বইয়ের কথা: শোনার মতো বই 

book review by Hindole Bhattacharya

হয়তো সংবাদপত্রে প্রকাশযোগ্য একটি লেখা হিসেবে লেখা বলেই, শব্দ ও ভাবপ্রকাশের মণিমুক্তোগুলিকেই তিনি প্রাধান্য দিয়েছেন এই সব লেখা লেখার সময়। যার জন্য একটি ডালপালা বিস্তার করা বনস্পতি-সুলভ লেখার হলোগ্রাম হিসেবে এই গ্রন্থের প্রবন্ধগুলি পড়া যায়। এ কথাও হয়তো বলা যায়, এই গ্রন্থের প্রবন্ধগুলির প্রত্যেকটি লেখাই পরবর্তীকালে আলাদা আলাদা গ্রন্থ হয়ে উঠতে পারে।

লিখলেন হিন্দোল ভট্টাচার্য…

গুচ্ছকবিতা: মনখারাপের রিভিয়েরা

Poetry series by Kaushik Sen

এখন তুমি জানলে আমি ভালোমানুষ নই,/ এখন তুমি জানলে আমার গলাতে নীলসুতো/ অনিচ্ছাতে আটকে গেছে। সেদিন রূপান্তর/ আমার পরাবৃত্তে হাঁটা, আমার নোনাজল…

ডঃ কৌশিক সেনের নতুন কবিতাগুচ্ছ…

জর্জ অরওয়েলের ‘অ্যানিম্যাল ফার্ম’: পর্ব ১৭

George Orwells Animal Farm-17

এক নির্দিষ্ট সময়ে জন্তুরা নিজেদের কাজ মুলতুবি রেখে সামরিক কায়দায় কুচকাওয়াজ করতে করতে ফার্মের প্রাঙ্গণে ঘুরবে৷ শুয়োরেরা নেতৃত্ব দেবে, তারপরে থাকবে ঘোড়ারা, তার পিছনে যথাক্রমে থাকবে গোরু, ভেড়া ও হাঁস-মুরগির দল৷ কুকুরেরা এই শোভাযাত্রার পাশে পাশে চলবে। আর সবার সামনে হাঁটবে নেপোলিয়নের সেই কালো মোরগছানা৷ এই শোভাযাত্রায় বক্সার আর ক্লোভারের দায়িত্ব খুর আর শিং আঁকা সেই সবুজ পতাকা বয়ে নিয়ে যাওয়া। পতাকায় লেখা থাকে, ‘কমরেড নেপোলিয়ন দীর্ঘজীবী হোন’। তারপর নেপোলিয়নের সম্মানে কবিতা পাঠ করা হয়৷

জর্জ অরওয়েলের কালজয়ী উপন্যাসের বাংলা অনুবাদ অর্ক পৈতণ্ডীর কলমে। আজ পর্ব ১৭

গল্প: ছবি

Bengali Short story Chobi

দাদাইয়ের ছবির দিকে তাকিয়ে মায়ায় হাসল ঠাম্মি, “মেজখোকা বলল না, মা স্বাধীন! মা কি সত্যিই স্বাধীন? নিজের ইচ্ছেমতো সব করতে পারে? এই বাড়িতে একটাও জায়গা নেই যেখানে তোর বাবার ছবিটা রাখি। দেয়ালে দেয়ালে কী সুন্দর ছবি, পেইন্টিং! এখানে কোথায় রাখি? রিয়াবুড়ির ঘরের দেয়াল জুড়ে রঙিন ছবি, ফুলের, প্রজাপতির, পুতুলের। বড্ড বেমানান লাগবে না, বল?”

আইভি চট্টোপাধ্যায়ের নতুন গল্প ‘ছবি’

ছড়া: মোটা কেঁদো বাঘ

childrens rhyme by Rabindranath Tagore

এক ছিল মোটা কেঁদো বাঘ,/গায়ে তার কালো কালো দাগ।/বেহারাকে খেতে ঘরে ঢুকে/আয়নাটা পড়েছে সমুখে।

‘নিঃশঙ্ক: শংকর ঘোষ শতবার্ষিকী সংকলন’— একটি আলোচনা

Review-Shankar Ghosh memoir Niswanka

প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের রাজনৈতিক ঘটনাবলী, চিনের বিশ্বাসঘাতকতা, বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান, দুই বিশ্বশক্তি রাশিয়া ও আমেরিকা ও তাদের সামরিক জোট এবং বান্দুং সম্মেলনে জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলনের শুরু ও শেষ এবং আরও অনেককিছুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন শংকর ঘোষ। সবটাই এত নির্মোহভাবে, নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে যে, কোথাও সাংবাদিক শংকর ঘোষকে ছাপিয়ে ব্যক্তি শংকর ঘোষ উঁকি দেননি। মনে হয়নি উনি কাউকে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন, কিংবা কারও পক্ষ নিয়ে কিছু বলছেন। সাবলীল ঝরঝরে কেজো ভাষা, পড়লে সংশ্লিষ্ট মানুষ ও ঘটনাগুলো চোখের সামনে ভেসে ওঠে।

সাংবাদিক শংকর ঘোষের শতবার্ষিকী সংকলন ‘নিঃশঙ্ক’ নিয়ে লিখলেন দীপংকর চক্রবর্তী…

বইয়ের কথা: বসন্ত চৌধুরী- কিংবদন্তি নায়ক, আভিজাত্য আর ঐতিহ্য সচেতন বাঙালি

Review of Bengali book on Basanta Chowdhury

সদ্য হাতে আসা ‘বসন্ত চৌধুরী: কিংবদন্তি নায়ক, আভিজাত্য আর ঐতিহ্য সচেতন বাঙালি’ বইটি সে দিক থেকে আলাদা। বাংলা ছবির স্বর্ণযুগের অন্যতম সেরা অভিনেতা বসন্ত চৌধুরীর (১৯২৮-২০০০) দুটি লেখা ছাড়া, বাকি বইটি তাঁর সহশিল্পী ও শুভানুধ্যায়ীদের স্মৃতিকথার সংকলন হিসাবেই পড়া যেতে পারে।

চক দে আফিন্দি, আমাদের মোল্লা নাসিরুদ্দিন: পর্ব ১

funny stories of Molla nasreddin

বন্ধুকে মাংস রেঁধে খাওয়াবে মোল্লা। গিন্নিকে দিয়ে রেসিপিটা লিখিয়ে টাঙিয়ে দিয়েছে দেয়ালে। যথাকালে বন্ধু হাজির। খোলা উঠোনে তখন একমনে মাংসের গায়ে আচ্ছাসে পেঁপে মাখাচ্ছে মোল্লা। চারদিকে ছড়ানো রয়েছে বাটা পোস্ত, কাঁচা ডিম, কোরা নারকেল।

করেছিস কী! এ তো এলাহি ব্যাপার! বন্ধু বলে।

এ তো কিছুই না, আগে তৈরি হোক— এই বলে রেসিপি দেখতে গেছে মোল্লা। ব্যাস, মুহূর্তে কোত্থেকে কে জানে একটা চিল এসে মাংস নিয়ে হাওয়া।

মোল্লা নাসিরুদ্দিনের বহুপরিচিত গল্পগুলোই আরও একবার বাংলালাইভের পাতায়, লিখলেন গৌতম সেনগুপ্ত…