খ্রিস্ট খ্রিস্ট হরে হরে

চারদিকে সারি সারি দোকান, কী নেই তাতে! বেলজিয়াম গ্লাসের আসবাব, জাপানি বনসাই, ইটালিয়ান লেদারের ব্যাগ, ফ্রেঞ্চ পারফিউম, আফ্রিকার কাঠের পুতুল ও আরও অনেক টুকিটাকি জিনিস দেখে চোখে তাক লেগে গেল। দুনিয়ার প্রায় সব কোণ থেকে কিছু না কিছু আছে। একটা স্টলে ঢুকে ভিয়েতনামি সিল্কের একটা স্কার্ফ দেখে লোভ হল।
…লিখলেন প্রান্তিক বিশ্বাস
পদব্রজে নেপাল: পর্ব ২

নেপালের বাড়িগুলোর একটা বৈশিষ্ট্য হল প্রত্যেকটা ঘরে একটা ছোট জানলা থাকে যেটা বন্ধ করার কোনও ব্যবস্থা নেই, সে যত ঠান্ডাই পড়ুক! ঠান্ডা হাওয়ায় আমাদের দন্ত্যবাদ্য শুরু হল। যতক্ষণ সম্ভব রান্নাঘরে বসে রইলাম দুজনে। রাতে সোয়েটার চাদর কম্বল কিছুতেই আর ঠান্ডা কমে না। জুতোগুলো যাতে সকালে পরতে পারি, তারা জমে শক্ত না হয়ে যায়, তার জন্য বিছানায় কম্বলের মধ্যেই জুতোগুলো রাখা হল।
…’পদব্রজে নেপাল’ ভ্রমণ নিয়ে লিখলেন বিশাখা ঘোষ
এলোমেলো বেড়ানো: ৭

মথুরা থেকে দ্বারকায় শ্রীকৃষ্ণের অভিবাসনের এই পৌরাণিক বিবরণ গুজরাটের সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। লোকশ্রুতি, দ্বারকা গড়ে তোলার জন্য শ্রীকৃষ্ণ সমুদ্র থেকে প্রায় ৯৬ বর্গ কিলোমিটার বা ৩৭ বর্গ মাইল জমি পুনরুদ্ধার করেছিলেন। বিংশ শতাব্দীর শেষ লগ্নে পৃথিবীর বৃহত্তম ও ব্যস্ততম বন্দর সাংহাই তো এইভাবেই গড়ে উঠেছিল। তাহলে কি দ্বারকার অনুপ্রেরণায় সাংহাই তৈরি হয়েছে? হবেও বা! এখন তো অনুপ্রেরণা ছাড়া কোনও কিছুই হয় না।
… মিঠাপুর, ওখা দ্বারকা ঘুরে লিখলেন অমিতাভ রায়।
স্বর্ণলঙ্কা: পর্ব ১১- শ্রীলঙ্কার লিটল্ ইংল্যান্ড

রাস্তার ধারে রংবাহারি মন্দিরের পিছনে ইউক্যালিপটাসের ঠাসবুনট। এটাই সেই রামায়ণে বর্ণিত অশোকবন, যেখানে রাবণ সীতাকে বন্দি করে রেখেছিলেন, এমনটাই প্রচারিত। যদিও অশোক গাছের চিহ্নমাত্র নেই। রাস্তা থেকে সিঁড়ি নেমে গেছে পুরনো মন্দিরে। সেখানে রাম, সীতা, লক্ষ্মণ ও হনুমানের মূর্তি আছে এবং নিয়মিত পূজার্চনা হয়।
শ্রেয়সী লাহিড়ীর কলমে শ্রীলঙ্কার ভ্রমণবৃত্তান্ত। পর্ব ১১
এলোমেলো বেড়ানো: ৬

কথিত আছে যে রাও লাখার নামে দুর্গটির নামকরণ করা হয়েছিল। তিনি ত্রয়োদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে সিন্ধুতে রাজত্ব করতেন। তখন সিন্ধু নদ এই এলাকা দিয়ে বয়ে যেত। ফলে লাখপত ছিল কৃষিনির্ভর এক সমৃদ্ধ অঞ্চল। তাছাড়া সমুদ্রের খাঁড়ি পাশে থাকায় বৈদেশিক বাণিজ্যের সুযোগ সুবিধা ছিল।
স্বর্ণলঙ্কা: পর্ব ১০- ক্যান্ডি দর্শন ও পিন্নাওয়ালা

টুথরেলিক মন্দিরের বুদ্ধদেবের দাঁতের সঙ্গে প্রাচীন বাংলার পরোক্ষভাবে একটা যোগাযোগ আছে। ভগবান বুদ্ধের পরিনির্বাণের পরে তাঁর এই দাঁত কলিঙ্গে রক্ষিত ছিল। শত্রুর আক্রমণের হাত থেকে দাঁতটি রক্ষা করার জন্য কলিঙ্গরাজ গুহশিবের কন্যা হেমমালী সেটি নিজের চুলের মধ্যে লুকিয়ে রেখে তাঁর স্বামী রাজকুমার দন্তের সহযোগিতায় বাংলার তমলুক বন্দর হয়ে পালিয়ে আসেন শ্রীলঙ্কায় এবং অনুরাধাপুরার রাজা শ্রীমেঘবন্নের হাতে অর্পণ করেন।
শ্রেয়সী লাহিড়ীর কলমে শ্রীলঙ্কার ভ্রমণবৃত্তান্ত। পর্ব ১০
অরণ্যের দিন

ঝমঝমে বৃষ্টিতে আমরা হাঁটা শুরু করলাম। আমাদের যাত্রাপথে এলোমেলো ঝোপের মধ্যে ফুটে রয়েছে লিলির মতো বেগুনি ফুল। ওগুলো নাকি বুনো হলুদ গাছ। আদিবাসী রান্নার অন্যতম উপকরণ। বৃষ্টির ছাঁটে টপ টপ করে ঝরে পড়তে লাগল ছোট্ট সবুজ ফুটবলের মতো মিষ্টি এক ফল– তার নাকি বারোটা মুখ তাই নাম বারতোন্ডি।
পদব্রজে নেপাল: পর্ব ১

অন্নপূর্ণা রেঞ্জের বরফঢাকা পাহাড় অতন্দ্র প্রহরীর মতো তাকিয়ে আছে! তিনটি আট হাজার মিটার পেরোনো পর্বতচূড়া- ধৌলাগিরি, অন্নপূর্ণা আর মানাসলু- পোখারা থেকে তিরিশ পঁয়ত্রিশ কিলোমিটার দূরে। সবচেয়ে কাছের চূড়া হল মছপুচ্ছরে, মাছের ল্যাজের আকারে। নেপালিরা পবিত্র বলে মনে করে, তাই উচ্চতায় নিচু হওয়া সত্ত্বেও মছপুচ্ছরে শৃঙ্গ আরোহণ করা বারণ।
‘পদব্রজে নেপাল’ ভ্রমণ নিয়ে লিখলেন বিশাখা ঘোষ