মিশনের নিরামিষ থেকে স্কটিশ ডাফের আমিষ

hostel life illustration by Suvomoy Mitra

ওখানে বসে চা খেতে গিয়ে চায়ের কাপের নৃত্য দেখে ভূমিকম্প হচ্ছে ভেবে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে গিয়ে জেনেছিলাম, পাশের ট্রামলাইন দিয়ে ট্রাম গেলে ওখানকার চা নাচে।

কিন্তু সবার চাইতে ভালো, দুধ-রুটি আর একটু গুড়!

Hostel Canteen

সাড়ে চুয়াত্তরে ভানুর সেই অমোঘ উক্তি মনে পড়ে? বোর্ডিংয়ের যা চা, তিত্যাঅ্যা! সেই একই কথা বোধহয় তামাম ভারতের হোস্টেলবাসীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। হোস্টেলে দারুণ খাবার দেয়, এমন কথা বললে ঘুড়ায়ও হাসব। সেই রকমারি অখাদ্য-সুখাদ্যের ফিরিস্তি দিলেন ডাঃ অন্বেষা সেনগুপ্ত।

কলকাতা ‘৭০ আর হস্টেলের গল্প

Naxalbari movement in Kolkata

অলিভ, ওয়ান আর পি জি মিলিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে শখানেক ছেলেপুলের থাকাখাওয়া, শেল্টারের ব্যবস্থা হত এই তিন ছাত্রাবাসে। এছাড়াও যেকোনও ছোটবড় গোপন গ্রুপ মিটিং-এর অন্যতম নিরাপদ ঠিকানা ছিল অলিভ, পিজি আর ওয়ান হস্টেল।

অনুশাসনের ফাঁক গলে সিনেমা দেখাও চলত দেদার

হোস্টেল মানেই শুধু বাঁধনছেড়া ফুর্তি আর উল্লাস? তা মোটেই নয়! কড়া অনুশাসনে, কৃচ্ছ্বসাধনে বেড়া ওঠা ছাত্রের মনের গভীরে প্রোথিত হয়ে যায় এক অন্যতর জীবনবোধ। ছাত্রাবাসের দিনগুলি যেমন বাঁধ ভাঙার উচ্ছাসের, তেমনই বাঁধা পড়ার লাগামেরও। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সেই অনুশাসন নিয়ে লিখলেন ডাঃ সোমনাথ কুণ্ডু। …

বিস্ময়ের আর এক নাম কলকাতা ‘খ’

Calcutta B

কলকাতা খ। রবিবারের দুপুর। রেডিয়োর নব ঘোরালেই ইংরিজি গানের রিন রিন সুর। কখনও হ্যারি বেলা ফন্টে, কখনও জিম রিভস, আবার কখনও ক্লিফ রিচার্ড। কলকাতাকে এমন করে পাশ্চাত্যের সুরে মাতিয়ে দিয়েছিল যে বেতারকেন্দ্র, তারই স্মৃতিচারণ অভিজিৎ সেনের কলমে। …

রেডিয়োর ধারাভাষ্যকে আমাদের পবিত্র কর্তব্য বলে মনে করতাম

Sukumar Samajpati

দীর্ঘ আড়াই দশক ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার হিসেবে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন আকাশবাণীর সঙ্গে। গিয়েছেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে। পরে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবেও যোগ দিয়েছেন নানা অনুষ্ঠানে। নিজের বেতারজীবনের আখ্যানে অকপট সুকুমার সমাজপতি। …

ম্যাজিক বাক্সের অন্দরমহল!

Radio

প্রযুক্তির গুঁতো খেয়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার অনেক সৌন্দর্য্য হারিয়ে গিয়েছে। কিন্তু রেডিও যেন আজও বেঁচে আছে তার লাইভ ব্রডকাস্টিংয়ের উত্তেজনার মধ্যে, ভিন্টেজ রেডিও সংগ্রাহকদের শতাব্দী-প্রাচীন ভালভ আর পিনে! ফুঁ দিয়ে ইতিহাসের ধুলো ওড়ালেন অনির্বাণ মিত্র।

দীপনারায়ণ মিঠোলিয়া – বেতারের এক অবিস্মরণীয় বিস্মরণ

কলকাতা বেতার মানেই বাঙালির প্রাণের জিনিস। মহালয়া তার আজীবনের মননসঙ্গী। কিন্তু সেই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এক প্রতিষ্ঠানস্বরূপ হয়ে বিরাজ করেছেন জনৈক অবাঙালি ভদ্রলোক, দীপনারায়ণ মিঠোলিয়া। রবীন্দ্রসঙ্গীতের ভাষান্তর থেকে শুরু করে বাংলা ছায়াছবির গান, হিন্দি-উর্দু অনুষ্ঠানের প্রযোজনা, সে ভাষায় বেতার নাটকের অনুবাদ ও প্রযোজনা– কী করেননি তিনি! আমরা তাঁকে সম্পূর্ণ বিস্মৃত হয়েছি।