জীবন থেকে জীবনে: তৃতীয় পর্যায়-পর্ব ১

Shankarlal bhattacharya column part 3 episode 1

শীতের সকালে সাদা টুইডের কোট, নতুন সোনালি চশমা, একমাথা ঝাঁকড়া চুল আর কাগজকলম নিয়ে পৌঁছে গেছিলাম গল্ফ ক্লাব রোডের সেই সাবেক স্টাইলের বাড়িতে, সেখানে তখন রবিশঙ্করের দাদা উদয়শঙ্কর থাকতেন। সেবার দাদার সঙ্গে এসে থেকেছিলেন রবিশঙ্কর! আমায় দেখেই বললেন, “বাহ্, এখন তো পাকাপোক্ত জার্নালিস্ট দেখছি।”

শুরু হল শংকরলাল ভট্টাচার্যের ধারাবাহিক কলাম ‘জীবন থেকে জীবনে’-র তৃতীয় পর্যায়, আজ প্রথম পর্ব

মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত: পর্ব ৩

Interview with Debojyoti Dutta part 3

এই গোপীনাথ সাহা ১৯২৪ সালের ১২ জানুয়ারি চৌরঙ্গী অঞ্চলে কলকাতার অত্যাচারী পুলিশ কমিশনার চার্লস টেগার্টকে হত্যা করতে গিয়ে ভুলবশত আর্নস্ট ডে সাহেবকে গুলি করেন। গ্রেফতারের পর তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করতে অস্বীকার করেন এবং টেগার্ট হত্যাই তাঁর উদ্দেশ্য ছিল বলে স্বীকার করে নেন। বিচারে তাঁর ফাঁসির আদেশ হয়। সেসময় পুলিশ এসে ওই মেসবাড়ি রেড করে। বাবার লেখা একটা বই আছে ‘যথা নিযুক্তোহস্মি’, তাতে তিনি মেসে পুলিশের রেডের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, পুলিশ চলে যাবার পর তিনি গোপীনাথ সাহার একটা সুটকেস খুঁজে পান। তাতে লেখা ছিল⎯ আমি আমার রক্ত দিয়ে দেশকে স্বাধীন করব।

দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে সরস্বতী প্রেসের জন্মকথা, দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত…

রবিরাগে- তৃতীয় পর্ব: মাজ-খাম্বাজ কথা

Classical Music and Rabindranath Part3

‘আজি যত তারা তব আকাশে’ গানটি সরোদ-শিল্পী বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত মাজ-খাম্বাজের গতের ছকে ফেলে বাজিয়েছিলেন। তাঁর বাজনায় আলি আকবর খাঁ, রবিশঙ্কর, অন্নপূর্ণা দেবী, এঁদের সবার ছায়া থাকা সত্ত্বেও প্রকটতর হয়ে উঠেছিল রবীন্দ্রনাথের চিন্তনে যেভাবে মাজ-খাম্বাজ ধরা দিয়েছিল, তার ছায়া। বস্তুত, বুদ্ধদেব দাশগুপ্তের বাজনা থেকেই রবীন্দ্র-ভাবনায় মাজ-খাম্বাজ কেমন ছিল, তা নিয়ে স্পষ্ট ধারণা তৈরি করা যায়।

রবীন্দ্রগানে রাগসঙ্গীতের, বিশেষত খাম্বাজ রাগের প্রয়োগ নিয়ে লিখলেন সুভদ্রকল্যাণ…

কবিতার সঙ্গে বসবাস- নির্বাচিত কবিতা : সুমন গুণ- পর্ব ২

Joy Goswami column on Suman Gun's poetry part2

এতদিন লিখছেন এই কবি, কিন্তু বাংলার সাধারণ জীবনকে, মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত, সহায়সম্বলহারা ও সব থেকেও কিছু না-পাওয়া জীবনগুলিকে কীভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন এই কবি তাঁর রচনায়— সে কথা এই ‘নির্বাচিত কবিতা’ বইটি পড়তে গিয়েই অনুভব করলাম। নিজের প্রতি ধিক্কার জন্মাল— এত দেরি করলাম কেন জানতে? ‘অবেলা’ কবিতাটির মধ্যে বাঙালি মেয়েদের জীবন, বাড়ির মতে, অচেনা পাত্রকে বিবাহ করে কেমন দমবন্ধ, হাঁফিয়ে ওঠা বন্দিদশা প্রাপ্ত হয় তার প্রমাণ আছে। ‘থাবা বাড়ানো বর’ এই কবিতায় সমগ্র পুরুষতন্ত্রের আধিপত্য-প্রতীক হয়ে ওঠে।

