ইসমত ও অমৃতা– সমকালীন দুই ব্যতিক্রমী কণ্ঠস্বর

প্রচলিত সামাজিক অচলায়তনগুলির বিরুদ্ধাচারণের মধ্য দিয়েই মূলত অমৃতা ও ইসমতের লেখনীর বন্ধুত্ব, কিন্তু তা ছাড়া আরও একটি বৃহত্তর ক্ষেত্র আছে। নারীমনের গভীর, গোপন ও সূক্ষ্ম অনুভূতির গলিপথে অনায়াসে বিচরণ করেছেন তাঁরা দুজনেই। যে কথা কখনও বলা হয়নি, সে কথা নির্দ্বিধায় তুলে এনেছেন, যা সাহিত্যে আপাত-নিষিদ্ধ হয়ে ছিল তাকে পাঠক মননে জায়গা করে দিয়েছেন।… লিখলেন শতরূপা মুখোপাধ্যায়
রবীন্দ্রনাথকে লেখা চিঠি

আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মধ্যে ১৮৯৯ সাল থেকে গভীর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। দু’জনের মধ্যে নিয়মিত চিঠিপত্রের আদানপ্রদান হত। সেই প্রত্রাবলীর মধ্যে থেকে একটি চিঠি এই বরেণ্য বৈজ্ঞানিকের জন্মবার্ষিকীতে প্রকাশ করা হল।
নাট্যসমালোচনা: গোপাল উড়ে অ্যান্ড কোং

নাট্যটির মূল ভার বহন করছেন অভিনেতা নীল মুখোপাধ্যায় এবং নিবেদিতা মুখোপাধ্যায়। তাঁরা যথাক্রমে গোপাল উড়ে (নবীন) এবং তরঙ্গ, তথা বিদ্যা-সুন্দরের মালিনী মাসী। দুই দীর্ঘদিনের অভিনেতা তাঁদের সক্ষমতায় রঙ্গমঞ্চকে নানা রঙে রাঙিয়েছেন। গানে গোপাল, বিশেষ করে তরঙ্গ এবং বিদ্যার ভূমিকাভিনেতারা প্রশংসাযোগ্য। কিন্তু রাজপুত্র সুন্দর, এই চরিত্রাভিনেতার শারীরিক কাঠামোটি দুর্বল।… লিখলেন শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষ
নিবন্ধ: ভারতের প্রথমা বাঙালি ডাক্তার

সেইসময়কার মেডিকেল কলেজের গোঁড়া শিক্ষকরাও কাদম্বিনীর ডাক্তারি পড়ার ঘোর বিরোধী ছিলেন। অথচ তখন ঘরে ঘরে পর্দানসীন মেয়েদের চিকিত্সার জন্য মহিলা ডাক্তারদের খুবই প্রয়োজন ছিল। মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষক রাজেন্দ্রচন্দ্র চন্দ্র কাদম্বিনীর ওপর এতটাই ক্ষুব্ধ ছিলেন যে, তাঁর কাছে জমা পড়া তুলনামূলক শরীরবিদ্যা এবং মেটিরিয়া মেডিকার উত্তরপত্রে এক নম্বরের জন্য ফেল করলেন কাদম্বিনী। এমনকী কর্তৃপক্ষের সম্মতি থাকলেও উত্তরপত্র রিভিউয়ের সুযোগ পেলেন না কাদম্বিনী গাঙ্গুলি। … লিখছেন মধুছন্দা চক্রবর্তী।
ফিরিওয়ালার গল্প

সেকালে পথেঘাটে মেছুনিরা বাড়ি বাড়ি মাছ ফিরি করে বেড়াত। ঊনবিংশ শতকের খাদ্যরসিক কবি ঈশ্বরগুপ্ত লিখেছেন, নেটা, বেলে, গুড়গুড়ি প্রভৃতি মাছ এক ঝুড়ি তিনি এক আনা পনে মেছুনিদের কাছ থেকে কিনে আনতেন। ‘হুতোমপ্যাঁচার নকশা’ গ্রন্থে হুতোম মেছুনি প্রসঙ্গে লিখলেন, শোভাবাজারের রাজাদের ভাঙা বাজারের মেছুনিরা প্রদীপ হাতে করে “ও গামচা-কাঁদে, ভালো মাচ নিবি? ও খ্যাংড়া-গুঁপো মিন্সে চার আনা দিবি”- ইত্যাদি মিষ্ট ভাষণ প্রয়োগ ক’রে ক্রেতাদের ডেকে নিতেন।
রবীন্দ্রসঙ্গীতের আমির খাঁ

চেনা স্বরই, তবু কীরকম নতুন হয়ে ফিরে আসছে। আর একটু ভারী, আরও যেন নিটোল মধুর। কত স্বল্পশ্রুত, গভীর চেতনার গান তুলে আনছেন! সুবিনয় রায়ের ১০২তম জন্মদিনে লিখছেন শংকরলাল ভট্টাচার্য।
মারি ক্যুরি: এক অদম্য জেদের নাম

ঘরভাড়া দিয়ে তারপর পেট চালানোর মতো টাকাও থাকত না মারির কাছে। এক এক দিন একটা শুকনো রুটি আর কয়েকটা চেরি ফল খেয়েই দিন কাটত তাঁর। লাইব্রেরিতে পড়তে পড়তে মাঝে মাঝেই মাথা ঘুরে পড়ে যেতেন।… জন্মদিনে মারি ক্যুরিকে নিয়ে বিশেষ ফিচার
অভিজিৎ সেন- জনতার অর্থনীতিবিদ

স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থায়, কর্মসংস্থানে এবং দারিদ্র দূরীকরণে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির দৃঢ় সমর্থক ছিলেন অভিজিৎ সেন। প্ল্যানিং কমিশনে তিনিই ছিলেন দরিদ্র মানুষের পক্ষে প্রধান কণ্ঠস্বর।