৮০ বছরে অসিত বসু: দ্য লাস্ট অফ দ্য মোহিকান

মঞ্চ, যাত্রা, চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, তথ্যচিত্রসহ অভিনয় শিল্পের নানা শাখায় জীবন জুড়ে বিচরণ করেছেন তিনি এবং এখনও সেই যাপনই করে চলেছেন। এই বিশাল কর্মকাণ্ডকে কোনও একটা ৩০ কিম্বা ৬০ মিনিটের তথ্যচিত্রের পরিসরে ধরে ফেলা অসম্ভব, কিন্তু পরিচালক এবং কলাকুশলীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় অসিত বসুর দীর্ঘ শিল্পজীবন যাপনের একটা অনবদ্য নির্যাস ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষিত হয়ে থাকল।
রাজধানীর বুকে প্রথম বইয়ের প্রকাশ: আমার স্বপ্ন উদ্যাপনের ডায়েরি

চারুপ্রভা সেনগুপ্তের জীবন ও স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর অবদান নিয়ে একটা গোটা বই লিখতে হবে। জানতে হবে সেইসময়কার সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট। শুধু তাই নয়, ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতিটি পর্যায় খুঁটিয়ে অনুধাবন করতে হবে। ফলে ন্যাশনাল লাইব্রেরি, স্টেট সেন্ট্রাল লাইব্রেরি, স্টেট আর্কাইভ, ব্যারাকপুর গান্ধী আশ্রম, চারুপ্রভার সিঁথির বাড়ি, যে স্কুলে পড়েছেন সেই ব্রাহ্ম গার্লসের পুরনো নথি ঘেঁটে দেখা থেকে চারুপ্রভার জীবদ্দশায় তাঁকে যাঁরা দেখেছেন তাঁদের সকলের সঙ্গে কথা বলা। চারুপ্রভা সম্পর্কিত প্রায় সমস্ত সম্ভাবনাময় জায়গা ঘুরে-দেখে-কথা বলে-তথ্য সংগ্রহ করে প্রায় পাঁচ-সাড়ে পাঁচ মাসের চেষ্টায় তৈরি করলাম ‘আগুনপাখি চারুপ্রভা’র পাণ্ডুলিপি।
বইপ্রকাশ ও পুরস্কার প্রাপ্তির অভিজ্ঞতা, লিখলেন মৌলি রায়…
অসীমা চট্টোপাধ্যায়– গর্বের উত্তরাধিকার

১৯৩৮ সালে সফল ও সার্থকভাবে রসায়নবিদ্যার স্নাতক হন অসীমা, তারপর ১৯৪০ সালে স্নাতকোত্তর। ১৯৪৪ সালে লিখিত হয় এক নতুন ইতিহাস। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম রসায়নের মহিলা ডক্টরেট ডিগ্রির অধিকারী হন অসীমা চট্টোপাধ্যায়– যার পোশাকি নাম তখন ছিল ‘ডক্টর অফ সায়েন্স’ বা ডিএসসি।
বৈজ্ঞানিক অসীমা চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে লিখলেন ঈশা দাশগুপ্ত..
‘বাংলার কিটস’: বিস্মৃতপ্রায় তরু দত্ত

জীবনের অধিকাংশ সময় ইউরোপে কাটালেও তরুর অন্তরে গভীর ভালোবাসা ছিল দেশের প্রকৃতি, গাছপালা, পুরাণ, মহাকাব্যের ওপর। তার সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতাটি ‘Our Casuarina Tree’। আরও একটি বিখ্যাত কবিতা ‘Lotus’। তরু দত্তের লেখায় মানবজীবনের সমস্যা যেমন উঠে এসেছে, পুরাণ, রামায়ণ, মহাভারতও ছুঁয়ে গেছে তাঁর সৃষ্টি। তৈরি হয়েছে সাবিত্রী, একলব্য, সীতা।
বিস্মৃতপ্রায় বাঙালি বিদূষী তরু দত্তকে নিয়ে লিখলেন রূপা মজুমদার…
মানবমিলনের প্রতীক কাজী নজরুল ইসলাম

