এলোমেলো বেড়ানো: ১৪

লঙ্গয়া গ্রামে রয়েছে অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। চারদিকে সবুজের সমারোহ। লঙ্গয়া এলাকায় দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে ডোয়াং নদী, শিলোই লেক। ভৌগোলিক অবস্থানগত বৈচিত্র্য প্রত্যক্ষ করার জন্য শ্রম ও সময় সাপেক্ষ সফর হলেও ইদানিং লঙ্গয়া গ্রামে পর্যটকদের যাতায়াত শুরু হয়েছে। পর্যটনকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য সরাসরি তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠেছে নাগাল্যান্ড বিজ্ঞান কেন্দ্র।
বরফে ঢাকা রাশিয়ার ‘মুরমন্সক’ আর মেরুজ্যোতি: অন্তিম পর্ব

এক বুক ধোঁয়া আকাশের পানে ছেড়ে দিলাম। সেই ধোঁয়া নানা বিভঙ্গে ভেঙে ভেঙে মিলেমিশে যাচ্ছে। আর হাওয়ার টানে দ্রুত অন্তর্হিত হয়ে যাচ্ছে। এই ধুম্রজালের রং যদি সবুজ লাল গোলাপি হত তবে তা মেরুপ্রভার মতোই দেখাত। সূর্যের জ্যোতি আর জোনাকির দ্যুতির মিলের মতন। তামাকের মেঘ সরে গেল, তার পিছনেই দেখি এক লম্বা সবুজের পটি, তির তির করে কাঁপছে। ময়ূরের লম্বা পেখমের মত। যেন শিখী তার পেখমের রংটুকু রেখে অদৃশ্য হয়ে গেছে। আমার পায়ের নীচের মাটিটা কি দুলছে দোদুল দুল? আমি কি ঠিক দেখছি? নাকি তামাকের ঘোরে ভ্রান্তিবিলাস! নিজের অজান্তেই চিৎকার করে উঠলাম। গাড়ির বনেট পাগলের মত চাপড়াচ্ছি প্রাণপণে। দুদ্দাড় করে দৌড়ে এল রোমান। তারপর আর সবাই।
রাশিয়ার ‘মুরমন্সক’ ঘুরে এসে লিখলেন বিদ্যুৎ দে…
এলোমেলো বেড়ানো: ১৩

গুয়াহাটি থেকে রেলপথে কামাখ্যা-লিডো ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে মাত্র এক রাতের যাত্রা। ৫৭০ কিলোমিটার পথ ১৪ ঘন্টায় পেরিয়ে গেলেই অসমের পূর্ব প্রান্তের শেষ জেলা তিনসুকিয়া-র একেবারে প্রান্তসীমায় অবস্থিত নর্থ ইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলের লিডো স্টেশনে পৌঁছে যাবেন।
বরফে ঢাকা রাশিয়ার ‘মুরমন্সক’ আর মেরুজ্যোতি: পর্ব ১

মুরমন্সকের প্রথম ভোর। কাচঘেরা বারান্দায় নীলচে আলোর আভা। পাশের পাহাড়টা এখনও টপকাতে পারেননি দিনমণি। তাই যতদূর দেখছি হালকা নীলাভ তুষারে ঢাকা। বাইরে পত্রহীন বৃক্ষ। ডালে ডালে লাইট শেডের মতো নতমুখে ঝুলন্ত একগুচ্ছ ফল। এর ওপর তুষারের স্তূপ, যেন বরফের বৃন্ত থেকে একটি ফুলের স্তবক আমাদের ভোরের অভিবাদন জানাচ্ছে। আর একদল পাখির কণ্ঠস্বর গার্ড অফ অনারের বাজনার মতো।
ঘুরে এসে লিখলেন বিদ্যুৎ দে…
এলোমেলো বেড়ানো: ১২

উৎস থেকে মোহনা পর্যন্ত ৩২০ কিলোমিটার দীর্ঘ কর্ণফুলীর ১৫৯ কিলোমিটার ভারতের মিজোরাম রাজ্যের পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে বয়ে চলেছে। এখানে মিজো ভাষায় নদীর নাম কথলাংতুইপুই (Khawthlangtuipui)।
পাহাড়ের কোলে ঝান্ডি-সুনতালে

একটা হেয়ারপিন বাঁকের পর উৎরাই। উপর থেকে গীতখোলাকে দেখা যাচ্ছে। বাকি পথটুকু দুমড়ে মুচড়ে আছে। পাহাড়ের ধার ঘেঁষে গাড়ি থামল। জলে ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে পিছল রাস্তা। সাবধানে পা টিপে টিপে ঝোরার সামনে ছোট সেতুটার ওপর এসে দাঁড়ালাম। স্থানীয় লোকজনদের এটাই চলার পথ। সমান্তরালে আরেকটা পরিত্যক্ত সেতু। গীতখোলার পুরনো ব্রিজ, সেবকের করোনেশনের আদলে আর্চ। চারপাশে আগাছা জন্মেছে। ওই ব্রিজের ওপরেই একপাশে শতরঞ্জি পেতে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে, আরেক পাশে রান্নাবান্না।
ঝান্ডি-সুনতালে ঘুরে এসে লিখলেন শ্রেয়সী লাহিড়ী
এলোমেলো বেড়ানো: ১১

দেশিয় পদ্ধতিতে তৈরি এই নুন সম্পর্কে রয়েছে বেশ কিছু শুভ বিশ্বাস। বিশেষত মণিপুরে এখনও মেয়েদের গর্ভাবস্থায় ও সন্তান প্রসবের পর শরীর সুস্থ রাখতে এবং পুষ্টির জন্য নিঙ্গেলের নুন খাওয়ানো হয়। এই নুন ধন্বন্তরির মতো কাজ করে বলে স্থানীয় মানুষের বিশ্বাস।
সমুদ্র নেই, খাঁড়ি নেই, নেই নোনা হ্রদও, তাও নুনের গ্রাম নিঙ্গেল, ঘুরে এসে লিখলেন অমিতাভ রায়
পিঁপড়ের ডিমের চাটনি খেতে জঙ্গলমহলের আমলাশোলে

সাবিত্রী জঙ্গলে যাবে পিঁপড়ে সংগ্রহ করতে। ওর বারো বছরের ছেলে মন্সা, আর মন্সার পাড়ার বন্ধু অরবিন্দ সঙ্গে যাবে। প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার এমন সুযোগ ছাড়া যায়! পিঁপড়ে শিকারীর দলে ভিড়ে গেলাম। সাবিত্রীদের বাড়ির পিছন দিকে কয়েক পা এগোতেই জঙ্গল শুরু। সাবিত্রী, মন্সা আর অরবিন্দ আগে আগে যাচ্ছে। আমরা ওদের অনুসরণ করতে লাগলাম। প্রথম দিকে পায়েচলা সরু বনপথ, পরে আর পথ বলতে কিছু নেই। লতা-পাতা সরিয়ে, ঝোপঝাড়ের খোঁচা খেয়ে, কখনও গাছের সরু ডাল ভেঙে এগোতে হচ্ছে।
আমলাশোলের আশ্চর্য অভিজ্ঞতা, লিখলেন শ্রেয়সী লাহিড়ী…