ক্যালকাটা ফ্যান: এক অক্লান্ত সংগ্রামীর স্বপ্ন

১৯১৯ সালের গোড়ার দিকে ভারতের তৈরি ক্লাইড কোম্পানির প্রথম ইলেকট্রিক ফ্যান দেখা যায় কলকাতার লিন্ডসে স্ট্রিটের শো-রুমে, এবং এই ফ্যানের বাজার-চাহিদা এত বাড়ে যে, বিদেশে তৈরি ফ্যানের বাজার অনেকটা কোণঠাসা হয়ে পড়ে। এদিকে স্বভাবতই চাহিদা বাড়লে জোগানও বাড়াতে হবে। আর জোগান বাড়াতে দরকার উৎপাদনের বৃদ্ধি। তার জন্য কলকাতার বকুলবাগান অঞ্চলে একটি ট্রেনিং স্কুল খোলেন ক্ষীরোদবিহারী। সেখানে আর্মেচারে তার জড়ানোর কাজে মেয়েদের নিযুক্ত করা হয়।
যে গণিতশিল্পীকে মনে রাখিনি

কালিদাস রায় কেশবচন্দ্রকে ক্লাস ফাইভ সিক্সের জন্য একটি অঙ্কের বই লিখতে বলেন। তাঁর জোরাজুরিতে অল্পসময়ের মধ্যে পাণ্ডুলিপিও তৈরি করেন কেশবচন্দ্র। ইউ এন ধর অ্যান্ড সনস্ কালিদাস রায়ের বই ছাপতেন। তাঁদেরই প্রকাশনায় প্রকাশিত হল ‘নব পাটিগণিত’। খুব দ্রুত বইটি জনপ্রিয় হয়ে উঠল। কেশবচন্দ্র পেতে থাকলেন রয়্যালটির টাকা। কেশবচন্দ্রের অর্থনৈতিক অবস্থা এই প্রথম সুদিন দেখল। এর পরেই প্রকাশিত হয় তাঁর বিখ্যাত ‘ম্যাট্রিক ম্যাথামেটিক্স’ বইটিও।
…’গণিতশিল্পী’ কে সি নাগের জীবনসংগ্রাম নিইয়ে লিখলেন ঈশা দাশগুপ্ত
ভরা থাক স্মৃতিসুধায়’

বেতারে নিয়মিত অনুষ্ঠানে প্রধানত রবীন্দ্রসংগীত শুনিয়েছেন। রেডিওর নিজস্ব রেকর্ডের অনুষ্ঠানে অলোকনাথ দে-র সুরে শঙ্করলাল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে গাওয়া একটি দ্বৈতকণ্ঠের গান ‘গান গেয়ে বেলা যদি যায়’ বেশ আদৃত হয়েছিল। তবে রেডিওতে তাঁর স্মরণীয় গানটি ছিল রেডিওর জনপ্রিয়তম অনুষ্ঠান ‘মহিষাসুরমর্দিনী’-তে, পঙ্কজকুমার মল্লিকের সুরে ‘মাগো তব বীণে সংগীত’।
আমি জগদীশ: নাট্যসূত্রে শিহরণপ্রবাহ

নিপাট নিটোল প্রযোজনা। ভারী মঞ্চসজ্জা। গাছগাছালিতে বোঝাই। সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের আলোকসম্পাত বড়োই ভালো হওয়ায় তেলেজলেমিশ খেয়ে যায়। এমনকি লজ্জাবতী-পতঙ্গভুকের (‘পোকাখেকো’ নামটি আশু বর্জনীয়) ভাব-পাতানোর খেলাটিও মন দিয়ে দেখি আমরা। পিনাকী দত্তর আবহ সংগীতে সেকাল-একালের সেতুবন্ধন কতক অনায়াসেই ঘটে।
কলকাতার অজানা ইতিহাসের সাক্ষ্য দেয় এই রুপোর টোকেন

সামান্য মনে হলেও আসলে অসামান্য… একটা রুপোর চাকতি, আর তার সঙ্গেই জড়িয়ে আছে পরাধীন ভারতের এক বর্ণময় সময়কাল। ঔপনিবেশিক কলকাতার এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের সাক্ষ্য দেয় এই টোকেন…
কলকাতার ইতিহাসের সেই অজানা কথাই তুলে ধরলেন চন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়…
সম্রাট নন, ঈশ্বর

ব্রাজিলে পর্তুগিজরা এসেছিল যখন, সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিল আফ্রিকান ক্রীতদাসদের। প্রবল শক্তির সমাহার সেই ক্রীতদাসদের মধ্যে স্বাধীনতার বর্জ্র নির্ঘোষ ছিল। বহু জনই পালিয়ে গিয়েছিলেন জঙ্গলে। তাঁদের জিনগা বলা হত, ক্যাপোয়েরা ছিল তাঁদের লড়াইয়ের ফর্ম। মার্শাল আর্ট আর নৃত্য— দুইয়ের এক অলোকসামান্য যুগলবন্দি। সেই কৌশল চলে এসেছে ফুটবলে। দৃষ্টিনন্দন সেই স্টাইল। যা আফ্রিকার বীজ থেকে উত্থিত পেলের ভিতরেই ছিল।
…লিখলেন নীলার্ণব চক্রবর্তী
শান্তিনিকেতনে খ্রিস্ট জন্মোৎসব ও রবীন্দ্রনাথ

কবিতাটি ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ, অর্থাৎ ১৯৩২ সালে লেখা। এর সাত বছর পর, ১৯৩৯ সালের বড়দিনের আগে, এই কবিতা থেকে একটি গান তৈরি করেন রবীন্দ্রনাথ। যা সেই বছরে আশ্রমের খ্রিস্ট জন্মোৎসবের অনুষ্ঠান গেয়েছিলেন আশ্রমকন্যা ইন্দুলেখা ঘোষ। অ্যান্ড্রুজ সাহেব শেষবারের মতো সভাপতিত্ব করেছিলেন সেই অনুষ্ঠানে।
… লিখলেন অভীক চট্টোপাধ্যায়
মহাকাব্য, না কার্নিভাল! ছ’ঘণ্টার অবাক যাপন ‘ঊরুভঙ্গম’

মহাকবি ভাসের লেখা বিখ্যাত একাঙ্ক নাটক ‘ঊরুভঙ্গম’… নিরপেক্ষ সঞ্জয় বা বিজয়ী পাণ্ডব নয়, কুরুপতি দুর্যোধনের চোখ দিয়ে বর্ণিত হয়েছে এই নাটকের কাহিনি। সেই ধূসর যুদ্ধের পটভূমিকে পাখির চোখ করেই ছ’ঘণ্টার বিরাট এক ক্যানভাসে মহাভারতের নতুন ভাষ্য বুনেছেন মণীশ মিত্র।
দেখলেন শাশ্বতী সান্যাল