রকমারি কোপ্তাকারি

এ প্রজন্ম রেস্তোরাঁর খাবারে অভ্যস্ত। বাড়ির হেঁশেলেও আজকাল স্বচ্ছন্দে তৈরি হচ্ছে বিরিয়ানি, চিলি চিকেন। ফলে মুখরোচক খাবারে অভ্যস্ত বাচ্চাদের মুখে সুক্তো, পটলের ডালনা, কুমড়ো ছক্কা রোচে না। এর ফলে পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। কিন্তু স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ব্যালান্স ডায়েট ভীষণ প্রয়োজন। আমিষ প্রোটিনের পাশাপাশি সবজির মধ্যে থাকা ফাইবার, ভিটামিন ও মিনারেলস খুবই দরকার।
বাচ্চা বুড়ো সবার জন্যই নতুন স্বাদের মুখরোচক আর পুষ্টিকর নিরামিষ কোপ্তাকারি রেসিপি নিয়ে লিখলেন জয়শ্রী শীল…
দোলের মিষ্টিমুখ, ঘরোয়া রেসিপিতেই বাজিমাৎ

রাধা-কৃষ্ণের প্রেমের দোল হোক, বা শ্রীচৈতন্যদেবের জন্মতিথি উদযাপন, বা নিছক খুশির রং খেলা— সর্বত্রই মিষ্টি মুখ… মঠ, খাজা, গজা, জিলিপি, মালপোয়া, শরবত, প্যাঁড়া, ইত্যাদি কী নেই সেই লিস্টে!
দোলের দিনে ঘরের হেঁশেলেই তৈরি হোক জিভে জল আনা হরেক মিষ্টি, রেসিপি জানালেন শ্রুতি গঙ্গোপাধ্যায়…
এক কাপ চায়ে আমি… (পর্ব ২)

কলকাতার সব নামকরা চায়ের রেস্টুরেন্টে ‘ফার্স্ট ফ্লাশ দার্জিলিং’ বললে খুব সুন্দর সুন্দর টি-পটে চা এনে দেয়। তারপর টি টাইমার দিয়ে সেই চা বানানোর বিজ্ঞানও বুঝিয়ে দেয়। কিন্তু সব নিয়ম, সব বিজ্ঞান বোঝার পরেও কিন্তু চাগুলো বেশিরভাগ সময় বেশ খারাপ খেতে হয় এবং দার্জিলিং ফার্স্ট ফ্লাশের সেই আয়েশি ফ্লেভারটা কোনওভাবে তৈরি করানো যায় না।
চা তৈরির রকমসকম নিয়ে নানান গল্পে মহুয়া রায়…
এক কাপ চায়ে আমি… (পর্ব ১)

সবচেয়ে আগে জানা দরকার জলের বিষয়। খুব ভালো সুগন্ধী চা তৈরি করতে গেলে দরকার মিনারেল ওয়াটার। নলের জল হার্ড ওয়াটার যেটা সাধারণত আয়রন যুক্ত হয়। তাতে চায়ের ওপরে একটা পরত পড়ে যেটা চায়ের সুগন্ধ অনেকটাই টেনে নেয়।
পিঠে-পার্বণী

পৌষ সংক্রান্তি বা মকর সংক্রান্তি বা উত্তরায়ণ সংক্রান্তি, যখন সূর্য আবার উত্তর দিকে যাত্রা শুরু করে, ধনু থেকে মকর রাশিতে সঞ্চারিত হয়, সেদিন ভোরে স্নান সেরে পরিষ্কার শাড়ি পরে বাড়ির মা কাকিমা জেঠিমারা শুরু করেন পিঠে পার্বণ…
এই পৌষ সংক্রান্তিতে কোথাও কোথাও পুজো হয় ‘উঠোন লক্ষ্মী’ বা ‘পৌষ লক্ষ্মী’র… উঠোনময় আলপনা দিয়ে সাদরে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন ধানের আশীর্বাদকে…
বাঙালির বড়দিনের কেক

শীত মানেই নলেন গুড়ের স্বাদ, কুয়াশার সকালে রাস্তার মোড়ে ভাঁড়ে দুধ-চায়ে চুমুক, আর ছোট্ট বারান্দার কিচেন গার্ডেনে ফলানো সবুজ সবজির ডালি। এই সবকিছুকে মিলিয়ে দিয়ে,আজ নিয়ে এলাম এমন কয়েকটা কেক, যাতে বাঙালির প্রিয় স্বাদ আর গন্ধ মিশে গেছে অ্যাংলো ইণ্ডিয়ান ঘরানায়।
খুশির ইদে মটন-ভোগ!

এসব জিভ-ভাঙা নাম যতই হোক, খাসি বা পাঁঠার মাংস মানে বাঙালির ‘মটন’!! ব্যাস…। তো এই ‘মটন’ কিন্তু সারা বিশ্বে সব চেয়ে বেশিই খাওয়া হয় অন্য মাংসের তুলনায়। রকমারি মাটন রাঁধলেন শ্রুতি গঙ্গোপাধ্যায়।
জগন্নাথের মিষ্টিমুখ

জগন্নাথদেব ভক্তদের কাছে বড়ো প্রিয় দেবতা, শ্রী কৃষ্ণেরই রূপ তিনি। আর রথযাত্রার সময় জগন্নাথের মন্দিরে তাঁর জন্যে রান্না করা হয় ছাপ্পান্ন ভোগ (ছপ্পনভোগ), যে ভোগের ভাগ পায় জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই। কখনও কম পড়ে না সেই মহাপ্রসাদ… লিখছেন শ্রুতি গঙ্গোপাধ্যায়।