প্রবাসীর নকশা: পর্ব ১৭

কিছুদিন আগে হঠাৎ এই নাসলি ওয়াদিয়া সম্পর্কে কিছু তথ্য পেলাম ইন্টারনেটে অন্য এক বিষয়ে খোঁজ করতে গিয়ে। নাসলি পাকিস্তানের জনক মহম্মদ আলি জিন্নার নিজের নাতি। মা দিনা জিন্নার একমাত্র সন্তান। বাবা পার্শি শিল্পপতি নেভিল। এই বিয়ে জিন্নার একদম নাপসন্দ ছিল, কোনওদিনই মেনে নিতে পারেননি। কিন্তু দিনা নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। দেশভাগ হওয়ার পর ভারতেই রয়ে গিয়েছেন। কাকতালীয়ভাবে ওঁর জন্মদিন ১৫ই অগস্ট।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আর অনুভূতির মিশেল, কলম ধরেছেন সিদ্ধার্থ দে…
কবিতার সঙ্গে বসবাস: সব্যসাচী সরকারের কবিতা

অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে, কোনওদিন সামাজিকভাবে পরিণতি পাবে না যে সম্পর্ক তার অবধারিত প্রণয়বন্ধন নিয়ে এক অতলস্পর্শী খাদের ধারে দাঁড়িয়ে আছে আজকের দ্রুত পরিবর্তনশীল পৃথিবীর কোথায় কোথায় কোন কোন নরনারী, তার চিরজীবী চিত্র শিলালিপিতে মুদ্রিত করে দেয় এ কবিতা। শ্লেষ-তীর্যকতায় মিশ্রিত ভাষা দ্বারা তৈরি হয়েছে মূলত আত্মব্যবচ্ছেদ ও অনিবারণীয় প্রেমার্তির এই কাব্যগ্রন্থ। আত্মব্যবচ্ছেদের মধ্যে ঢুকে পড়েছে সমাজ। আমি যে সমাজের সমালোচনা করব, আমি কি সেই সমাজের বাইরে দাঁড়িয়ে আছি? এই সচেতনতা কবিতাগুলিকে ছেড়ে যায় না বলেই কবিকথক নিজেকেও বিদ্ধ করতে ছাড়েন না।
সব্যসাচী সরকারের কবিতা নিয়ে আলোচনায় জয় গোস্বামী।
অন্য জীবন অন্য মনন (৫): আনিয়া

কোথাকার কোন পড়ে থাকা ভাঙা ডাল, শুকনো পাতা, মানুষের ফেলে দেওয়া অনাবশ্যক কত কিছু দিয়ে ও এমন চমৎকার আসবাব বানায়, জানলা বানায়, দরজা বানায়— অবাক হয়ে দেখি কেবল। সেসব আসবাবের রকমসকম খুব যে আমাদের চেনা আসবাবের মতো তা তো নয়! আর চেনা ছকের মধ্যে জীবনের নকশা বুনে দেওয়ার ইচ্ছেও নেই আনিয়ার।
অমৃতা ভট্টাচার্যের কলমে নিয়মভাঙা নারীদের আখ্যান…
চক দে আফিন্দি, আমাদের মোল্লা নাসিরুদ্দিন: পর্ব ২

ফ্রি কচুরি আর লস্যির লোভে ভাঙা বেড়ার ফাঁক দিয়ে বড়বাজারের ধর্ম মহাসভায় ঢুকে পড়েছে আফিন্দি। ঢুকেই ডজন তিনেক কচুরি আর ৫ গ্লাস ঘোল খেয়ে টানটান শুয়ে পড়েছে মেঝেতে। সভায় তখন স্বামী সোমেশ্বর গলা ফাটিয়ে বলছেন, কাকে বলে ভালো আর কাকে মন্দ তাই নিয়ে। কিন্তু বলবেন কী করে! পেছন থেকে শুরু হয়েছে মোল্লার নাক ডাকা। নাক তো নয়, মনে হচ্ছে ৭/৮ টা বাঘ পরিত্রাহি চ্যাঁচাচ্ছে। বিরক্ত স্বামীজি স্টেজ থেকে নেমে ত্রিশূলের এক খোঁচা মারলেন মোল্লার পেটে।
মোল্লা নাসিরুদ্দিনের বহুপরিচিত গল্পগুলোই আরও একবার বাংলালাইভের পাতায়, লিখলেন গৌতম সেনগুপ্ত। আজ শেষ পর্ব।
মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত: পর্ব ৫

