মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত: পর্ব ১২

আমাদের প্রচুর বই দু-কালারের হয়। ‘হাসিখুশি’ যখন প্রথম হয়, দু-কালারের হয়। ১৯৭১ সালে রবীন সরকারের প্রোডাকশন হাউস থেকে যখন আমাদের প্রোডাকশন হাউসে বাবা কাজগুলো নিয়ে এলেন, তখন দু-কালারের হয়েছে। তখন স্পেশাল স্ক্রিন নয়, দু-কালারের হাফটোন⎯ অরেঞ্জ অ্যান্ড ব্ল্যাক-এর কম্বিনেশনে। ১৯৭৯ সালে বাইরে গিয়েছিলাম। তখন কিছু লাইন স্ক্রিন নিয়ে আসি। আমি আসার পর এক্সপেরিমেন্ট করলাম দু-কালার লাইন স্ক্রিন দিয়ে।
দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে সরস্বতী প্রেসের জন্মকথা, দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত…
গতকালের কলকাতা (পর্ব ২): হারিয়ে যাওয়া পথঘাট

এই ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি কেমন ছিল জানেন? প্রাণকৃষ্ণ দত্ত’র লেখায় পাওয়া যায় ১১ই অক্টোবরের এই ঝড়ে কলকাতা বন্দরে দাঁড়ানো নয়টা ব্রিটিশ জাহাজের মধ্যে আটটা, চারটে ওলন্দাজ জাহাজের মধ্যে তিনটে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। তার সাথে বিশ হাজার নৌকো ভেঙে পড়েছিল এই ঝড়ে। তিন লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছিল ঘূর্ণিঝড়ে। ‘এক রামে রক্ষে নেই, সুগ্রীব দোসর’ প্রবাদ মেনে ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গী হয়েছিল সাইক্লোন।
পুরনো কলকাতার অজানা গল্প, লিখলেন পিনাকী ভট্টাচার্য…
মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত: পর্ব ১১

ধরণী ঘোষ কী করতেন তখন, প্রত্যেক দিন বিকেলবেলায় এসে স্টলগুলোতে ঘুরতেন। পরের দিন বিভিন্ন বই সম্বন্ধে ফ্রন্ট পেজের বাঁ-দিকের তলায় একটা লেখা থাকত কোন বই কীরকম ইত্যাদি নিয়ে। ধরণী ঘোষকে আমি এখনও স্যালুট করি ওই ইনিশিয়াল বছরগুলোয় কাজের জন্য। উনি গিল্ডের প্রোপ্যাগান্ডায় সাহায্য করেছিলেন। পরবর্তীকালে ‘আনন্দবাজার’ করেছে, সবাই করেছে।
দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে সরস্বতী প্রেসের জন্মকথা, দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত…
প্রবাসীর নকশা: পর্ব ১৯

১৭৮৮ সালের ২৬ জানুয়ারী ক্যাপ্টেন আর্থার ফিলিপ এগারোটি জাহাজ নিয়ে সিডনির বন্দরে এসে নোঙর বেঁধেছিলেন। সাথে ছিল সাতশো কয়েদি এবং চারশ সামরিক ও অন্যান্য অফিসার। এই নৌবহরটিকে আজও বলা হয় First Fleet বা প্রথম নৌবহর।
কেমন ছিল দুশো বছর আগের অস্ট্রেলিয়া, কেমন তার ইতিহাস? কলম ধরলেন সিদ্ধার্থ দে…
অন্য জীবন অন্য মনন (৮): হর্ষা রাজহংস টপকে

সকালবেলা পরিপাটি সাজে ও যখন মাছ বেচতে বসে, তখন মনে হয় কী আশ্চর্য দক্ষতা ওর! নিপুণ হাতে মাছ কাটছে। খদ্দের সামলাচ্ছে। বরফ দিয়ে মাছের প্যাকিং করছে কী অনায়াসে। করবে নাই বা কেন! সেই ইস্কুলবেলা থেকে মায়ের হাতে হাতে কাজ করছে ও, কাজ শিখছে। মাছবাজারের কাজ তো সহজ নয়! সবার আগে মাছ চিনতে হয়। সমুদ্দুরের মন বুঝতে হয়।
জীবন থেকে জীবনে: তৃতীয় পর্যায়-পর্ব ৩

সেদিন সকালে ট্রামে করে যখন নায়ারের মেসে যাচ্ছি কেবলই শুনি ও বলছে, “জীবনে বেশি বই থাকে না যা তোমার জীবনটাই বদলে দেবে। ক্ল্যাসিক্স-ফ্ল্যাসিক্স তো ঢের আছে, থাকবেও, পড়তেও হবে। কিন্তু এই যেটা গত তিনদিন পড়ে কাহিল হয়ে গেলাম, এ বই নয় বারুদ। মগজ প্রায় বিগড়ে যাবার দশা। শুধু মনে হচ্ছিল তোমার সঙ্গে শেয়ার করে একটু নর্মাল হই। পরেই ভাবলাম, No. You also need this shock. তোমাকে পড়ে পাগল হতে হবে। তাই সবুর করো, মেসে গিয়ে টোস্ট, অমলেট, চা নিয়ে বসি। তারপর…
শুরু হল শংকরলাল ভট্টাচার্যের ধারাবাহিক কলাম ‘জীবন থেকে জীবনে’-র তৃতীয় পর্যায়, আজ তৃতীয় পর্ব …
মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত: পর্ব ১০

রিসেন্টলি বলছি, ডিকশনারি আর সেরকম চলে না। কারণ সমস্তটাই ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। সূক্ষ্ম–সূক্ষ্ম যে পরিবর্তনগুলো ডিকশনারিতে পাওয়া যায়, তা ইন্টারনেটে পাওয়া যায় না। ফলে কী হচ্ছে, ট্রান্সলেশন হচ্ছে, কিন্তু সেটা ভালো হচ্ছে না।
দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে সরস্বতী প্রেসের জন্মকথা, দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত…
গতকালের কলকাতা (পর্ব ১) কলকাতা বাজারের গল্প

বর্তমান বাগবাজার অঞ্চলে ব্রিটিশ ধনকুবের ক্যাপ্টেন চার্লস পেরিনের বাগানবাড়ি ছিল। ১৭৫২ সালে তাঁর মৃত্যুর পরে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সেই জায়গা কিনে নিয়ে এক ওয়াচ-টাওয়ার বসায়, সেইসময়ের ৩৩৮ টাকা খরচা করে। কারণ? নবাব সিরাজদৌল্লা কলকাতা আক্রমণ করবেন, এই খবর তাদের কাছে আগেই পৌঁছেছিল। তাই পশ্চিমে হুগলী নদী আর উত্তরের জলা-জঙ্গলের দিকে নজর রাখতে এই ওয়াচ-টাওয়ার, যাতে নবাবের সৈন্য দেখলে তৎক্ষণাৎ কেল্লায় খবর দেওয়া যায়।
লিখলেন পিনাকী ভট্টাচার্য…