দিও গান, দিও প্রাণ, দিও সুর (প্রবন্ধ)

supriti ghosh

রবীন্দ্রনাথ মজুমদার ও কমলা দেবীর কন্যা সুপ্রীতি মজুমদারের জন্ম ১৯২২ সালের ২৮ আগস্ট, উত্তর কলকাতার মির্জাপুর স্ট্রিটে। সুরে তাঁর দীক্ষা হয়েছিল জন্মলগ্নেই। জ্যাঠামশাই নৃপেন্দ্রনাথ মজুমদার শুধু বিখ্যাত ক্ল্যারিয়োনেট বাদকই ছিলেন না, ছিলেন বেতারের অন্যতম অনুষ্ঠান পরিচালক। সেই সূত্রে বাড়িতে যাওয়া-আসা ছিল হীরেন বসু, পঙ্কজকুমার মল্লিক, রাইচাঁদ বড়াল, প্রমুখ সে যুগের বিখ্যাত সুরসাধকদের। তখন বাড়ির এ ঘর সে ঘর থেকে ভেসে আসত দুই বোন ভারতী আর সুপ্রীতির গানের আওয়াজ।

লকডাউনে তারকাদের রোজনামচা

video by tolly stars during lockdown

স্বেচ্ছাবন্দি হয়ে তারকারা করছেনটা কী? আদতে আমি-আপনি যা করছি অনেকটা তাইই, কারণ তাঁদেরও অনেকের বাড়িতেই সাহায্যকারিণী মেয়েটি আসছে না, গাড়িচালক আসতে পারছেন না, আয়াদিদি আসতে পারছেন না। তারকাদের সব ক্ষেত্রে ওয়র্ক ফ্রম হোম-ও নেই। ফলে সোশ্যাল মিডিয়া, ঘরের কাজ, রান্না নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, মিম বানানো, ঠাট্টা ইয়ার্কি নিয়েই কাটছে তারকাদের গৃহবন্দিদশা।

‘ইভান্স চাইল্ডহুড’: স্বপ্ন-দুঃস্বপ্নের দোলাচল ও বিরহী পিতৃহৃদয়

Ivan's Childhood wikimedia commons

শেষ চলচ্চিত্রের শেষ দৃশ্যে, তারকোভস্কির সমগ্র চলচ্চিত্র ভান্ডারের শেষ দৃশ্যকল্পেও ক্যামেরা বেয়ে ওঠে সেই গাছটিকে যা বাবা ও ছেলে অতীতে পুঁতেছিল। সেটা তখনও অপুষ্ট, পাতাহীন তবুও তা প্রাণহীন নয় । ঘোড়া, আপেল, মাটি, জল, আগুন, ওড়ার রূপক – এই সব চিহ্নই তারকোভস্কির প্রথম ছবি থেকেই পরিলক্ষিত। নিজের ছেলে এবং পরবর্তী প্রজন্মের প্রতি আশা থাকে আলেকজান্ডারের, তারকোভস্কিরও, প্রথম থেকে শেষ ছবিতে ‘ট্রি অফ লাইফ’ এভাবেই বৃত্ত সম্পূর্ণ করে।

দেবিকা রানি – দ্য ফার্স্ট লেডি অফ ইন্ডিয়ান সিনেমা

Devika Rani portrait by Syamantak

তাঁকে বলা হয় – ‘দ্য ফার্স্ট লেডি অফ ইন্ডিয়ান সিনেমা’। একদিকে যেমন তাঁর অভিনয়শৈলী, গীতি-পারদর্শিতা এবং রূপলাবণ্য, তার সঙ্গে সমান্তরালে ‘বম্বে টকিজ’র একাধিক চলচ্চিত্র যা ভারতীয় নারীর সামাজিক অবস্থা এবং দুর্দশা অন্বেষণের এক যুগোপযোগী আয়না হিসেবেই প্রতিভাত হতে পারে । উল্লেখযোগ্য, জাতপাত এবং বিত্তের অসাম্যকে কেন্দ্র করে দেবিকা রানি অভিনীত অনেক ছবির বাস্তব আজকের ভারতের বাস্তবও ।

কারিগর সাহিত্য সম্মান ২০২০

কারিগর সাহিত্য সম্মান ২০২০

বিগত কয়েক বছরে বই প্রকাশে অনন্য স্বাক্ষর রেখেছে কারিগর। শুধু অন্য রকম লেখাই না, বই মুদ্রণেও রেখেছে স্বাতন্ত্র্য। অবশ্য, গাঙচিল বা সপ্তর্ষির মত প্রকাশকরা বরাবরই বই ছাপার বিষয়টিকে বইয়ের বিষয়ের মতোই সমান গুরুত্ব দিয়ে চলেছে। কারিগরও তার ব্যতিক্রম না। তাই কয়েক বছরের মধ্যেই এই প্রকাশনা নিজের জায়গাও করতে পেরেছে পাঠক মহলে। গত ১৪ মার্চ সন্ধেয় শিশির মঞ্চে কারিগরের তরফে আয়োজিত হয়েছিল এ বছরের সাহিত্য সম্মান অনুষ্ঠান। নতুন লেখকদের পুরস্কার প্রদানের পাশাপাশি বিশিষ্ট লেখকদের উপস্থিতিতে সমৃদ্ধ হয়ে উঠছিল আবহ।

ঘরে বাইরে- আঠেরো থেকে বিশ শতকের শিল্প

Old currency building Ghare Baire

খাঁটি দেশি শিল্পীরা, বেশিরভাগই বাঙালি, তাদের কাজের দুটি বৈশিষ্ট্য। রিয়ালিজম। রাজনৈতিক ও সামাজিক তথ্যের উপস্থাপনা। গোবর্ধন আশ , অতুল বোস , ললিতমোহন সেন, হেমেন্দ্রনাথ মজুমদার, সুশীল সেনের নাম উল্লেখযোগ্য। জলরং ও তেলরঙে করা প্রায় ফটোগ্রাফিক চেহারা। পাশ্চাত্যের প্রভাব স্পষ্ট, কিন্তু স্বদেশিয়ানার মজাও প্রচুর।

হে বসন্ত, হে সুন্দর

HIDCO Basantotsav

ইট-কাঠ-কংক্রিটে ঘেরা আমাদের কলকাতায় এখনও কি বসন্ত আসে? রংয়ে রসে তার উপস্থিতি আদৌ কি টের পাই আমরা? কেমন সে বসন্ত? এখানে তো শিমূল-পলাশের লাল নেই, রঙিন নরম রোদ্দুর নেই, ফিরোজা নীল আকাশ নেই! কেবল দূষণ আর ধোঁয়া আর ফ্লাইওভার আর আকাশঝাড়ু বাড়ির দল! তার ফাঁকে জংলি বসন্ত কোথায় লুকোবে আর কোথায় পালাবে?

মুখোমুখি পরিচালক অর্জুন দত্ত

Arjun Dutta facebook

নতুন পরিচালকেরা আসছেন। বিষয় নির্ভর ছবি হচ্ছে। টিপিক্যাল মারদাঙ্গা, মশালা বা লাভ স্টোরি দেখতে চাইছে না আর দর্শক। অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও প্রাণ খুলে তাই অভিনয় করতে পারছেন। আর্ট বা কর্মাশিয়াল নয়, ভালো ছবি দেখতে চাইছে দর্শক। বাংলা ছবির বিষয় আর দর্শক—দুজনেই সাবালক হয়েছে। এটা ভালো লক্ষণ।