনন্দ, প্রথম সংস্করণ, এপ্রিল, ১৯৮০, পৃ• ১৯৫]

  তিলক শ্যাম প় ন় স র গ স, র হ্ম প ধ প, হ্ম প ন র্স            র্স ন স প হ্ম প ম গ র গ স র গ স

গুরু হিসেবেও পণ্ডিত রবিশঙ্কর ছিলেন অতুলনীয়। তাঁর অন্যতম প্রিয় শিষ্য প্রখ্যাত সরোদশিল্পী শ্রী পার্থ সারথির সৌভাগ্য হয়েছে ১৯৭৮ সন থেকে আজীবন গুরুসঙ্গ করার। তিলকশ্যাম-এর আরোহী-অবরোহী পেলাম ওঁর কাছেই। ওঁর সঙ্গে এক দীর্ঘ আলোচনায় জানতে পারলাম, শিষ্যদের প্রতি রবিজির পিতৃপ্রতিম স্নেহ এবং তাদের শেখানোর সময়ে তাঁর অসীম ধৈর্যের কথা। একাধিকবার বিশ্লেষণ করার ক্ষেত্রে তাঁর কোনও ক্লান্তি ছিল না। বরং রেগে না গিয়ে শিক্ষার্থীকে আরও যত্ন নিয়ে বোঝানোতেই তিনি বিশ্বাসী ছিলেন। বৃন্দবাদনের কর্মশালাতেও তিনি প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে আলাদা করে সময় দিতেন।

পার্থবাবুর সঙ্গে কথা প্রসঙ্গেই জানতে পারলাম ঘরোয়া রবিশঙ্কর কেমন ছিলেন। নিজের দৈনন্দিন জীবনে অসম্ভব নিয়মনিষ্ঠ। সময়ে ঘুম থেকে ওঠা, সময়ে পরিমিত খাওয়া, নিয়ম করে রোজ হাঁটা, বই পড়া – এসবই তাঁর নিত্যকার অভ্যাসের অঙ্গ ছিল। এমনকি, প্রয়োজনে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করার সময়েও একটু হেঁটে নিতেন। শিষ্যদের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রাখতেন রবিশঙ্কর। রাত্রে খাওয়ার পর টেবিলে বসে সবাই মিলে ওয়র্ড বিল্ডিং খেলার কথা এখনও পার্থবাবুর স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে আছে।

আমার বর্তমান গুরু শ্রী বিক্রম ঘোষ সুদীর্ঘ দশ বছর ধরে সারা পৃথিবী জুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পণ্ডিত রবিশঙ্করের সঙ্গে তবলায় সঙ্গত করেছেন। সেসময়ে রবিশঙ্করের পরিবারের একজন হিসেবেই ছিলেন তিনি, এইই তাঁর অনুভব। তিনি আরও বলেন, “মঞ্চে গুরুজির (রবিশঙ্করের) চেহারা ছিল বাঘের মতো; কিন্তু তা

Satyajit Ray and Ravishankar
আমৃত্যু অটুট ছিল বন্ধুত্ব – সত্যজিৎ ও রবিশঙ্কর। ছবি সৌজন্যে – twitter.com

সত্বেও কিরকম অসাধারণ ভদ্রলোক ছিলেন তিনি, না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। অন্য সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে ওঁর সঙ্গে কথা বলা যেত। যেমন ছিল তাঁর জ্ঞানের পরিধি, তেমনই ছিল ছেলেমানুষের মতো অসীম কৌতূহল – ক্রিকেট থেকে শুরু করে মহাকাশবিজ্ঞান, কী নেই সে তালিকায়।“ বিক্রম ঘোষ বিশেষ করে বলেন বিশ্বজয়ী রবিশঙ্করের আধ্যাত্মিকতা নিয়ে। এ কথা সত্যি, আধ্যাত্মিক চেতনা না থাকলে, বিশুদ্ধচিত্তে সঙ্গীত সাধনা না করলে সর্বস্তরের শ্রোতাদের মন জয় করা সম্ভব নয়। আধুনিক ভারতীয় সঙ্গীতের অন্যতম পথিকৃৎ বিক্রম ঘোষ মনে করেন, রবিশঙ্করের সঙ্গীতপদ্ধতিকে কেউ যদি একটু হলেও অনুসরণ করে, তার সঙ্গীতে সিদ্ধিলাভ অনিবার্য।

এত কথার পরেও কত কিছু বাকি থেকে গেল। বাকি থেকে গেল পাশ্চাত্য সঙ্গীতের কিংবদন্তীদের সঙ্গে রবিশঙ্করের আলাপচারিতা; বাকি থেকে গেল সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব, যা আমাদের দিয়েছে পথের পাঁচালী, অপরাজিত, পরশ পাথর ও অপুর সংসারের মতো কিংবদন্তী ছবির আবহ। তবু, সামান্য পরিসরে চেষ্টা করলাম কয়েকটা খুব গুরুত্বপূর্ণ আঙ্গিকে রবিশঙ্করের মতো এক মহাসমুদ্রের সামান্য কিছু ছবি পাঠকের সামনে তুলে ধরতে। ভারতীয় সঙ্গীত তথা বিশ্বসঙ্গীতে রবিশঙ্করের সুদুরপ্রসারী প্রভাব কখনই লঙ্ঘন করা সম্ভব হবে না। আজ আমরা তাঁর শতবর্ষ উদযাপন করছি; আরও শত শত বর্ষ উদযাপন হবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে, এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

Subhadra Kalyan Author

সুভদ্রকল্যাণ বর্তমানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক ভারতীয় ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্র। বাংলা ও ইংরাজি উভয় ভাষাতেই তাঁর লেখা সংগীত ও সাহিত্য বিষয়ক বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়। বহু বিশিষ্টজনের সাক্ষাৎকার সংগ্রহ করেছেন, সেগুলিও প্রকাশিত ও সমাদৃত। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তাঁর লেখা কবিতা প্রকাশ পেয়েছে। মূলত ইংরাজি ভাষায় কবিতা লেখেন সুভদ্রকল্যাণ। তাঁর আরেকটি পরিচয় রাগসঙ্গীতশিল্পী হিসেবে। সংগীতশিক্ষা করেছেন আচার্য শঙ্কর ঘোষ, পণ্ডিত বিক্রম ঘোষ, পণ্ডিত উদয় ভাওয়ালকর, ডঃ রাজিব চক্রবর্তী প্রমুখ গুরুর কাছে। পেয়েছেন একাধিক পুরস্কার ও সম্মাননা।

One Response

  1. Dear Subhadra,

    Firstry I wish to convey my regards with warmth and profound love and caress to you. The feeling that I can perceive after reading your treasured creation to describe just in one word (If Im asked to say so) is “UNPUTDOWNABLE”.Throughout the writing I find it’s not merely something to read casually but highly informative as well.

    And secondly and finally the quantum of flair and excellence you have shown at this age in field of writing,which itself is the pathfinder of your greater future.Lots of good wishes are for you my dear.
    Subhasish da

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *