শোণিতমন্ত্র (পর্ব ২৫)

সেই বল্লালগড়। রাজা বল্লাল সেনের আমলে তৈরি। এখন ভাঙ্গাচোরা একটা ঢিবিতে পরিণত। লোকে বল্লালঢিবি নামেও ডাকে। এই অবস্থায় আস্তানা গড়ার পক্ষে একদম সেরা জায়গাটা। দুদিকে কুলিয়া আর হোড়ঙ্গর জঙ্গল। জঙ্গলের গায়ে বাগদির খাল। নামে খাল হলেও আসলে ভাগীরথীর শাখানদী একটা। বর্ষায় বান ডাকে। বড় বড় নৌকা চলে। কিন্তু জঙ্গল ভেদ করে কিছুতেই চোখে পড়েনা ঢিবিটাকে। কোনও জনবসতিও নেই আশেপাশে দু-চার ক্রোশের মধ্যে।
হয়তো বৃষ্টি হবে (কবিতা)

এও এক বোশেখের হাঁটুজল
খোলামকুচির দ্রোহকাল,
অলিখিত খাজনা আদায়।
ধীরে ধীরে ফুটে ওঠে
যাবতীয় চুপিসার … অন্ধকারের ফুল।
মাইনে (ছোটগল্প)

করোনা রোগের জেরে চলছে লকডাউন। কাজে যেতে হচ্ছে না অতসীকে। ঘরে বসে মাইনে তো পাচ্ছেই, ত্রাণের চাল ডাল আলুও জুটে যাচ্ছে। কিন্তু এত ঘরে বসে থাকাও তো বিরক্তিকর। ছেলে-ছেলের বৌয়ের গজগজ শোনা কি পোষায়? তাহলেঅতসী কী করে?
সাগরে আঘাত

অ্যাটকিনসনের অনুরোধ ফেলতে পারেননি বিদ্যাসাগর। আর মেরি কার্পেন্টারের সঙ্গে আলাপ তাঁকে আশ্চর্য আনন্দ দিয়েছিল। স্ত্রী-শিক্ষায় নিবেদিত প্রাণ এমন মানবী তিনি আগে দেখেননি কখনও। আলাপের পর বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যাসাগরকে সঙ্গে নিয়ে যেতে চাইছেন কার্পেন্টার। ব্যস্ত মানুষ ঈশ্বর, সময়াভাবে সব জায়গায় যেতে পারেন না, আবার সব সময় না-ও বলতে পারেন না।
সংক্রমণ (ছোটগল্প)

ঝিলম আর সুমন সুখি দম্পতি। কিন্তু কতটা সুখি? ঝিলমের বুকের মধ্যে তাহলে সেই অদ্ভুত হাওয়াটা পাক খেয়ে ওঠে কেন?
ও দাদা, বলি আর কতক্ষণ? (রম্যরচনা)

জীবন শুরু হয়েছিল ভারতীয় ব্যবস্থায় উবু হয়ে বসে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার অভ্যাসে। কিন্তু জীবনের উপান্তে পৌঁছে যে বিলিতি বিনা গতি নাই! হাঁটুর জোর কমেছে, উদর স্ফীত হয়েছে… সমস্যা অনেক। তাহলে উপায়?
বন্ধু রহো রহো সাথে (স্মৃতিচারণ)

শর্বরী দত্ত। বাংলার ফ্যাশন জগৎ থেকে আন্তর্জাতিক ফ্যাশন সার্কিটে তাঁর অনায়াস উত্থান। জীবনের শেষ লগ্নে এসে নতুন করে নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করা এবং এগিয়ে চলা। এমন একজন কর্মঠ, পরিশ্রমী, চিরসৃজনশীল মানুষ যে আচমকাই সকলের অগোচরে হারিয়ে যাবেন মৃত্যুর অন্ধকারে, এ কথা কি কেউ ভাবতে পেরেছিল? স্মৃতির সরণি বেয়ে হাঁটলেন আলপনা ঘোষ। …
শোণিতমন্ত্র (পর্ব ২৪)

দূরে একটা বিশাল ঝাঁকড়া আমগাছের আড়ালে লুকিয়ে দৃশ্যটা দেখছিল সফিকুর। বয়েস বছর আটদশেক। বাপচাচাদের মাটিতে ফেলে চাবুকপেটা করছে ওই শালা ফেডিসায়েব। এক্ষুনি খবরটা পৌঁছে দিতে হবে বিশু সর্দারের চরদের কাছে। আল ধরে ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড় লাগাল সফিকুর।