লিয়র ও লিমেরিক (অনুবাদ ছড়া)

বাহারী এক টুপি মাথায় কন্যে ভারি লক্ষ্মী / বসলো এসে টুপিতে তার ডজনখানেক পক্ষী – / ছিঁড়লো টুপি এক নিমেষে / কন্যে দেখে বললে হেসে –
পুটাইবাবু বীর (ছড়া)

মাথায় নিয়ে গাছলা মুকুট! হলদে ফ্রেমে লাল ফুটফুট মানিয়েছে জোরদার! বীরের সাজে পুটাইবাবু খোলা তলোয়ার! লাল গামবুট পায়ের ‘পরে মুকুট থেকে পান্না ঝরে কী বা বলি আর! বীরের সাজে পুটাইবাবু ছড়ানো হাত তার!!
জঙ্গলের প্রতিশোধ (গল্প)

অবশেষে সেই সময় এল। খবর পাওয়া গেছে, সন্ধ্যের সময় ড্রাগনকে দেখা গেছে। আশা করা যায়, আজ রাতে আবার আসবে। কুড়ি কুড়ি দুই দলে ভাগ হয়ে গেছে হাতিরা। একদিকে কুম্ভীরক অন্যদিকে স্বয়ং জীমূত। তারপর?
আয়রন ম্যান ও ভয়াল ভাইরাস

হঠাৎ করে চায়ের দোকানে আয়রন ম্যানকে দেখে সবাই চমকে চোদ্দো! ট্যাঁপা তো চায়ের ভাঁড় উল্টে ফেলে নিজের বারমুডাটাই ভিজিয়ে ফেলল! দত্তবাড়ির বুড়োদাদু আস্তে করে আয়রন ম্যানকে জিজ্ঞেস করলেন, “ও বাবা টোনি, এই অসময়ে তুই আবার কশটিউম পরে চায়ের দোকানে উড়ে এলি কেন? কিচু হইয়েচে নাকি?” আয়রন ম্যান রেগে মেগে বলল, “বলি আক্কেলবুদ্ধি কি সব আলমারিতে তালা দিয়ে রেখে বেরিয়েছ? সবাইকে বার বার টিভিতে-রেডিয়োতে-কাগজে-ফেসবুকে বারণ করা হচ্ছে অকারণে ঘর থেকে বেরতে!
আমাদের আঁকার স্কুল

দিদু আমার আঁকার খাতা দেখতে খুব ভালোবাসত। প্রতি শনিবার আমি আঁকার ক্লাস থেকে ফিরে দিদুকে দেখাতাম সেদিনের আঁকা। আমার জলরং দিয়ে ছবি আঁকতে ভালো লাগে। গ্রামের ছবি, গাছপালার ছবি আঁকতে ভালো লাগে। কিন্তু ফিগার আমি ভালো আঁকতে পারি না। তাই আঁকতেও চাই না। স্যর বলেন ফাঁকিবাজ। দিদুও খুব ভালো ছবি আঁকত। আমাদের বাড়িতে দিদুর আঁকা ফ্রেম করে দেওয়ালে টাঙানো আছে। কিন্তু এখন আর পারত না। বলত আমার হাত কাঁপে।
সুয্যিমামার ছড়া

ইয়াব্বড় সুয্যিমামা ডানকুনিতে হাসে!
আকাশখানা ঝলমলাচ্ছে আশে এবং পাশে!
পকলুর কবিতা লেখা

পকলুর কবিতা লেখা। পকলুর ছবি আঁকা।
হাওয়ার হদিশ

উত্তরে বয় যে হাওয়া,
অনায়াসে যায় তা খাওয়া –
হাত গুনে বলছে যতো গণৎকার;
সরলে একটু পূবে –
স্বাদ তার যায় যে উবে,
অথচ গন্ধটা রয় চমৎকার।