প্রথমে নজরুলকে রাখা হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। সেখান থেকে আলিপুর সেন্ট্রাল, হুগলি জেল ও শেষে বহরমপুর জেল হয়ে প্রায় একবছর বাদে ছাড়া পান তিনি। জেলে নানারকম উৎপীড়ন তাঁকে ভোগ করতে হয়েছিল। বিশেষ করে, হুগলি জেলে থাকার সময় নির্যাতন চরমে ওঠে। এখানে কয়েদিদের জঘন্য খাবার দেওয়া হত। এর প্রতিবাদে নজরুলের নেতৃত্বে বন্দিরা অনশন শুরু করেন। রবীন্দ্রনাথের “তোমারি গেহে পালিছ স্নেহে…” গানের অনুসরণে নজরুল মুখে মুখে একটি ব্যঙ্গগান তৈরি করলেন, যা সবাই মিলে গাইতেন জেল-ওয়ার্ডেনকে উদ্দেশ্য করে― “তোমারি জেলে পালিছ ঠেলে/তুমি ধন্য ধন্য হে…”। এইসব কারণে, জেল-কর্তৃপক্ষ নজরুলের হাতে পায়ে শেকল দিয়ে আলাদা সেলে রেখে দেয়।
সাম্যবাদের জ্বলন্ত বিগ্রহ কাজী নজরুলকে নিয়ে লিখলেন অভীক চট্টোপাধ্যা
বাঙালি হয়েও আন্তর্জাতিক : শিল্পসাধক অতুল বসু

অতুল বসুর বিখ্যাত তৈলচিত্রে, পোট্রেটে এমনকি ল্যান্ডস্কেপেও পশ্চিমী ঘরানার শিল্পকলায় প্রভাব নিঃসন্দেহে প্রবল। মানবশরীরের সূক্ষ্ম রেখা, ভাঁজ, ছোট ছোট অ্যানাটমিক ডিটেইল মূর্ত হয়ে উঠত তাঁর ছবিতে। এই প্রসঙ্গে অবশ্যই উল্লেখ করতে হয় তাঁর ১৯২১ সালে আঁকা ‘The Bengal Tiger’ নামের আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের বিখ্যাত স্কেচটির কথা। একটা গল্প প্রচলিত আছে এই ছবিটি নিয়ে। শোনা যায়, বাংলার বাঘ আশুতোষ মুখার্জির এই আবক্ষ ছবিটি মাত্র ১৫ মিনিটে এঁকেছিলেন অতুল বসু। আজও এক দক্ষ শিল্পীর পেনসিলের আঁচড়ের সাক্ষ্য বহন করে ছবিটি।
তোরা বাংলা শিখে করবি কী তা বল!

তবুও বৈশাখের পঁচিশ, ফেব্রুয়ারির একুশ আর বিজয়া দশমীর রোমান্টিসিজমের দুনিয়া জুড়ে সদর্পে রাজ করে দৃপ্ত স্লোগানের ভাষা, উল্লাসের ভাষা— বাংলা। অন্য কোনও ভাষা সেখানে বড্ড বেমানান। কিন্তু ভাষাদিবসের ঠিক পরদিন সকালে, বাইশে ফেব্রুয়ারির কর্পোরেট সেক্টর, নামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুম, নিউজরুমের বিবিসি কিংবা পিটিআইয়ের সূত্র, ডব্লুবিসিএসের মেইন্সের পেপার থেকে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রিন্সিপাল— সবার কাছেই আবারও ভীষণ অনাকাঙ্ক্ষিত হয়ে দাঁড়ায় আমাদের আবেগের মাতৃভাষা।
বাংলা ভাষার হালহকিকত নিয়ে কিছু তিক্ত সত্যি, লিখলেন চিরঞ্জিৎ সাহা…
বাংলা ভাষা এবং ভাষা প্রযুক্তি

নানা ভাষা নানা মতের মিলনভূমি ভারতবর্ষ, যার সংবিধান স্বীকৃত ভাষার সংখ্যাই ২২। দেশের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা এমনই অজস্র মাতৃভাষা নিয়ে ভাষা-প্রযুক্তির মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশকে নতুন করে ভাবতে শেখাচ্ছে আমাদের দেশ। প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে গড়ে তুলছে বিশ্বজনীন আন্দোলন।
বাংলার ভাষা-প্রযুক্তি বিপ্লব নিয়ে লিখলেন অনুষ্টুপ ভট্টাচার্য…