রিভিউ: রাজা রবি বর্মা: দুজন পরিচালক, দুটি ছবি

যেহেতু দুটি ছবিই একজন চিত্রশিল্পীর জীবন ও কর্মের সঙ্গে যুক্ত, তাই দুটি ছবিতেই রঙের অজস্র বাহার, দৃষ্টিসুখের ছড়াছড়ি। ক্যানভাসের পাশাপাশি জীবন জুড়েও রং, ছবির গোটা পরদাটাই রঙে ভরপুর– যেন সেলুলয়েডে তুলি (ক্যামেরা) দিয়ে ছবি আঁকা হয়েছে। রাজা রবি বর্মা ভারতীয় চিত্রকলাকে বরাবরের মতো বদলে দিয়েছিলেন…
মূল ফিল্ম রিভিউটি হিন্দি ভাষার উল্লেখযোগ্য সমালোচক ড: বিজয় শর্মার লেখা, বাংলায় অনুবাদ করেছেন অমৃতা বেরা…
জন বিসালের কবিতা: রাত্রি নামে

নাগাল্যান্ডের কবি জন বিসাল মূলত ইংরেজি ভাষায় কবিতা লেখেন। তিনি নিজেই তাঁর পঞ্চাশটি কবিতার ডিহাং উপজাতীয় অনুবাদ-সংকলন প্রকাশ করেছেন ১৯৮১ সালে। দিল্লিতে পড়াশুনা করেছেন। কৃষিবিদ্যায় স্নাতক, কৃষিই তাঁর জীবিকা।
কবিতাটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন প্রাক্তন অধ্যাপক, গবেষক, অনুবাদক ও প্রাবন্ধিক স্বরাজব্রত সেনগুপ্ত। অনুবাদ পত্রিকা ও ভাষা সংসদের যৌথ ব্যবস্থাপনায় ‘সোনালী ঘোষাল সারস্বত সম্মান’ (২০২৩)-এ ভূষিত করা হচ্ছে শ্রী স্বরাজব্রত সেনগুপ্তকে। আজীবনের সাহিত্যসাধনার জন্য তিনি জীবনকৃতি সম্মান পাচ্ছেন এবছর।
গল্প: বাঁচবার দিন: তরুণ কান্তি মিশ্র

আগে ও খুব কাঁদত, ছোট্ট বাচ্চাদের মতো। এমনকি বাইধরের পায়ের উপরে মাথা রেখে বলত, চোখের জলে, চুমুতে ভিজিয়ে দিত তার দুটো পা– আমাকে ছেড়ে কোথাও যেও না, তোমাকে আমার দিব্যি। বাইধর তখন চুপ থাকত, একদম নীরব। কাঁদতে কাঁদতে সাবিত্রী অসাড় হওয়ার পড়লে ও ঘর থেকে বেরিয়ে যেত, চুপচাপ।
ওড়িয়া ভাষার বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক তরুণ কান্তি মিশ্রের গল্প ‘বাঁচবার দিন’, বাংলায় অনুবাদ করেছেন প্রদীপ কুমার রায়
সুশ্রীরাণী তামসোমের কবিতা: নদী

মূল কবিতাটি ‘হো’ ভাষার কবি সুশ্রীরাণী তামসোম-এর লেখা। ‘নদী’ শিরোনামে কবিতাটির বাংলা অনুবাদ করেন কবি মোহিনীমোহন গঙ্গোপাধ্যায়। অনুবাদ পত্রিকা ও ভাষা সংসদের যৌথ ব্যবস্থাপনায় ‘সোনালী ঘোষাল সারস্বত সম্মান’ (২০২৩)-এ সম্মানিত করা হচ্ছে শ্রী মোহিনীমোহন গঙ্গোপাধ্যায়কে। আজীবনের সাহিত্যসাধনার জন্য তিনি জীবনকৃতি সম্মান পাচ্ছেন এবছর।
জর্জ অরওয়েলের ‘অ্যানিম্যাল ফার্ম’: পর্ব ১৬

এক রাতে বারোটা নাগাদ হঠাৎ খামারের উঠোনে কিছু একটা ভেঙে পড়ার জোর শব্দ পাওয়া গেল। জন্তুরা হুড়মুড়িয়ে বেরিয়ে এল নিজেদের খুপরি থেকে। জ্যোৎস্না রাত৷ চাঁদের আলোয় ভেসে যাচ্ছে চারিদিক। সবাই দেখল, গোলাবাড়ির দেওয়ালের একেবারে শেষ প্রান্তে, যেখানে সাতটি বিধান লেখা আছে, তার ঠিক নীচে দু-টুকরো হয়ে ভেঙে পড়ে রয়েছে একটা মই। আর সেই মইয়ের ঠিক পাশে হতবুদ্ধি অবস্থায় হাত-পা ছড়িয়ে চিৎপাত হয়ে রয়েছে স্কুইলার৷
জর্জ অরওয়েলের কালজয়ী উপন্যাসের বাংলা তর্জমা অর্ক পৈতণ্ডীর কলমে। পর্ব ১৬
জর্জ অরওয়েলের ‘অ্যানিমাল ফার্ম’: পর্ব ১৫

ঠিক পরদিন সকাল থেকেই আক্রমণ শুরু হল। জন্তুরা তখন সবেমাত্র জলখাবারে মুখ দিয়েছে এমন সময় পাহারাদারেরা ছুটতে ছুটতে এসে খবর দিল যে, ফ্রেডরিক আর তার দলবল পাঁচ-গরাদের দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েছে। জন্তুরা তৎক্ষণাৎ হই-হই করে ছুটে গেল ওদের আটকানোর জন্য। কিন্তু গোয়ালঘরের যুদ্ধে যতটা সহজে জেতা গিয়েছিল, এবার কিন্তু তেমনটা হল না। উল্টো দিকে পনেরোজন মানুষের দল, তাদের সঙ্গে আবার হাফ ডজন বন্দুক৷ পঞ্চাশ গজের হাতার মধ্যে কোনও একটা জন্তুকে পেলেই তারা দমাদ্দম গুলি চালিয়ে দিচ্ছে…
জর্জ অরওয়েলের কালজয়ী উপন্যাসের বাংলা তর্জমা অর্ক পৈতণ্ডীর কলমে। পর্ব ১৫
জর্জ অরওয়েলের ‘অ্যানিমাল ফার্ম’: পর্ব ১৪

নেপোলিয়নের জ্ঞান, তার হৃদয়ের মহত্ব এবং সমগ্র পশুকুলের প্রতি তার গভীর ভালোবাসার কথা বাকি পশুদের কাছে বলার সময় ভক্তি ও শ্রদ্ধায় স্কুইলারের চোখের জল বাঁধ মানে না, গাল বেয়ে গড়াতে থাকে৷ জর্জ অরওয়েলের উপন্যাস অ্যানিমাল ফার্ম, অর্ক পৈতণ্ডীর অনুবাদে। পর্ব ১৪।
জর্জ অরওয়েলের ‘অ্যানিমাল ফার্ম’: পর্ব ১৩

নেপোলিয়ন সমবেত জন্তুদের উপর কঠিন দৃষ্টি হেনে একটা তীক্ষ্ণ চিৎকার করে উঠল। অমনি কুকুরগুলো লাফিয়ে গিয়ে চারটে বাচ্চা শুয়োরের কান কামড়ে ধরল৷ জর্জ অরওয়েলের কালজয়ী উপন্যাসের বাংলা তর্জমা অর্ক পৈতণ্ডীর কলমে। পর্ব ১৩।