গান ধার দেওয়া চাঁদমামা

Old shops

তখনও ক্যাসেটই বলা হত। আমরা অ্যালবাম কথাটা শিখিনি। এপিঠ ওপিঠ মিলিয়ে আট কি দশখানা গান। সে-ই হত আমাদের বহু দিনের রসদ, বহু রাতের সঙ্গী। সেই ফেলে আসা দিনের ক্যাসেটের দোকানের গন্ধ, সেই বিক্রেতাদের হাসিমুখ ফিরে দেখলেন একালের কবি।

দিনের পরে দিন: দৈনিক বসুমতীর স্মৃতিলিপি

Basumati

যে কালে মেয়ে রিপোর্টার দেখা প্রায় ভূত বা ভগবান দেখার শামিল ছিল, সেই কালে (ষাটের দশকে) জেদ করে সাংবাদিকতার পাঠ নিয়ে দৈনিক বসুমতী কাগজে রিপোর্টারি করতে আসেন আলপনা ঘোষ। কর্মজীবনের শুরুর দিনের সেই উত্তেজনা আর রোমাঞ্চের পথে ফের হাঁটলেন তিনি।…

আমি, অনির্বাণ আর দালির ঘড়ি

Old shops

মাঝপথে এসে ডিম শেষ, পেঁয়াজ শসা শেষ, চাউমিনও প্রায় ঠান্ডা। তখন সাহস করে আমাদেরই কাউকে বলতে হত, ‘কাকু, আর একটু সস হবে?’ নেহাত কমবয়সী ছেলে, তাই হয়তো কিছু বলতে পারতেন না। যেদিন যেটা হাতের কাছে পেতেন, ঢেলে দিতেন আমাদের প্লেটে।…

আইঢাই: সর-পর

Kitchen stories

‘সম’ বোধটা সংসারে প্রায় থাকেই না। তাই গিন্নিদের হাতের মোক্ষম অস্ত্র ছিল সর-পর। অর্থাৎ কিনা ভালোবাসা কিংবা টাকাপয়সা অনুযায়ী এক অদৃশ্য অলিখিত পক্ষপাত। তাই নিয়েই মন্দার মুখোপাধ্যায়ের এ বারের হেঁশেলিয়ানা!…

কবিতার সঙ্গে বসবাস – শাশ্বতী সান্যালের কবিতা

Poetries of Barnali Koley

নবীন কবি শাশ্বতী সান্যালের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থটি মুগ্ধ করেছে প্রবীণ কবিকে। এই কলামের ছোট্ট পরিসরে তিনি আলোচনা করেছেন সেই বইয়ের ভালোলাগাটুকু, ভালোবাসাটুকু।…

উত্তুরে: বড়দেবীর আগ্রাসী আরাধনা, ভান্ডানীর শান্ত উপাসনা

Coochbehar

উত্তরবঙ্গের দুর্গাপুজো যে বাংলার আর পাঁচটা এলাকার থেকে একেবারে স্বতন্ত্র, সে বিষয়ে আমাদের অনেকেরই ধারণা অস্পষ্ট। বিশেষত কোচবিহারের বড়দেবী এবং ভান্ডানী দেবীর পুজো বাংলার সাধারণ দুর্গাপুজোর আচারবিচাপ মেনে সে পথে চলে না। এই অভিনব পুজোয় আমন্ত্রণ জানালেন গৌতম সরকার।…

চলি বলি রংতুলি: ভালো পাহাড়, মাঘের বৃষ্টি আর বান্দোয়ানি গামছা!

Galudi

সাদা দাড়িগোঁফ আর খাটো ধুতির ওপর সোয়েটার পরা কমলদা ‘জয় বাবা বৃক্ষনাথ’ বলে একটা বড়সড় হাঁক ছেড়ে আমাদের ওয়েলকাম  জানালেন। হাতে চামড়ার বেল্টে বাঁধা কালো কুচকুচে ল্যাব্রাডর। এখানে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা ভালোই। খোলামেলা পরিবেশ। রান্নাঘরটিও অবাধ। ফুলের কেয়ারি করা বাগানের মাঝখানে খড়ের ছাউনি।…

আয়নায় অতীতের ছায়া

Old shops

আমি আয়নার দিকে তাকাই এখন কেবল একবার। অশোকদার কাজের শেষে আমি ঘাড় হেলাই। একা আমার ঘাড় হেলে যায়। বাকি প্রতিবিম্ব স্থির হয়ে থাকে। একজন আমিও আর নড়ে ওঠে না, আগের মতো। এও এক ম্যাজিক। অতীতের ছায়া বর্তমানের ডাকে সাড়া দেয় না কখনও।