পাতা না পর্দা, তুমি কোন দল?

হিসাব বলছে, সারা দুনিয়ায় গড়ে প্রতি বছর যে পরিমাণ নতুন বই প্রকাশিত হয়, তার সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ। এগুলো অবশ্য সবই প্রকাশিত হয় প্রাতিষ্ঠানিক প্রকাশনা সংস্থা থেকে। এর সঙ্গে যদি নিজের গাঁটের কড়ি খরচ করে ছাপানো বইকেও যোগ করতে হয়, অর্থাৎ যে উদ্যোগকে আমরা সাধারণত সেল্ফ পাবলিশিং বলে জানি, তাহলে বছরভর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ছাড়ায় ৪০ লক্ষ। গুগল বুকসের একটি পরিসংখ্যান বলছে, ১৪৪০ সালে গুটেনবার্গ সাহেবের ছাপাখানার দ্বার উন্মোচনের পর থেকে সারা পৃথিবীতে প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ১৩ কোটি, সেল্ফ পাবলিশিংয়ের বই বাদ দিয়ে।
নবনীতা দেবসেন: একাকী প্রেমতৃষ্ণার যাত্রাপথ

নবনীতা দেবসেনের গদ্যরীতির সঙ্গে তাঁর কাব্যভাবনার কোথাও কোনও মিল নেই। গদ্যে তিনি চিরউচ্ছ্বল, চিরকিশোরী, চিরহাস্যময় এক ছটফটে কন্যা যে অবারিত বিস্ময়ে গ্রহণ করছে পৃথিবীর সমস্তটা। অথচ কবিতায় তিনি একাকী, নিঃসঙ্গ, রিক্ত, বিরহকাতর, স্তব্ধ। নবনীতার সেই গোপন অলক্ষ্য কাব্যপৃথিবীতে ভ্রমণ করলেন প্রীতম বিশ্বাস।
গল্প: লাস্ট ওভার

এই সময়টা অন্যদিন ওর জিম থেকে ফেরার সময়। আজ যায়নি। বড় ম্যাচের আগে জিমে যেতে বারণ করে মানুদা। ওতে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান লাগতে পারে। তবে জিম থেকে ফেরার পর ফলের রসটা খেতে ভোলে না। আজ বাড়িতে ফালতু কিচাইনে ওটাই ভুলে গিয়েছিল। কিন্তু মানুদা জানল কী করে?
মনীষা মুখোপাধ্যায়ের নতুন গল্প…
মঞ্জু ফুটবলই খেলবে

১৯৭৫ সালে যখন উইমেন্স ফুটবল ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া তৈরি করে মেয়েদের ফুটবলের প্রাতিষ্ঠানিক চেহারা দেওয়ার চেষ্টা শুরু হল, তখন সুশীল ভট্টাচার্যকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল প্রথমে বাংলা, তারপর ইন্ডিয়ার জন্যে টিম বেছে নিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার। এইভাবেই শান্তি মল্লিক, কুন্তলা ঘোষ দস্তিদার, মিনতি রায়, শুক্লা দত্ত, জুডি ডিসিলভাদের খুঁজে পেয়েছিলেন সুশীলবাবু। ১৯৯১ পর্যন্ত মহিলা ফুটবল টিমের অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করে গেছেন তিনি, আর তাঁর ছাত্রীরাও তাঁকে নিরাশ করেননি।
… লিখলেন ধ্রুবজ্যোতি নন্দী
মার্তা- এক সমান্তরাল ইতিহাসের মূলস্রোতে আসার দস্তান

মার্তার ফুটবলার হিসেবে উঠে আসার ইতিহাসও রোমাঞ্চকর। ব্রাজিলের পথে পথে ফুটবলের ঘ্রাণ, সেই অলিগলি ফুটবলের দেশে প্রায় সমস্ত মহাতারকারই উত্থান হয় গলি ফুটবল থেকে, দারিদ্রের মোকাবিলা করেই উঠে আসেন তাঁরা। মার্তার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
বৈষম্যের খেলায় আর কতদিন?

ঘোড়া যাঁর ক্রীড়নক, সেই সিনিসকা ঢুকতে পারলেন অলিম্পিকে। ভাই রাজা আজেলিয়াস-২ তাঁকে সেই ছাড়পত্র দিয়েছিলেন। তিনি তার পর তো কামাল দেখালেন। না, নিষেধ ভেঙে অলিম্পিকের মাঠে ঘোড়ায় তিনি চড়েননি। কিন্তু তাঁর চার-ঘোড়ার রথে তাঁর নিযুক্ত ঘোড়সওয়ার, অর্থাৎ কিনা তাঁর টিম ঘোড়দৌড়ে জিতে গেল।
গল্প: সন্তানসন্ততি

পাঁচ মেয়ে কোমর বেঁধে দাঁড়িয়েছে। তাদের একটি বিধবা, একটির স্বামী ডাকাতির আসামি, একটির স্বামী তাকে খেদিয়ে দিয়েছে ঘর থেকে। আদুরি ভাদুরির স্বামী চিটেরাম আর নিশ্চিন্ত হাজির। হাজির ভােলা সর্দার, তার বউ ময়না, তিনটে কচি মেয়ে সঙ্গে। মেয়েরা মা গিরিবালাকে বসিয়ে দিয়েছে পঞ্চায়েতের পাকা বারান্দায়।
… অমর মিত্রের নতুন গল্প ‘সন্তানসন্ততি’
গল্প: মোহর আলির ছায়াবেগম

এই কোয়ার্টারে যত কাজ সব তো রাতেই। সকালের কাজ বলতে, এই একটু বাজার করা, একটু রান্নাতে সাহায্য করে দেওয়া, আর মেয়েগুলোর কিছু কাজ করে দেওয়া।