চ্যাট-জিপিটির প্রথম পাঠ

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) আর মেশিন লার্নিং (ML) – এদের একসঙ্গে AI-ML বলে দাগিয়ে দেওয়া হলেও এ দুই আলাদা জিনিস। আমি সে সব কচকচিতে ঢুকব না। খালি একটা জিনিস বলে নিই মেশিন লার্নিং সম্বন্ধে। মেশিন লার্নিং শব্দবন্ধের মূল অর্থ হল এমন পদ্ধতি যা মেশিন নিজে নিজে শিখবে, মানুষকে পইপই করে ইন্সট্রাকশন দিতে হবে না। সেই নিজে নিজে শেখার জন্যে প্রয়োজন প্রচুর তথ্য।
চ্যাট জিপিটি নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক কথাবার্তা, লিখলেন সম্বিৎ বসু…
যদি প্রেম দিলে না প্রাণে

এই বছর প্রায় ৪০% মার্কিন পুরুষ তাঁদের প্রেমাস্পদের জন্য ভ্যালেনটাইন নোট এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে দিয়ে লিখিয়েছেন। এর ফলাফল কিন্তু চমকে দেওয়ার মতো! সেই সমস্ত পুরুষের প্রেমিকারা এইরকম প্রেমপত্র পেয়ে রীতিমতো খুশি! প্রাপকদের সিংহভাগ বুঝতেই পারেননি এই নোট কোনও যন্ত্র লিখেছে…অর্থাৎ ঝোল রান্না থেকে ঝিনচ্যাক ড্যান্স, সবেরই ত্রাণকর্তা চ্যাট-জিপিটি।
বর্তমান সমাজে নতুন চ্যাটরব চ্যাট-জিপিটি’র প্রভাব নিয়ে কলম ধরেছেন অনুভা নাথ…
প্লেব্যাক থেকে অভিনয়: বহুমুখী অনুভার দীপ্তি

অনুভা গুপ্তার অভিনয়ের প্রধান সম্পদ ছিল তাঁর চোখদুটি। অভিনয়ের ক্ষেত্রে চোখের ভূমিকা যে কত বড়, তা আমরা জানি। অনুভার ক্ষেত্রে তার অন্যতম সেরা দৃষ্টান্ত বোধহয় দেখা যায়। শুধুমাত্র তাকানোর ধরনে তফাৎ ঘটিয়েই তিনি অভিনীত চরিত্রটিকে দর্শকমনে গেঁথে দিতে পারতেন। নায়িকা হিসেবে বাংলা সিনেমায় যে কজন শিল্পী নিজেদের শক্তিশালী অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, অনুভা গুপ্তা অবশ্যই তার প্রথম সারির একজন।
অভিনেত্রী অনুভা গুপ্তের নানামুখী প্রতিভার গল্প, লিখলেন অভীক চট্টোপাধ্যায়…
উত্তমের নায়িকা হতে সত্যজিৎকে ‘না’, সত্তরের সাহসিনী আরতি ভট্টাচার্য

সাত-সাতটি ছবি আরতি করেছেন উত্তম কুমারের সঙ্গে। তার মধ্যে দুটি শ্রেষ্ঠ ছবি ‘স্ত্রী’ এবং ‘আমি সে ও সখা’। ‘আমি সে ও সখা’র খল চরিত্রটি আরতি করতে চাননি। কিন্তু উত্তমের অনুরোধে রাজি হন। এই চরিত্র করে আরতি শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রীর বিএফজেএ পুরস্কার পান। ছবিতে উত্তমের সঙ্গে আরতির একটি চুম্বন দৃশ্য ছিল। আরতিকে উত্তম দেখিয়ে দিয়েছিলেন ক্যামেরার সামনে মাথা পিছনে রেখে কীভাবে চুমু খাওয়া সামলাতে হয়।
লিখলেন শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়…
মঞ্জু দে: স্মৃতি বিস্মৃতির ধারাপাত

