অথ আম কথা

আজ আমাদের সকলের প্রাণপ্রিয়া Mangifera Indica র বিশেষ দিন, প্লিজ ঘাবড়ে যাবেন না। সকলের জন্য বিশেষ দিন হয়, আর এমন সুন্দরী গুণবতী, রূপ রসের আধার যে তার বিশেষ দিন উদযাপিত হবে না তাই কখনও হয়!! আচ্ছা বেশ, আর জটিল কঠিন ধাঁধায় ঘোরাব না, সহজ সরল ভাষায় বলতে গেলে ২২শে জুলাই আমাদের জাতীয় ফল মানে আমের দিন, অর্থাৎ “জাতীয় আম দিবস” (National Mango Day)।
এক কাপ চায়ে আমি… পর্ব (৫)

কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই ভাদো সাহেব ঘটিবাটি গুটিয়ে পাড়ি দিলেন ইতালি। অ্যাডলফ প্লিভা তখন কিনে নিলেন ভাদোর তৈরি করা সেই দারুণ বেকারিটা এবং এর নতুন নাম দিলেন প্লিভাস বেকারি।
এক কাপ চায়ে আমি… পর্ব (৪)

আমি যে সময়টার কথা বলছি সেটা খুব সম্ভবত ১৯০০ দশক। কেননা গ্লেনারিজ-এর গোড়াপত্তন নিয়ে যত তথ্য ঘাঁটাঘাটি করি সব জায়গাতেই একই কথা লেখা – ‘over 100 years old’ (একশো বছরের বেশি পুরনো)। কোনও সাল তারিখের উল্লেখ পাওয়া যায়না। প্লিভা সাহেব খুব শিগগির এই বেকারির ৭৫% শেয়ার কিনে ফেললেন। গ্লেনারিজ বেকারির ইতিহাস নিয়ে লিখলেন মহুয়া রায়।
এক কাপ চায়ে আমি… পর্ব (৩)

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি থুড়ি, ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ১৯৬৪ সালে সিনচুলা চুক্তি (Treaty of Sinchula) সাক্ষর করে ডুয়ার্স ভুটানের থেকে নিয়ে নেয়। সেই সময় বড় সাহেবরা চা নিয়ে তৎপরতার সঙ্গে উঠে পড়ে লেগেছেন যাতে দার্জিলিংয়ের চা বাণিজ্যিক ভাবে সফল করা যায়।
হালিম খেয়ে জালিম হল দুনিয়া

মিষ্টি দই ভেবে হাঁড়ি খুলতে গিয়ে আগুন গরম ছোঁয়া পেলাম হাতে। দই তো গরম হওয়ার কথা নয়! মুখঢাকা হাঁড়ি থেকেই একটা গন্ধ আসছিল, ধনেপাতা-কাঁচামরিচের টাটকা সুবাসের সঙ্গে মোগলাই খাবারের মিশ্র গন্ধ! কাকা বলল, এখন খুলিস না, ঠাণ্ডা হয়ে যাবে, ইফতারে দিস। কী আছে জানতে চাইলে বলল, ‘হালিম’। ঢাকা খুললে দেখা গেল, থকথকে ঘন এক ডাল, যার উপর মোটা তেলের আস্তরণ আর সেই তেলের উপর ছড়ানো আছে এন্তার বেরেস্তা আর ধনেপাতা-কাঁচামরিচের মিহি কুচি।
মা-ঠাকুমার হেঁশেলের বৈশাখী রান্না

বিকেলে খেলে এসে দেখতাম, জলখাবারেও বদল এসেছে। গরম দুধের বদলে এক গ্লাস করে মিছরি আর লেবু দেওয়া ছাতুর শরবৎ। আর একটু খিদে পেলে কলা বাতাসা দিয়ে মাখা ভিজে সাবু। সারা গরমকাল এই চলত ঘুরিয়ে ফিরিয়ে। তবে নববর্ষের বিকেলের ‘এসোজন–বসোজন’-এর কথা ভেবে একটা নোনতা-মিষ্টি পদ ঠাকুমা আগেই বানিয়ে রাখতেন। এর নানা রকম নাম আছে; তবে আমাদের বাড়িতে বলা হত পেরাকি। বিকেলে বেশি লোকজন এলেই মন খারাপ; কারণ ঝুড়ির পেরাকি দ্রুত খালি হয়ে যাচ্ছে।
মা ঠাকুমার রান্নাঘরের পুরনো রেসিপি, সিক্রেট ফাঁস করলেন মন্দার মুখোপাধ্যায়…
নববর্ষে কবজি ডুবিয়ে বাঙালিয়ানার খানা তল্লাশি

শিল্প-সংস্কৃতি আর খাওয়াদাওয়া এক নিশ্বাসে বললেই যে পরিবারের কথা প্রথমে মনে আসে, তা হল জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার। এই ঠাকুর পরিবারেরই একজন অন্যতম সদস্য ছিলেন প্রজ্ঞাসুন্দরী দেবী। বাংলা নতুন বছর শুরু করা যাক ওঁর লিপিবদ্ধ করা অঢেল রেসিপির মধ্যে থেকে কিছু রান্না দিয়ে। যে সমস্ত রান্নায় নামীদামি রেস্তোরাঁর ছাপ নেই, আছে মা ঠাকুমাদের আঁচলের ছায়া আর ভালবাসা।
সেকালের রেসিপি একালের মতো করে সাজালেন শ্রুতি গঙ্গোপাধ্যায়
ইবাদত ও ইফতার

সেহরি বা ইফতারের খাবার খেতে হবে বুঝে-শুনে। এক সাথে অনেকটা ভারী খাবার না খাওয়াই ভালো, ভাজাভুজি তো খালি পেটে একদমই নয়… ক্যালোরি একটু কম হলেই ভালো, কিন্তু সুষম খাবারের পুষ্টিগুণের দিকেও নজর রাখতে হবে। ইফতারের খাবারে খেজুর, কলা, ডাবের জল, ফলের রস যেমন খুব উপকারী, সেরকম আরও কয়েকটি পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ উপকারী সুপার ফুড দিয়ে আজকের খাবার। আজ দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে উড়ে যাব সুদূর ইরানের ইফতার টেবিলে, কিংবা প্যালেস্টাইনের রান্নাঘরে আর মিশরের ওভেন থেকে বের করে আনব গরম কুকিজ…
শ্রুতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কলমে ইফতারের কিছু স্বাদু আর স্বাস্থ্যকর খাবারের রেসিপি