ঘর (কবিতা)

আসলে মেঘেদের অন্তরে জমছে বিন্দু বিন্দু কান্নার বাষ্প। পৃথিবীর অগনিত পুত্রকন্যার অসহায় কান্না।
ক্রমশ একটা আশ্চর্য ভয় আমাদের একলা করে দিচ্ছে, কুঁকড়ে দিচ্ছে ভেতরে ভেতরে
মৃত্যও আজ বড় একলা…
আজ মৃত মানে অতি দ্রুত বেড়ে ওঠা দেহের সংখ্যা মাত্র,
নেই প্রিয় মুখ, নেই শোকের অবকাশ, নেই কারও হাত ধরে বৈতরণি পার!
এসো (কবিতা)

এই হাত
রাখা আছে, শর্তহীন
ছুঁয়ে দাও। তার আগে
শুধু একবার ভেবে দেখো
কবিতা, কল্পনালতা

কবিকে জানব বলে সমগ্র জীবন, অতঃপর এই জলে ঘর, জলেই সঙ্গম। চেনাশোনা শেষ হলে অপরূপকথা কাব্য, তীরে এক নির্জন পাথরে বসে দেখি, কোমরের নিচ থেকে মাছের পুচ্ছখানি রোদেলা সকালে চিকচিক করছে স্রোতে নুয়ে।
ব্যক্তিগত (কবিতা)

এমন করেই কাটছে সকাল ধূসর গানে, / শিরায় শিরায় সন্ধ্যা নামে গহরজানে। /
ঝটপটিয়ে উঠছি শুধুই রাত-দুপুরে, / যেমন করে শরীর ভেজে জল নুপুরে।
নিরন্তরা

খানিক থামি? নিরন্তরা;
আধার দুটোয় মিলে মিশে আরো অবিনশ্বর হয়ে যাই?
কবি,
তোমার নীরাও বুঝি এমনি?
যা প্রয়োজন এখন (কবিতা)

সব দায় আমার, / সব দায় আমাদের…বহমান সময়ের কাছে। / আজ তাই খুঁজে নিতে হয় / ভেসে থাকা খড়কুটো যত।
বৃষ্টিযাপন (কবিতা)

যদি গল্প বলতে পারতাম গুছিয়ে
ঘটমান সত্যের কাছে অবশ্যই
নিয়ে যেতে পারতাম তোমায়।
যেখানে পাতার এক পৃষ্ঠায় থাকত
সহানুভূতির দুটো চোখ তোমার,
বিপরীত পৃষ্ঠায় তখন ছুঁয়ে যেত
অনুচ্চার সাক্ষর আমার।
রীতি (কবিতা)

প্রেম মানে এটুকুই শ্বাস ছিল… / হে বিচ্ছেদ, তোমাকেও এভাবে দেখছি