দেবভাষায় অনলাইন প্রদর্শনী – সপ্তরথী

দেবভাষা বই ও শিল্পের আবাস-এর দুই কর্ণধার সৌরভ দে ও দেবজ্যোতি মুখোপাধ্যায়ের ফেসবুক পেজে সোমবার, ২৫ মে থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে এই অনলাইন প্রদর্শনী – সপ্তরথী। উপলক্ষ – রামকিংকর উৎসব। ফেসবুকেই প্রকাশিত হচ্ছে প্রদর্শনীর প্রয়োজনীয় আপডেট এবং ছবি দেখার ইউটিউব লিংক।…
‘যো’ লেখা টিশার্টেই প্রথম মুগ্ধতা

সম্প্রতি যোগেনবাবুকে নিয়ে তথ্যচিত্রটির কাজ সম্পূর্ণ করতে পেরেছি আমরা। ওঁর কলকাতার বাড়িতে, যেখানে ছবি আঁকার পাশাপাশি সাহিত্যচর্চাও করেন উনি, এবং শান্তিনিকেতনের বাড়িতে শুটিং করা হয়।…
কলকাতার ছবিঘর আর বচ্চন-ভক্তেরা (রম্যরচনা)

আমাদের ঠিক সামনেই বিরলকেশ একজন বসেছিল। সিনেমা সবে শুরু হয়েছে, আমার পাশের ছেলেটা ফটাস করে তার মাথায় একটা চাঁটা মেরে বসল। ব্যস, সিনেমা মাথায় উঠল। লোকটা পেছন ফিরে অশ্রাব্য গালাগালি শুরু করল।
সেই প্রভাতে নেই আমি (প্রবন্ধ)

ছায়াছবির জগতে পঙ্কজকুমার মল্লিকের প্রবেশ ত্রিশের দশকের গোড়ায় হলেও, প্রতিষ্ঠা পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল অনেকগুলি দিন। বেশ কিছু ছবিতে রাইচাঁদ বড়ালের সঙ্গে যুগ্মভাবে সঙ্গীত পরিচালনা করার পর, ১৯৩৭ সালে, ‘মুক্তি’ ছবির মধ্য দিয়েই একক সঙ্গীত পরিচালকরূপে প্রতিষ্ঠিত হন পঙ্কজকুমার, লাভ করেন অশেষ জনপ্রিয়তা।
শুধু সেই সে দিনের মালি নেই! (শেষ পর্ব)

উনি আজও আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ বন্ধু। প্রথম প্রেমে পড়া, প্রেম ভাঙা, পুরস্কার, শরীরখারাপ, সব কথা ওঁকে সকলের আগে জানাতাম। ওঁর কথা, ওঁর ঠাট্টা, ওঁর শিক্ষা- এ জীবনে ভোলার নয়। ডিসিপ্লিন, ডিটারমিনেশন, ডিভোশন – এই তিন শিক্ষা আমার ওর থেকেই শেখা। সারাজীবন ধরে এই পথেই চলেছি। আমার ক্ষমতা কী যে ওঁর সঙ্গীত আমি ধরব? আমি শুধু শিখতাম ওঁর জীবনদর্শন। উনি ছিলেন আমার বাবা। আমার সুহৃদ। আমার প্রেরণা।
শুধু সেই সে দিনের মালি নেই! (পর্ব ১)

এখন ভাবলে মনে হয়, ওই একুশ বছর বয়স বলেই অমন সাহস করতে পেরেছিলাম বোধহয়। রাগসঙ্গীতের রাজার সামনে বসে ‘এস যৌবন এস হে’ গেয়ে শুনিয়েছিলাম কী করে কে জানে! বলতে পার আমার ওপর অগাধ ভরসাটা তখন থেকেই।
হি ওয়জ আ জোভিয়াল ম্যান… (সাক্ষাৎকার)

ইরফানের যেটা ছিল, সেটা হচ্ছে সমস্ত বিষয়ে পড়াশুনো, সচেতনতা। ওর সঙ্গে সে বার খাবার টেবিলে আমাদের রীতিমতো একটা রাজনৈতিক আলোচনা চলেছিল বহুক্ষণ। দেশের সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে কথাবার্তা হল। এবং প্রতিটি ব্যাপারে ওর মতামত ছিল অত্যন্ত সুচিন্তিত। যে কোনও ব্যাপারে ওর সঙ্গে অনায়াসে আলোচনা করা যেত। ওয়র্ল্ড সিনেমা থেকে পুরনো হিন্দি ছবি – সমস্ত ব্যাপারে ও আপডেটেড।
‘বড় হয়ে ইরফান খান হতে চাই!’

এই যে পথ-সন্ধানের সাধনা, তার গোপন রহস্যটা কী? ইরফান বলছেন, “একেবারে ছোটবেলা থেকে যখন যে কাজটাই করেছি, মন-প্রাণ ঢেলে করেছি। সে ঘুড়ি ওড়ানোই হোক, বা ক্রিকেট, বা প্রেম। যা করেছি, নিজেকে তাতে ডুবিয়ে দিয়েছি। জিসকো বোলতে হ্যাঁয় হোঁশ খো দেনা! বাকিটা ভাগ্য, নিয়তি।”