কবিতা: মনে রাখুন (সলমন রুশদি কে উৎসর্গ করে)

মনে রাখুন নামটা হাদি মাতার/হাদি মাতার লেবানিজ আমেরিকান/হাদি মাতারের মা আমার মায়ের মতন/হাদি মাতারের বাবা আমার বাবার মতন/ওরা একটু আলো কিনতে হাটে যায় রোজ
কবিতা: স্থিতি

পাদপ, তুমিই পর্ণমোচী গাছ,/ ছায়া ঢালো আমার মাটির ঘরে/ তুমিই সেই পান্নাজলের মাছ… রাত্রি আর প্রকৃতি মিলেমিশে গিয়েছে মহুয়া সেনগুপ্তের কবিতায়।
কবিতা: এক বসন্তের ইকেবানা

কখনও সে তৈরি করে অতিকায় মাশরুমের মতো/ একটা ছাতা, ছাইরঙা চেরি ফুল দিয়ে/ কখনও বা এক ট্রে পোড়া সবুজের মধ্যে আঁকে/
ছিন্নভিন্ন হাত পা ও থ্যাঁতলানো মাথা… মীরা মুখোপাধ্যায়ের কবিতা।
কবিতা: সাঁওতাল

কাঠের মূর্তিতে তো আমাকে যেতেই হবে। হাতে জলখাবারটুকু খাওয়ার জন্য যেটুকু সময়। এই শূন্যে তৈরি ঘর মুহূর্মুহূ দুলছে। কখনও তোমার পায়ের শব্দকে মনে হচ্ছে প্রকাণ্ড কোনও পাথরের চাঙড় ভেঙে পড়ার আওয়াজের মতো। … অমিতরূপ চক্রবর্তীর কবিতা।
দুটি কবিতা

এই অন্ধকারে আমি একা রাত জেগে অনুভব করেছি রাত্রে তোমার অনুপস্থিতিজনিত হৃৎপিণ্ড মোচড়ানো ব্যথা। আমি তাই অন্ধকারের সমুদ্রে কাগজের নৌকা বানিয়ে ভাসিয়ে দিয়েছি তোমাকে লেখা অসংখ্য চিঠি… সৌগত চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা।
কবিতা: শাহীঘুণ

মরদ মহুয়ার নেশার হাওয়া শুঁকে/
নিব কলমের খাঁজে দম দিয়ে যায়/
টেবিল ঘড়ির ছটফটানি,/
চামড়ার কাঁপুনিও খাবলে খায় টোল পড়া জলাভূমি/
আর্ত লালার খালে ডুব দেয় তৃপ্তি, আরও একবার; শাদা কাদামাটি ছদ্মনামে কবির কথা।
কবিতা: মালি

শস্য ছিল অবশ্য মেঘকালীন/ দূত পাঠাত সংকেতে সংকেতে… আষাঢ়ের মাঝামাঝি মেঘবৃষ্টির যুগলবন্দির আখ্যান, বর্ষাদিনের মনখারাপের স্তুতি, সুমন ঘোষের কবিতায়।
দুটি কবিতা

জটাপড়া চুল বেয়ে পুবের বারান্দা থেকে/ নেমে আসে মেঘের নিষাদ/
শুদ্ধ কোমলে আর দ্বিধা দ্বন্দ্বে গৃহহীন/
বুকে যদি পুষে রাখতে হয়… অবন্তিকা পালের কাব্য আখরমালা।