সহজাত দক্ষতায় অভিনয়ের মাধ্যমে নানারকম চরিত্রকে দর্শকদের সামনে বিশ্বস্তভাবে অনায়াসেই ফুটিয়ে তুলতে পারতেন মঞ্জু দে। ফ্লোর জোন নির্বাচন, সঠিক এঙ্গেলে ক্যামেরার মুখোমুখী হওয়া ইত্যাদি টেকনিক্যাল বিষয়গুলি অতি দ্রুত রপ্ত করে নিয়েছিলেন তিনি। আমার তো মনে হয়, সে সময়ের ক্যামেরা পরিস্থিতি অনুযায়ী ঠিক কোন মাপের মুখভঙ্গি বা শরীরী ভাষা দাবি করছে, সেটাও তিনি ভাবতেন। কোনও ম্যানারিজম ছিল না তাঁর। কণ্ঠস্বরে ছিল তীক্ষ্ণতা ও মাধুর্যের এক স্বাভাবিক সমাহার, উচ্চারণ ছিল শুদ্ধ এবং সেই স্বরের ওঠানামা স্বাভাবিকভাবেই নাট্য-মুহূর্তের দাবি মেটাত।
অভিনেত্রী মঞ্জু দে ও তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে লিখলেন তাঁর পরিবারেরই অন্যতম সদস্য অমিত দে…
তারকা নয়, অভিনেত্রী

জীবন সায়াহ্নে তিনি থাকতেন আলিপুরের কাছে এক বৃদ্ধাবাসে। দশ বছর আগে, সেখানে এই প্রতিবেদকের সুযোগ হয়েছিল তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়ার। উঠেছিল রেডিও নাটক ও উত্তর কলকাতার থিয়েটারের কথা। দুই মাধ্যমেই তিনি ছিলেন সমান দক্ষ।
বাংলা ছবির বেশ কিছু দক্ষ প্রতিভাময়ী অভিনেত্রীকে নিয়ে লিখলেন অভিজিৎ সেন…
প্রথম নারী আত্মজীবনীকার রাসসুন্দরী দেবী

রান্নাঘরে ওই দেড়হাত ঘোমটা ঢাকা মোটা শাড়ি পরা অবস্থানই তাঁর কাছে সুযোগ হয়ে দেখা দিল। ঐ ঘোমটার আড়ালেই রাখলেন লুকিয়ে সংগ্রহ করা স্বামীর চৈতন্য ভাগবত পুঁথির একটি পাতা, ছেলের অ আ ক খ, মকশো করার একটি তালপাতা আর ছোটবেলার স্মৃতিতে ধরে রাখা অ আ ক খ উচ্চারণ। কিন্তু সেও তো এগারো বারো তেরো বছর বয়সের স্মৃতি। সেই স্মৃতির পাতাটি তিনি পুঁথির পাতা আর ছেলের তালপাতার পাশাপাশি রাখার চেষ্টা করেন, চারপাশের লোকজনের কথাবার্তার সঙ্গে মেলান।
প্রথম নারী আত্মজীবনীকার রাসসুন্দরী দেবীর জীবনের নানা কাহিনি, লিখলেন সুমিত্রা চৌধুরী
অন্য চোখে— বিজ্ঞানসাধক রাজেশ্বরী

বলা হয়ে থাকে, ডক্টর সিভি রমনের অধীনে কাজ করতে চেয়েছিলেন রাজেশ্বরী, কিন্তু রমন অনুমতি দেননি। রমন তখন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের প্রধান। প্রথিতযশা বিজ্ঞানীর সঙ্গে কাজ করতে চেয়ে এমন অর্ধচন্দ্রে নিঃসন্দেহে খুবই মুষড়ে পড়েন সদ্য তরুণী কৃতি বিজ্ঞানপড়ুয়া। সিভি রমনের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়, বারবার শোনা গিয়েছে।
বিজ্ঞানী রাজেশ্বরী চট্টোপাধ্যায়ের জীবনের জানা অজানা নানা কাহিনি… লিখলেন নীলার্ণব চক্রবর্তী