গোলকিপার (পর্ব ৪)

অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে একটা হাই চেপে দেবদীপ বলল, “অরি, কাল সকালে ডাক্তার সরকারকে একবার তোর হাতটা দেখিয়ে আনব, বুঝলি।” – নামকরা জ্যোতিষী? – অ্যাঁ? – হাত দেখালেই তো হিরে-মুক্তো পরতে বলবে। – ফাজলামি করছিস! নেক্সট উইকে দু’দুটো খেলা। – সব ঠিক হয়ে যাবে। শুনলে না, কুর্চি কী বলে গেল? কিস্যু হয়নি। শুধু চামড়াটাই কেটে গেছে। […]
গোলকিপার (পর্ব ৩)

দূরে বাগানের প্রান্ত বরাবর সার দিয়ে নিচু নিচু আলো জ্বলছে। খাওয়ার পর অন্ধকার বারান্দায় দু’জনে বসল পাশাপাশি দু’টো চেয়ারে। সদ্য ব্যাঙ্কে চাকরি পাওয়া চব্বিশ বছরের অরিত্র মিত্র আর কলকাতা ফুটবল লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশনে যে দলটির সে গোলরক্ষক, সেই দক্ষিণী সম্মিলনীর প্রাণভোমরা চল্লিশ ছুঁইছুঁই দেবদীপ গুহ বিশ্বাস। দেবদীপ পেশায় উকিল, ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বারে গুঁতোগুঁতি করে ওকালতিও […]
গোলকিপার (পর্ব ২)

আধো অন্ধকারে কয়েক পা এগনোর পরেই ঝরা-পাতার মধ্যে কোনও কিছু নড়াচড়ার একটা খসখস শব্দ কানে এল অরিত্রর। সঙ্গে সঙ্গে সাবধান হয়ে গেল সে। এখানে সাপ-টাপ আছে নাকি? থাকতেই পারে, যা গাছপালা ঘেরা ফাঁকা ফাঁকা সব বাগানওলা বাড়িঘর। তবে এই শীতের রাতে সাপের তো গর্তের মধ্যে ঢুকে গভীর ঘুম দেওয়ার কথা। তাহলে? দাঁড়িয়ে পড়ে অরিত্র আন্দাজ […]
গোলকিপার (পর্ব ১)

‘দুষ্মন্ত, দুষ্মন্ত…’ উঁচু গলায় মহিলা কণ্ঠের ডাক পরিষ্কার শুনল অরিত্র। রাত ন’টা বেজে গেছে। দেবদীপ এখনও টিভিতে ফুটবলে মশগুল। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি। সন্ধের পর থেকেই আহ্লাদি শীত উত্তুরে হাওয়ায় ফুরফুরে নাচছে। এ সময় বাড়ির বাইরে বেরনোর এতটুকু ইচ্ছেও ছিল না অরিত্রর। কিন্তু একে টটেনহ্যাম-চেলসির এই খেলাটা আগে দু’বার দেখা, তারপর দেবুদার যত অদ্ভূত নিয়ম। বাড়ির ভেতরে তো […]
বেগন স্প্রে, ফিনাইল ও সামান্য কেরোসিন (শেষ পর্ব)

আমি সেই সুযোগে মুন্নিকে একটু সাইডে টেনে ভোরের ঘটনাটা ঠিক কী হয়েছিল জানতে চাইলাম। মুন্নি যা রিপোর্ট দিল, তা সংক্ষেপে এইরকম: মুন্নির বাবা সম্প্রতি ফ্রান্স বা ইটালি- কোনও একটা জায়গা থেকে খুব দামি ক্রকারির সেট নিয়ে এসেছিলেন। ঝামেলা এড়ানোর জন্য উনি স্ত্রী এবং বাবার মধ্যে জিনিসগুলোর একটা সন্তোষজনক বাঁটোয়ারাও করে দিয়েছিলেন। বলা বাহুল্য, তাতে কেউই […]
বেগন স্প্রে, ফিনাইল ও সামান্য কেরোসিন (পর্ব ২)

সুজাতা বউদির বাড়ি গিয়ে আমি প্রথম যাকে দেখে চমৎকৃত হই, সেই লোকটি ওর বর প্রদীপবাবু। আমি মনে মনে ওর নাম দিয়েছিলাম ‘মাটির প্রদীপ’। বিরাট শিক্ষিত মানুষ। বিদেশি ফার্মে বড় চাকরি করেন। কিন্তু সারাদিন বাড়িতে থাকলেও তাঁর গলার আওয়াজ শোনার জো নেই। সবসময় “দেখিতে না পাও ছায়ার মতো আছি না আছি” ভঙ্গি নিয়ে তিনি ঘুরে বেড়ান। […]
বেগন স্প্রে, ফিনাইল ও সামান্য কেরোসিন (পর্ব ১)

আমাদের কলেজের এক অপূর্ব সুন্দরী ছিল পরমিন্দর কাউর। পরমিন্দরের বাড়িতে যারা কখনও-সখনও যেতে পারত, তাদের মুখে শুনেছি তার দিদি, যে আমাদের কলেজে পড়ত না, রভিন্দর কাউর আরও সুন্দরী। কিন্তু সুন্দরী রবীন্দ্রনাথ দেখার কালচারাল শক সহ্য করতে পারব না বলে আমি আর ও রাস্তা মাড়াইনি। তাছাড়া গলিই এত মনোরম ছিল যে রাস্তার কথা সবসময় মনেও আসত […]