ছোটদের ছড়া: শাল মহুলের স্বপন

খেলার পুতুল ভাদুটুসু/ বারমাইস্যা গান/ রাতের বেলা ঝুমুর হবে/ মায়ের নাড়ীর টান।
কিশলয় বিভাগের কচিকাঁচাদের জন্য সজল মন্ডলের নতুন কবিতা…
ছোটদের গল্প: আবার সতেরো বছর পরে

এই অবস্থায় সিকাডাদের বলে নিম্ফ। গায়ে কোনও ডানা নেই, তাই উড়তে পারে না। এদের সবারই বয়স সতেরো। এদের জন্ম হয়েছিল ওদের মা ডিম পাড়ার ছয় থেকে দশ সপ্তাহ বাদে। ডিম ফুটে এরা বেরোনোর পরেই এরা চলে গেছিল মাটির অনেক নীচে। সেখানে বিভিন্ন বড় বড় গাছেদের শেকড়ে বাসা বেঁধেছিল দলে দলে। সেখানে কোনও বিপদ নেই…
কিশলয় বিভাগের খুদে পাঠকদের জন্য নতুন গল্প, লিখলেন প্রান্তিক বিশ্বাস…
ছোটদের গল্প: ঘোলা জলে মাছ ধরা

নদীতে যারা থাকে, তারা একটু অন্যরকম একটা কায়দা করে। ওখানে এরকম মাড রিং তৈরি করার মতন বড় জায়গা থাকে না তো। তাই তিন চারটে ডলফিনের একটা দল একটা মাছের ঝাঁককে তাড়া করতে থাকে নদীর পাড়ের দিকে। মাছেরা পালাতে না পেরে দলে দলে পাড়ের ওপর উঠে গিয়ে খাবি খেতে থাকে। ডাঙায় তো ওরা বাঁচতে পারে না। তাই বাধ্য হয়ে জলের দিকে ফিরতে চায়।
কিশলয় বিভাগের খুদে পাঠকদের জন্য নতুন গল্প, লিখলেন প্রান্তিক বিশ্বাস…
ছোটদের গল্প: ছুটির ফাঁদে

মাত্রাতিরিক্ত গরম আর তাপপ্রবাহের কারণে ক’দিন পরেই স্কুলে ছুটি পড়ে গেল। গরমে কাবু বাবানকে নিয়ে সুজাতা-মলয় হাজির হল মেঘেদের বাড়ি—মৌসিনরামে। যে নামটা শুনলে প্রথমেই মেঘের কথা মনে আসে, সেই মেঘালয়ে। মেঘালয়ের পূর্ব খাসি পাহাড়ের কোলে— মৌসিনরামে সবসময়ই মেঘের আনাগোনা। তারা যেদিন পাইন গাছের বনের মধ্যে দিয়ে মৌসিনরামে ঢুকছিল, সেদিন মেঘ এসে যেন জাপটে ধরল তাদের। তারপর কী বৃষ্টি, কী বৃষ্টি! এত বৃষ্টি যে তিন দিন তারা কটেজ থেকে বেরোতেই পারল না।
…দিলীপ কুমার ঘোষের নতুন গল্প ‘ছুটির ফাঁদে’
ছোটদের গল্প: ঢেউ

কাছিমপুলের সদ্য যুবক কাছিম, নাম তার নিথুর। এই বৈশাখে আটানব্বইয়ে পা দিল। ইদানিং তার চশমা হয়েছে। বেশ ভারিক্কি চাল। অন্য পশু পাখিরা আড়চোখে দেখে, নিথুর সেটা বুঝতে পারে। একটু গর্ব হয়। চশমার সঙ্গে একটা বিজ্ঞভাব আসে।
ছোটদের গল্প: সাপের রাজা

কেউ আর শাঁখামুটিটাকে মারতে এগোল না। ব্যাটা ধীরে সুস্থে জলঢোঁড়াটাকে গিলল। শেষদিকে আর নড়তে-চড়তেই পারছিল না। শিশুতোষ গল্প দিলীপকুমার ঘোষের কলমে।
গল্প: মরুশহরে কেল্লাফতে

যেহেতু রাতে মরুভূমির মধ্যে দিয়ে ট্রেনটা যাবে আর আজ কোজাগরী পূর্ণিমা তাই ঠিক হল ওরা সারা রাত জেগেই কাটাবে। পৌনে বারোটায় ট্রেন ছাড়ল। অরূপ দাশগুপ্তের কলমে রহস্যরোমাঞ্চের গপ্পো।
ছড়া: হরেক ভূতের কিসসা

ভূত আছে আর শাঁকচুন্নি, পেতনি, বেম্মদত্যি,/ মানুষছানাপোনা যত ওদের নাকি পথ্যি।/ লিকপিকে ভূত সজিনগাছের সরু ডালে ঝুলবে,/ ফুলকো ভূতের ছানাগুলো রাগে কেবল ফুলবে।… মজার ভূতের মজার ছড়া লিখলেন মৃত্যুঞ্জয় দেবনাথ।