বিধান রায় তখন স্বরাজ পার্টির একজন কর্তা। তাঁর ডাকে বাবারা গেলেন। সেসময় স্বরাজ পার্টির ছাপাখানা ছিল ফরোয়ার্ড প্রেস। বিধান রায় তার দেখভাল করতেন। ঠিকানাটা হচ্ছে ৩২ আপার সার্কুলার রোড, যেটা এখন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোড। ওখান থেকেই ১৯২৩ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের সম্পাদনায় ‘ফরোয়ার্ড’ পত্রিকা প্রথম বেরিয়েছিল এবং ১৯২৫ সালে চিত্তরঞ্জন মারা যাবার পর ওই পত্রিকার ভার পেয়েছিলেন নেতাজি। তারপরে ক্রমশ হাত ঘুরে-ঘুরে সেটা স্বরাজ পার্টির হাতে যায়।
দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে সরস্বতী প্রেসের জন্মকথা, দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত…
প্রবাসীর নকশা: পর্ব ১৬

বাড়ির রোয়াকে এক যুবক বসে। বছর ১৭ বয়স। ছিপছিপে চেহারা। রং কালোর দিকে হলেও বেশ সুদর্শন। সোজাসুজি রেবার মুখের দিকে তাকাল ছেলেটি। নিঃসংকোচ তাকানোর মধ্যে মুগ্ধতা লুকানোর কোনও চেষ্টা ছিল না। আয়তনেত্রে দেখেও না দেখার ভান করে রেবা বান্ধবীর সঙ্গে ভেতরে চলে গেল।
সেদিন বিকেলে অসীম মিত্র বোনকে বলল: “তোর ঐ বন্ধুটাকে আমি বিয়ে করব।”
বলাই বাহুল্য, কথাটা রেবার কানেও পৌঁছল পরের দিনই।
একটা মিষ্টি প্রেমের সত্যি গল্প, স্মৃতি হাতড়ে কলম ধরেছেন সিদ্ধার্থ দে…
রবিরাগে- চতুর্থ পর্ব: রবীন্দ্রনাথ ও মাইহার

মাজ-খাম্বাজের উৎস যাই হোক, আলাউদ্দিনের ঘরের শিষ্যরাই যে তা বাজিয়ে তার প্রচার করেছেন, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। প্রশ্ন ওঠে, রবীন্দ্রনাথ এ রাগের সন্ধান পেয়েছিলেন কীভাবে! এই প্রশ্ন ওঠা অসমীচীন নয়, কারণ ‘আজি যত তারা তব আকাশে’ গানটি রচিত হয়েছিল মাইহার ঘরানার প্রধান দুই প্রতিনিধি, আলি আকবর খাঁ ও রবিশঙ্করের জন্মের প্রায় পনেরো বছর আগে এবং রবীন্দ্রনাথ প্রয়াত হয়েছেন ওঁরা জনসমক্ষে বাজানো শুরু করার অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই। আলাউদ্দিন খাঁ নিজে এই রাগ বাজিয়ে রেকর্ড করেছিলেন, বা কোনও অধিবেশনে বাজিয়েছিলেন, এমন খবর আমার কাছে নেই। সুতরাং এক্ষেত্রে আলাউদ্দিনের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের আলাপই রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে মাজ-খাম্বাজের পরিচয় ঘটিয়েছিল, এমন ভাবা হয়ত খুব অন্যায় নয়। এত কিছু সত্ত্বেও একটা বড়রকম খটকা থেকেই যায়, কারণ— রবীন্দ্রনাথ যখন ‘আজি যত তারা তব আকাশে’ রচনা করেন, অর্থাৎ ১৯০৪ সালে, বা তারও অনেক আগে যখন ‘বাল্মীকি প্রতিভা’র জন্য রচনা করেন ‘ব্যাকুল হয়ে বনে বনে’, তখনও আলাউদ্দিনের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের সাক্ষাৎ হয়নি।
রবীন্দ্রগানে রাগসঙ্গীতের, বিশেষত খাম্বাজ রাগের প্রয়োগ নিয়ে লিখলেন সুভদ্রকল্যাণ…
মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত: পর্ব ৪

প্রোডাকশনে কম্প্রোমাইজ নয়, সময়ে কম্প্রোমাইজ নয়। সরস্বতী প্রেসের সুনামটা কেন? বিভিন্ন প্রেসে কথার খেলাপ হত ভীষণ বেশি। আজকে দেবে বলে আজকে দিত না। দু-দিন বাদে দেবে বলে দু-দিন বাদে দিত না। বাবার নীতিটাই ছিল⎯ না-খেয়ে হোক, রাত জেগে হোক, যদি কথা দিয়ে থাকি সেটা রাখব। সেই সময় সবাই সরস্বতী প্রেসকে কাজটা দিতে চাইত। কারণ ঠিক-ঠিক সময়ে সে কাজটা ডেলিভারি করত।
দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে সরস্বতী প্রেসের জন্মকথা, দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত…