উত্তরে বয় যে হাওয়া,

অনায়াসে যায় তা খাওয়া – 

হাত গুনে বলছে যতো গণৎকার;

সরলে একটু পূবে – 

স্বাদ তার যায় যে উবে, 

অথচ গন্ধটা রয় চমৎকার।

 

দক্ষিণ-পূর্ব থেকে

যে হাওয়া আসছে বেঁকে, 

দ্যাখ তার ছিঁচকাঁদুনে গোমড়া মুখ;

যেমনি রোদ্দুর এসে, 

হেসে তার সঙ্গে মেশে – 

নিমেষে ওমনি সে যে ভুলছে দুখ।

 

ফুরফুরে দখিণ হাওয়া

আজকাল যায় না পাওয়া,

ক্রমে তাই বাড়ছে যে তার বাজারদর – 

কাছে এলে আপনি সেধে,

চুপিচুপি পোঁটলা বেঁধে,

কিছুটা নিজের ঘরে পাচার কর।

 

তারপর শীতের কালে

ঠান্ডায় ঠকঠকালে,

ঝুলি থেকে বাইরে এনে সেই বাতাস – 

কাষ্ঠের পাটায় ঘষে,

 হাতে পায়ে মাখবি কষে,

দেখবি উঠছে শীতের নাভিশ্বাস।

 

সিধে ওই পশ্চিমেতে

যে হাওয়া চাইছে যেতে,

সে বাতাস খানিক তেতো, খানিক ঝাল,

ভয়ানক বদমেজাজী,

বিটকেল হদ্দ পাজি,

তাকাবে মিচকে চোখে ফুলিয়ে গাল।

 

অচেনা খুচরো বাতাস

জানা নেই  কোন দেশে বাস,

তেনারা হয় ভালো, নয় মন্দ লোক! 

ঠিক যেন গোলকধাঁধা,

বোঝা ভারি কঠিন দাদা,

কে চালাক, কে বা নিরেট আহাম্মক! 

 

আরো কিছু বাড়তি হাওয়া,

ইতি উতি যাচ্ছে পাওয়া,

গুনে গেঁথে  বানাচ্ছি তার লিস্টিটা – 

দেখাবো তোদের ডেকে 

মাঠে ধান উঠলে পেকে, 

নামলে পাঁচ ঘটিকায় বৃষ্টিটা।

ভূগোলের অধ্যাপিকা। ছোটবেলা থেকেই আঁকা-লেখার সৃজনশীল জগতে আনন্দ খুঁজে পান। ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয়েছে প্রথম বই "দাড়িওয়ালা বুড়োটার"। এডওয়ার্ড লিয়রের ননসেন্স লিমেরিক ও ছড়ার বাংলা রূপান্তরের এই সংকলনের অলংকরণও তাঁর নিজের করা।

One Response

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *