আপনি কনডাকটর না ইনসুলেটর?

ছোটবেলায় ধারণা ছিল ইলেকট্রিকাল কনডাকটার-এর আবিষ্কর্তা পাড়ার মিঠুদা। ওর দু’মহলা বাড়ির স্টোররুমের একটা দেওয়াল সারা বছর স্যাঁতস্যাঁতে। দেওয়ালের উপরের দিকে, এক কোণে একটা পেল্লায় মিটার বক্স। সেখান থেকে মোটা-সরু হরেক রকমের তার এদিক ওদিক হাঁটা লাগিয়েছে। একবার শাস্তিস্বরূপ বেচারা সন্তুকে কান ধরে দাঁড়াতে হয়েছিল ওই দেওয়ালের দিকে পিঠ করে। রাস্তায় বুলটিদির গলার আওয়াজে মিঠুদা একটু […]
রুশদের সঙ্গে দিঘা

দিল্লী কিংবা মুম্বই বিমানবন্দরে অনেক বিদেশি বিমান আসে আর এইসব শহরের নামী হোটেলগুলিতে কিছু ঘর এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলো সারা বছরের জন্যে নিয়ে রেখেছে। কলকাতার হোটেলগুলোর ভাগ্য এত ভালো নয় তাই সারা বছর ধরে হোটেল ভরানোর কথা ভাবতে হয়। নব্বই দশকের মাঝামাঝি অবধি কলকাতার এক প্রস্তুতিকারক কোম্পানির কাজে যখন অনেক রাশিয়ান ইঞ্জিনিয়র আসত, সবকটা হোটেল ঝাঁপিয়ে পড়ত তাদের রাখার জন্যে।
চেনা-অচেনা কনডাক্টর

একটা সময় ছিল যখন এই কলকাতা শহরটার এখান থেকে ওখানে যেতে হলে গেরস্ত বাঙালির বাস বা ট্রাম ছাড়া গতি ছিল না। ট্যাক্সি চড়াটা তাদের কাছে ছিল বিলাসিতা এবং প্রয়োজনের খাতিরে। এ শহরে অটো আর মেট্রোরেলের শুরু আটের দশকের প্রথম দিকে। কিন্তু এগুলোয় চড়ে তো সব রুটে যাওয়া যেত না। এদের গতিবিধি ছিল রেস্ট্রিকটেড।
পোষ মানানোর খেল

আগে সার্কাস মানে ছিল একটা মিনি চিড়িয়াখানা। বাঘ, সিংহ, হাতি, জলহস্তি, উট, ঘোড়া, কুকুর, ম্যাকাও, কাকাতুয়া-সহ নানারকম পাখি। সেইসব বাঘ-সিংহের খেলা দেখানো এখন ইতিহাস বা রূপকথা। অন্যান্য প্রাণীদের সার্কাসে ব্যবহার করাও হয়ত আগামীতে আইন করে বন্ধ করে দেওয়া হবে। তাতে আকর্ষণ কমবে সন্দেহ নেই। যেমন কমেছে বাঘ-সিংহের অনুপস্থিতিতে। কমেছে জৌলুস। উত্তেজনা। উন্মাদনা। আগে যেমন বাড়ির লোকের সন্তানকে সার্কাস দেখাতে নিয়ে যাওয়াটা একটা আবশ্যিক বিষয় ছিল, এখন তেমন নেই আর।
সার্কাস-গিরি-কান্তার-মরু: ইতিহাসের এক ঝলক

“রামমোহন রায়ের নাতির যে সার্কাস ছিল সেটা জানতেন?”
বক্তার নাম লালমোহন গঙ্গোপাধ্যায় ওরফে জটায়ু। গোয়েন্দা ফেলুদার রহস্য উপন্যাস ‘ছিন্নমস্তার অভিশাপ’-এ গাড়ি করে হাজারিবাগ যেতে যেতে লালমোহনবাবু ‘বাঙ্গালীর সার্কাস’ নামে যে বইটা পড়ছিলেন, তা থেকেই এহেন নানাবিধ তথ্যের ছিটে এসে লাগছিল পাঠকের গায়ে।
সার্কাসের মেয়েরা

অপর্ণা সেন একবার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ছোটবেলায় তাঁর খুব ইচ্ছে করত ট্রাপিজের খেলা দেখাতে। কিন্তু সে ইচ্ছে আর পূরণ হল কই! শুনে প্রশ্নকর্তা, প্রতিষ্ঠিত পুরুষ সাংবাদিক, বলেছিলেন, “সে জন্যে নিজের জীবনটা নিয়েই ট্রাপিজ খেললেন!” উত্তরে অপর্ণা সেন তাঁর স্বভাবসিদ্ধ অভিমানী গলায় জোর দিয়ে বলেছিলেন, “মোটেই না। মোটেই আমি আমার জীবনটা নিয়ে ট্রাপিজ খেলিনি!” ব্যতিক্রমী, সমাজকে […]
হারিয়ে যাওয়া সার্কাস

বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর তাতে শীতকালের সার্কাস এক অনিবার্য সংযোজন। আবাল্য এমনটাই জেনে এসেছি। কিন্তু নিয়ম করে শীতকাল এলেও, পরিযায়ী পাখির মতোই সংখ্যায় কমে আসছে সার্কাস। নানা অসুবিধার মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে কোনও রকম টিঁকে আছে সার্কাসের দলগুলো। চলতি বছরের ডিসেম্বরেও পোস্টার দেখা গিয়েছে অজন্তা সার্কাসের। মিনিবাসের পিছিনেই হোক বা ইতিউতি ভাঙা দেওয়ালে […]
পাখি আপন শিকার ধরে

“দিকে দিকে পাখি পাতা, জাল নয়” জয় গোস্বামীর এই কবিতার লাইনটি সবসময় মনে পড়ে, যখন ভারতবর্ষে রেকর্ড হওয়া পাখির প্রজাতির সংখ্যার দিকে তাকাই। ১২৫০টির মতন প্রজাতি রেকর্ড করা গেছে সারা ভারতে এবং এর মধ্যে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ থেকেই ৮৪৯ টি। ভারতে এই বিপুল পরিমান পাখির বৈচিত্র্য সম্ভব হয়েছে, তার কারণ এই দেশের ভৌগোলিক বৈচিত্র্য।