বাঙালির ভোগের বাড়ি!

বাঙালি এখনও বাঙালির সমালোচনায় এক নম্বরে। এই ইগো ধারণ করে রাখতে পারাও কৃতিত্বের ব্যাপার বৈকি! বাঙালির ভোগের বাড়ি যাওয়ার ধারণা নিয়ে বাঙালির জয়গাথা লিখলেন অনুব্রত।
গাটার অ্যান্ড হপার টু হোম ডেলিভারি

ভোগ ছাড়া পুজো? এ যেন মোবাইল ছাড়া জীবনের মতো শোনাচ্ছে। পুজোর ভোগের পঞ্চব্যঞ্জন সাজিয়ে দিলেন কৌশিক মজুমদার।
তুমি আসবে বলে তাই

যত লাখ টাকারই ব্যবসা হোক, গরিব হকার বোধহয় শেষ পর্যন্ত গরিবই থেকে যান। ওঁদের হয়তো একটাই সান্ত্বনা, যে ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে দোকান গুঁড়িয়ে গেলে, বা মাঝরাতের আগুনে সব পুড়ে খাক হয়ে গেলেও, তার আর্থিক ক্ষতির ধাক্কাটা ওঁদের সামলাতে হয় না। কিন্তু ব্যবসা যদি না হয়, বাজার যদি না জমে, তার দায় তো নিশ্চিত ওঁদেরই।
গড়িয়াহাট – এক অলীক মানচিত্র

মেয়েদের ঢেউ খেলানো চুল সামনে থেকে সরে গেলে, ফাঁকা দোকানে একটু নজর বোলাতে পারলে দেখা যাবে ঝুমকো কিংবা পাথর বসানো, রূপোলি, সোনালী, কপারিশ, অক্সিডাইসড সমস্ত রকমের দুল। দেখা যাবে উঠতি স্টাইলের কাপড়ের বিডসের গয়না সঙ্গে প্যাঁচা বা দুর্গার মুখ আঁকা পেন্ডেন্ট।
দক্ষিণ–আপন

এই বয়সে এখন সব চেয়ে আরাম দক্ষিণাপণ যাওয়ায়। এখনও সকাল এবং বিকেলের স্বাভাবিক আলো মেখে এ ছাদ ও ছাদ পার হয়ে, কেনা কাটা করা যায়। দেখা যায়, কোনও গেম ছাড়াই নিজের হাত নিয়ে, পা নিয়ে হৈ হৈ করে বাচ্চাদের ছোটাছুটি; মধুসূদন মঞ্চে নাটকের থার্ড বেল পড়বার আগে টুক করে কিনে নেওয়া যায় কত কিছু।….
আউট ফর ডেলিভারি

পুজো মানেই বাজারে ভিড়। শাড়ি-গয়না-জুতো-ব্যাগ-পারফিউম, ঘুরে ঘুরে শুকতলা খোওয়ানো। কিন্তু সেসব দিন তো বিগতপ্রায়! গোদের উপর বিষফোঁড়া – করোনা। ফলে কেউই আর বাজারমুখো হচ্ছেন না। তাহলে উপায়? ফিকর নট্… রয়েছে অনলাইনে হাজারো দোকান!
শ্রীসদন হস্টেল – এক রহস্যময় ছাত্রীনিবাস

কে জানে কেন আমার মনে হয়েছিল, শান্তিনিকেতনে গেলে পাব অবাধ স্বাধীনতা। মায়ের শাসনমুক্ত একটা খোলা দুনিয়া। ফলে পাশ করার অন্য কোথাও অ্যাপ্লাই না করেই চোখ-কান বুজে ‘উত্তর শিক্ষা সদন’-এ ভর্তি হয়ে গেলাম। ভর্তি হয়ে গেল আমার সেই বান্ধবীটিও। দুজনেই খুব খুশী সেকারণে।
‘আড়াই’ টপকালেই দিলীপদার পরোটা-আলুরদম

হুট্ করে ক্যাম্পাস থেকে বেরতে হলে এই আড়াই ছিল ভরসা| বেশ খানিকটা হ্যাঁচর-প্যাঁচোড় করে পাঁচিলের মাথায় উঠে ধুপ করে অন্যদিকে লাফিয়ে পড়তে হত| ল্যান্ড করার পর এক মুক্ত পৃথিবী — বাঁ দিকে রাজপুর| ডান দিকে কলকাতা| নরেন্দ্রপুর তখনও শহর কলকাতার বাইরে|