কবি সুমন গুণের কবিতা নিয়ে লিখছেন জয় গোস্বামী। আজ দ্বিতীয় তথা শেষাংশ…

মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত: পর্ব ২

Interview with Debojyoti Dutta Part 2

বাবার তখন মাথায় এল, তাহলে কম্পোজিংটা শিখে নিই। তখনকার দিনে এই কাজ করে মাসে ৩০-৪০ টাকা রোজগার করা সম্ভব হত। সেই আশাতেই বাবা কাজ শিখতে শুরু করেন হিতৈষী প্রেস-এ। বাবা তখন রায়পাশায় মামাবাড়িতে থেকেই কাজ করছেন। সকাল ৬ টার সময় বেরিয়ে আসতেন, দুপুর ১২টা অবধি কাজ করতেন। দুপুরে দেড় ঘণ্টা ছুটি নিয়ে মামাবাড়িতে খেতে যেতেন। আবার এসে ২টো থেকে ৭টা অবধি কাজ করতেন। মানে তাড়াতাড়ি কাজটা শিখতে হবে। বাবার ভেতরে এই ঐকান্তিক ইচ্ছাটা ভীষণভাবে ছিল।

দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে সরস্বতী প্রেসের জন্মকথা, দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত…

ক্যাম্পবস্তির বালকবেলা: অন্তিম পর্ব

column oN Calcutta nostalgia camp bostee final part

সপ্তাহে একদিন একটি পয়সা পেত ছেলেটি মায়ের কাছে৷ মায়ের অফুরান আদরের ভাণ্ডার, যা রিফিউজি যুগ পুরোপুরি শেষ করে দিতে পারেনি৷ ওই একটি দিনে সে জড়ো করত সাতদিনের আনন্দ৷ ওই একটি দিন হয়ে উঠত সীমানাহীন, পৃথিবী হয়ে উঠত একান্তভাবে তার, পৃথিবীর সব রাস্তা তার৷ প্রবল বেগে সে রিং ছোটাত এইজন্যে যাতে একঘণ্টায় যেন তার চেনা পৃথিবীর বাইরেটাও ছোঁয়া যায়৷ নোনাপুকুর ট্রামডিপো পেরিয়ে, ওয়েলেসলি স্কোয়ার পেরিয়ে, ময়দান পেরিয়ে নদীর ওপারে বাজবে ট্যাং ট্যাং৷

উদবাস্তু জীবন আর কলকাতার শৈশব কৈশোর নিয়ে মধুময় পালের কলম ‘ক্যাম্পবস্তির বালকবেলা’, অন্তিম পর্ব আজ

কবিতার সঙ্গে বসবাস- নির্বাচিত কবিতা : সুমন গুণ- পর্ব ১

Joy Goswami column on Suman Gun's poetry

সুমন গুণের কবিতা প্রধানত ২টি ধারায় প্রবাহিত। তার মধ্যে একটি ধারার প্রতি তাঁর পক্ষপাত অধিক। সেই ধারাটি হল সংহত, সংক্ষিপ্ত ও ঘনত্বময় কবিতারচনার ধারা। এই গোত্রের কাব্যরচনায় তিনি চূড়ান্ত সার্থকতা অর্জন করেছেন। সে প্রসঙ্গে পরে আসব। এখন বলি তাঁর দ্বিতীয় ধারাটির কথা। এই দ্বিতীয় ধারায় প্রকাশিত হয়েছে আমাদের বাংলার সাধারণ, নিম্নবিত্ত, জৌলুসহীন, পরিশ্রমী অথচ মমত্বময় এবং চিরস্নেহাশ্রিত জীবন প্রবাহ।

কবি সুমন গুণের কবিতা নিয়ে লিখছেন জয় গোস্বামী। আজ প্রথমাংশ।

অন্য জীবন, অন্য মনন (৪): চেলা

column on unconventional lives

সেই কোন সুদূর তাইওয়ানে ওদের বাড়ি। দিদি রুহ, বোন চেলা। চেলা ছটফটে, ঝলমলে, প্রাণচঞ্চল। দিদি শান্ত, গভীর। নাই বা জানলো ইংরেজি! বোনের সঙ্গে সঙ্গে তো থাকতে পারবে! চেলা’র আয়ু আর কতদিন কে জানে! ব্লাড ক্যানসার ওর শরীরকে প্রতিদিন থামিয়ে দিতে চাইছে। এমন মৃত্যুপথযাত্রী মেয়েকে নিয়ে কী করে বাবা-মায়েরা!