চাম্বাকৈলাস মণিমহেশ (শেষ পর্ব)

এগোতে থাকি গৌরিকুণ্ডের দিকে। বাঁ দিকের পাহাড়ে এক পথরেখা দেখতে পাই, সোজা উঠে গেছে পাহাড়ের মাথায়। ও পথেও যাওয়া যায় গৌরিকুণ্ড। তবে মানুষের মতো দু’পায়ে ভর দিয়ে নয়, শাখামৃগের মতো চার হাতপায়ে ভর করে। তাই ওই চড়াইপথের নাম বান্দরঘাটি।
চলিবলি রং তুলি: লাচেনে ইয়াক জবাই

এখানে এসে পর্যন্ত খাতা খোলা হয়নি। চটপট একপাশে বসে পড়লাম গুম্ফা আঁকব বলে। লাচেনপা তো থ। বলল, ‘দেন ইয়ু আর অ্যান আর্টিস্ট! তোমাকে আমাদের পিপন-এর কাছে নিয়ে যাব, হি লাভস আর্ট।’ আগেই শুনেছিলাম এ সব অঞ্চলে সমান্তরাল ভাবে একটা শাসনব্যবস্থা চালু আছে। লোকেরা ইচ্ছেমতো একজনকে বছর চারেকের জন্য তাদের মেয়র হিসেবে বেছে নেয়। এই মেয়রকেই বলা হয় পিপন। তাঁর আদেশই সবাই মেনে চলে। ঠিক হল আজ বিকেলেই যাব পিপন-দর্শনে। লাচেনপা-র দেখলাম এবার একটু ইতস্ততঃ ভাব। বলল, “ওখানে সবার সামনে আমাকে কিন্তু ‘রিংঝিং’ বলে ডেকো, ওটাই আমার নাম।”
চাম্বাকৈলাস মণিমহেশ (পর্ব ১)

রেলগাড়িতে হিমাচল ভ্রমণের সিংদরজা পাঠানকোট। সেখান থেকে বাসে চাম্বা শহর। দূরত্ব ১২০ কিমি। সময় লাগে ঘণ্টা পাঁচেক। বাস ছাড়ার কিছুক্ষণ পর থেকেই রাস্তা ধীরে ধীরে ঊর্ধ্বমুখী। পথের ধারের গাছপালা বর্ষার জলে স্নান করে ঝকঝকে সবুজ। অনতিউচ্চ টিলাগুলো যেন ঘন সবুজ রঙের বাহারি চাদর মুড়ি দিয়ে উবু হয়ে বসে রয়েছে। অনেক নিচ থেকে উঠে আসা পাইন, ফার, দেবদারুর পাতা আলতো ছোঁয়া দিয়ে যায় বাসের জানালায়।…
টিনটিনের সঙ্গে দেখা

শুধু টিনটিনের জন্য তৈরি মিউজিয়ামটির নাম, অ্যার্জে মিউজিয়াম। ব্রাসেলস শহর থেকে একটু দূরে, ট্রেনে করে যেতে হয়, ল্যুভেইঁ-লা-নিউভ নামে একটা নিরিবিলি স্টেশনের কাছেই।
সাসারামে একদিন – ইতিহাস ও স্থাপত্যের খোঁজ

বিহারের জঙ্গলে বাঘ মেরে ফরিদ খান শের খান নামে পরিচিত হন। পরবর্তীকালে এই শের খান বাবর পুত্র হুমায়ুন কে চৌসার যুদ্ধ (১৫৩৯) ও কনৌজের যুদ্ধ (১৫৪০) পরাজিত করে দিল্লির সিংহাসন দখল করেন। শেরশাহ সুরি উপাধি ধারণ করে দিল্লির সিংহাসন আরোহণ করেন। সিংহাসন আরোহণের সঙ্গে শুরু হয় রাজ্য বিস্তার। ১৫৪৫ সালে মার্চ মাসে কালিঞ্জর দুর্গ আক্রমণের সময় এক বিস্ফোরণে শেরশাহ মারাত্মক ভাবে অগ্নিদগ্ধ হন। তাদের প্রিয় সম্রাটকে বাঁচাতে রাজ চিকিৎসকরা গোলাপ জলে গোলা চন্দন কাঠের প্রলেপ সম্রাটের ক্ষতস্থানে লেপে দেন। কিন্তু কোনও কিছুতেই কোনও কাজ হয়না। তিন দিনের মাথায় মৃত্যু হয় শেরশাহের। তাকে সাসারামের বিশাল মকবরা অর্থাৎ সমাধিতে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
কাফকার বাড়িতে কফি!

এইবার প্রাগের সেই সোহাগী দুপুরে হাঁটতে হাঁটতে হাজির হলাম ফ্রান্জ কাফকা স্কোয়ারে। “ক্যাফে কাফকা” ফ্রাঞ্জ কাফকার বসতবাটি ছিল। এখন ব্যুটিক কফিশপ। লেখালেখি করি বলে আচ্ছন্ন হই কিছুক্ষণের জন্য।
বাঁশবেড়িয়ার হংসেশ্বরী মন্দির

এই মন্দির আর পাঁচটা সাধারণ মন্দিরের মত হবে না। এর গঠনশৈলীতে থাকবে রাজা নৃসিংহদেবের গূঢ় তান্ত্রিক বীক্ষার অভিজ্ঞান। তন্ত্রভিত্তিক যৌগিক সাধনায় মানবদেহের ভেতরে বিভিন্ন স্থানে পাঁচটা প্রধান নাড়ি (ঈড়া, পিঙ্গলা, সুষুম্না, বজ্রাক্ষ ও চিত্রিণী) এবং তেরোটা চক্র (মূলাধার, স্বাধিষ্ঠান, মণিপুর, সহস্রার ইত্যাদি) কল্পনা করা হয়ে থাকে।
উইকেন্ড ট্রিপে বৈদ্যপুর

ডে ট্রিপে ঘুরে আসুন বৈদ্যপুর। কলকাতার থেকে মাত্র ঘন্টা দুয়েকের দূরত্বে দেখে আসুন টেরাকোটা মন্দির, পুরনো জমিদারবাড়ি ও রাসমঞ্চর স্থাপত্য।