দুটি কবিতা

১ পক্ষপাতের সমারোহ উলুধ্বনিতে শাঁখ বাজছিল টানা খেয়ালই করিনি ট্রেনলাইনের পাশে অসমবয়সী নিভু নিভু দুটো তারা জ্বলে উঠেছিল গঙ্গার পাড়ে, রাতে হাতের ভিতরে হাত নিয়ে শুধু হাসি সম্পর্কের আড় ভেঙে দেওয়া মেয়ে শুনশান ঘাটে তাকে এত কাছে পেয়ে আমার ভিতরও সচল হয়েছিল ডানা আর সেও যেন সলতে পাকানো দাসী নাগমাতা সেজে আগুন কুড়োতে আসে দশদিক […]
রিয়্যালিটি শো

ভোর সাড়ে ছটা পোশাকি নাম বিলাসখানি তোড়ি। ঘুমের বেদনা ফুটিয়ে শোঁ শোঁ শব্দে গরম হচ্ছে কেটলিজীবন। ঈষৎ ভারী হয়ে থাকা মাথায় কাটাকুটি খেলছে শৈশব থেকে উড়ে আসা বিবিধ পাখিডাক। রাস্তা সভ্যতায় উদ্বিগ্ন মুখের উঁকিঝুঁকি, স্কুলবাস আসতে কেবলই দেরি হয়ে যায়। খোসা ছাড়ানো আলোর এই সময় খোঁয়াড়ির জন্য প্রসিদ্ধ। দুপুর আড়াইটে রোদ্দুর এখন থান কাপড়ের মত […]
স্বীকারোক্তি

চোখ খুলে দেহাতি ভোর দিয়ে শুরু কী সব মায়ামমতা ছিল জাদুদিনগুলোয় একটু হাওয়া দিলেই পাতার পর পাতা উলটে যায়… মেট্রোর তাড়া, দুপুরের মাল্টিপ্লেক্স ছাড়িয়ে ঝিমঝিমে অল্প আঁচের সন্ধে… ততদিনে প্রেমিকারা প্রথম বিশ্বের বাসিন্দা আর আমাকে লাঙল নিয়ে মাঠে যেতে হয়
বাতিল

কীভাবে বসন্ত আসে- তোমার উঠোনে,আমার অভ্যাসে ঘুম ভেঙে দেখি জেগে উঠেছে পূর্বজন্মের নারী, মনে মনে তাকে নষ্ট করে ফেলি একা রাস্তা,আসবাব,পুরোনো মেসের ছায়া ফিরে যায় সতর্ক ভঙ্গিতে। ল্যাম্প জ্বেলে খুলে বসি জন্মদিনে পাওয়া বই দেখি- হলুদ পাতার ভাঁজে নিমপাতা রুখতে পারেনি পোকা-খাওয়া মানুষী ফাটল।
ফুল্লরার চাঁদকথা

সময়ের পিদিমফেরানো ডাকে ফুল্লরার রান্নাঘরে বাড়ন্ত হয় সবজে বাতাস। একচিলতে নিকোনো দাওয়ায় তখন রোদ্দুর, আঁচল পাতে আকিঞ্চনে। জিরোন মুহূর্তের পল গুণে মৌসুমী আনে দু’একটা পথভোলা পিছুফেরা। থিরথিরে কানের লতিতে মুখ রাখে পাখিময়তা… চরণছোঁয়া চড়ুইগুলো চিকচিকোনো বাতাবাহক বার্তা তো নয় ডাক পাঠানো কথার ফাঁক ফাঁকির মধ্যে জোড়াশালিক জোড়াঠোঁট প্রেমকেদারায় তেহাই ঠোকে নেত্র ঠ্যাকায় নিত্য ঠ্যালা ঝাঁপতালেতে […]
ভাবনার কোলাজ

একটা মেল ট্রেনের হঠাৎ ড্রাগন সাজার ইচ্ছে হয়েছিল আগুন নিশ্বাস ফেলতে ফেলতে সে যখন শূন্যে লাফ দিতে উদ্যত পাহাড়ের চুড়া থেকে এক জাদকর বললো, দাস্ ফার, এন্ড নো ফারদার! একটু দূরে মুচকি হেসেছিল সমুদ্র। একটি রমণীকে উপহার দিতে গেলাম গুঞ্জাফুলের মালা সে বললো, আমি টিশিয়ানকে ভালোবাসি, আমায় মুখ ফেরাতে বলো না! শিল্পের নারীরা কখনো মুখ […]
স্বপ্ন যখন জিওল মাছ

একদিন স্বপ্নে, হয়ত এক মন্থর নিঃস্ব দুপুরে, স্বেচ্ছায় সজ্ঞানে দেখেছি লোকটাকে।সে একটা পুরনো কাঠের সিঁড়ি বেয়ে উঠছে, পিছনে নিদ্রাতুর মহাজগৎদিবাস্বপ্ন থেকে উধাও অনুভূতি, মরচে পড়েনি এখনও, বহুপ্রাচীন এই সিঁড়ি। লাল একটা বিশাল দৈত্য হয়ে গেলে সূর্যটাই একদিন গিলে নেবে পৃথিবীকে।আহ্নিকগতির খোঁজে সেদিন নতুন গ্রহে যাবো। সিঁড়ি বেয়ে উঠে যাচ্ছি,লোকটার পেছন পেছন। মহাজাগতিক এক বিপরীত টান […]
২টি কবিতা

ভ্রমণ বিষয়ক লেখা / শ্রীজাত শার্সিতে তার ঝাপটায় অভিমানদুপুর, তাতে খিদে পাওয়ার রংবৃষ্টিধোয়ায় ঝাপসানো এক সীমা…রেলিং তাতে স্বপ্নে দেখা জং বয়েস কেবল লুকনো বর্ষতি স্যান্ডউইচে নিঝুম সেলোফেনমেঘে কামড়, নিকিয়ে সস চাটিটেবিল, তাতে দুপুরবাঁধা চেন দুরে কোথাও জাহাজ থামার ডকজল পেরনো খামার তারও দুরেভবঘুরের মুখোশে তার শখ রুটিন / বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রাম দিয়ে ঘেরা শহরকে, আরচোখ […]