গোলকিপার (পর্ব ১৭)

কয়েক মুহূর্তের মধ্যে হাজির ডাক্তার কর। এসেই অরিত্রর চিকিৎসার ফাইলে চোখ বোলাতে বোলাতে বললেন, “অনেকটাই তো সেরে উঠেছ এখন। প্রেসার খুব নেমে গিয়েছিল, এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। এবার হাঁটা-চলা শুরু করা যাক, নাকি ফুটবলারশ্রী? আজই তোমার আইসিইউ-মুক্তি। আমি সব বলে দিয়েছি, কিছুক্ষণের মধ্যেই তোমাকে ছ’তলার কেবিনে নিয়ে যাওয়া হবে। আপনারা থাকুন, ওর সঙ্গেই ছ’তলায় যান। ওর ভালো লাগবে। কাল থেকে ওর ফিজিওথেরাপি শুরু হবে। তার কয়েক দিন পরে কাউন্সেলিং। ফরোয়ার্ডদের পা থেকে বাজপাখির মতো বল তুলে নেওয়ার অভ্যেসটা ফিরে আসা চাই তো?”
দোলপুরাণ

হোলিকা দহনের উৎস হল পিতাপুত্রের চিরাচরিত ইগোর দ্বন্দ। ধর্মান্ধতার ইগো। বাবা স্বৈরাচারী দৈত্য রাজা হিরণ্যকশিপু আর ছেলে বিষ্ণুর আশীর্বাদ ধন্য প্রহ্লাদ। বাবা বিষ্ণু বিরোধী দাপুটে রাজা তাই তাঁকে মানতেই হবে। পুত্র ঠিক উল্টো। বিষ্ণুর সমর্থক, বিষ্ণু অন্ত প্রাণ।
খিদের গল্প (কবিতা)

চৌকাঠ না থাকা ঘরে খিদে নেই / একথা জানে না চাকা
গোলকিপার (পর্ব ১৬)

গেটের একপাশে নিম আর অন্যপাশে কাঞ্চন। গেট থেকে বাড়ি পর্যন্ত খালি জায়গাটা এখন এই ফাল্গুনের মাঝামাঝি খয়েরি রঙের খসা নিমপাতা আর স্কারলেট রঙের ঝরা কাঞ্চন ফুলে মিলেমিশে লাবণ্যময়ী প্রাচীনার মতো মায়াময়। গেটের দুই পাল্লা জুড়ে একটা তালাসুদ্ধু শিকল এমনভাবে জড়ানো যে মনে হতে পারে গেটে তালা ঝুলছে। কিন্তু অভিজ্ঞ চোখ সহজেই বুঝে নেয়, শিকল নামালেই গেট খুলে যাবে। ভেতরে ঢুকে কুর্চি দেখল, সদর দরজা বাইরে থেকে হুড়কো টেনে বন্ধ, অথচ তাতে তালা লাগানো নেই!
প্রেমদিবসের আগে (গল্প)

ঠান্ডাটা যেন যেতেই চাচ্ছে না! ঠান্ডার নতুন নতুন খবরে ছেলে-বৌমা লাফিয়ে লাফিয়ে উঠছে। নিত্যি প্ল্যান ভাঁজছে, কোথায় যাওয়া যায় অন্তত দুটো দিনের জন্য! কোথায় গিয়ে মুঠোয় বরফ নিয়ে লুফোলুফি খেলা যায়! আর ওদের এই লাফালাফির সঙ্গে সঙ্গেই সুমিত্রার বুকের মধ্যে একটা বল লাফাতে থাকে! মানুষটা কী কষ্টটাই না পায় ঠান্ডায়! একটার ওপর আর একটা গরম জামা চড়িয়েও যেন সে দুর্বিপাক ঠেকানো যায় না!
নারী দিবস: কিছু যুক্তিজাল

২০২০ সালে দাঁড়িয়ে এখনও আমাদের বার বার প্রশ্ন করতে হচ্ছে যে নারী দিবস পালন করা উচিত কিনা, নারী দিবসের আলাদা করে কোনও প্রয়োজনীয়তা আছে কি না— অথচ, এত দিনে এ সব প্রশ্ন অবান্তর হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। অন্যান্য ক্ষেত্রে মানুষ যত এগিয়েছে— বৌদ্ধিক এবং সামাজিক দিক দিয়ে, সেই ধারা মানলে এত দিনে সমানাধিকার স্থাপিত হওয়া খুব উচিত ছিল। কিন্তু তা হয়নি।
‘বৃক্ষ অনুবাদক’ সম্পর্কে

তথাকথিত আখ্যানের ঘেরাটোপ ছেড়ে ও আখ্যানের আবহের ঘেরাটোপ ছেড়ে এই উপন্যাস বেরিয়ে পড়েছে।
ভানুমতী (কবিতা)

নারীদিবসে চৈতালী চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা।