লকডাউনে নট আউট!

থেমে না-থাকা এই সব রেস্তোরাঁর মানুষের কাছে ভালো খাবার পৌঁছে দেওয়ার এই প্রচেষ্টা সত্যিই প্রশংসনীয়। অনেকেই আছেন যারা প্রতিনিয়ত তিনবেলা রান্না করতে পারছেন না বা একা বাড়ি থেকে কাজ করছেন। তাঁদের জন্য ফুড ডেলিভারি নিশ্চয়ই অত্যন্ত জরুরি পরিষেবা। অন্যদেরও সংসারের সব কাজ সামলে রোজকার রান্নার ভার নেওয়া কঠিন। তাই খাবার ডেলিভারি অনেকের মুখেই হাসি আনতে বাধ্য।
খাও গলির খোঁজে মুম্বই

খাও গলিগুলির নাম পাও গলিও রাখা যেত। সিঙ্গাড়া ভরা পাও (সামোসা পাও), চপ ভরা পাও (বড়া পাও), তরকারির সঙ্গে পাও (পাও ভাজি), চানাচুরের ঝোলের সঙ্গে পাও (মিসেল পাও), আলু মাখা, বাদাম, বেদানা ভরা পাও(দাভেলি), এরকম বহুবিধ পাও মুম্বইয়ের প্রধান স্ট্রিট ফুড।
লকডাউনে সহজ খানা!

বড়োরা এই লকডাউনের মধ্যে জলখাবার বা বিকেলের নাস্তা স্কিপ করলেও ছোটরা যেন সেটা না করে। বড়োরা চা-বিস্কুট খেয়ে ক্ষান্ত দিলেও ছোটদের করে দেওয়া যাক এসব পুষ্টিকর আর মুখরোচক খাবার। বেচারাদের সেদ্ধভাত, খিচুড়ি-আলুভাজা, ডাল-ভাত-ডিমভাজা থাক দুপুরে। বিকেলে ওদের এমন বানিয়ে দাও না এক-আধদিন! …
না-চিজের চিজচর্চা

ব্যান্ডেল থেকে পর্তুগিজরা পাততাড়ি গোটালেও আশেপাশে ছড়িয়ে গিয়েছিল তাদের শেখানো চিজ তৈরির কায়দা। শুনলাম, ফুটো করা ছোট ছোট গোল পাত্রে জমানোর ফলেই ব্যান্ডেল চিজের এমন প্যাঁড়াসুলভ গড়ন।…
ফ্লুরিজ এখন আপনার দোরগোড়ায়

চব্বিশ তারিখ লকডাউনের ঘোষণার আগেই এই রাজ্যে পাঁউরুটির একটা ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছিল। কিন্তু ব্রেড তো আমাদের অত্যাবশ্যকীয় পণ্যগুলির অন্যতম। রেডিমেড খাবার হিসেবে এইসময় বাড়িতে মজুত থাকাটা জরুরিও। সেই ব্রেড এইভাবে বাজারে আসা বন্ধ হয়ে যাওয়াতে মানুষ বিপদে পড়ে যান। সেটা দেখেই আমরা ভাবতে শুরু করেছিলাম কীকরে এটাকে সামলানো যায়। এদিকে যেহেতু কারফিউ চলছে,কারও পক্ষে বেরিয়ে আসা সম্ভব নয় আর যেহেতু আমাদের মধ্যে অনেকেই শহরের বিভিন্ন আবাসনগুলিতে থাকেন সেখান থেকেই আমরা ভাবতে শুরু করলাম কেমন হয় যদি আমরা আমাদের ফুড ট্রাকে করে পাঁউরুটি সোসাইটিগুলোতে মানুষের কাছে পৌঁছে দিই।
করোনার যুগে ভরোসার রান্না

এখন করোনার লকডাউন পিরিয়ডে আমাদের সহকারীরা কাছে নেই। তাঁদের বাড়িতে ঢুকতে দিলে বিপদ দু’পক্ষেরই। তাই এই দুর্যোগের দিনে আমাদের নিজেদের কাজ নিজেদেরই চালিয়ে নিতে হবে। এছাড়া মনে রাখতে হবে, এই সময় ‘রিসোরসেস আর লিমিটেড।’ কিন্তু তাই বলে আমাদের ক্রিয়েটিভিটি কিন্তু আনলিমিটেড! তাই বুঝেশুঝে খরচা করতে হবে সঞ্চিত জিনিসপত্র। আর যেহেতু সহকারীরা কাছে নেই তাই সবজি কাটার সময়, মশলা বাটার সময় যেন বেশি না হয়ে যায়। কারণ তাহলে কুকিং টাইম আবার ইটিং টাইমের চেয়ে অনেক বেশি হয়ে যাবে। গৃহিণীদের গলদঘর্ম অবস্থা হবে এবং সেটা পোষাবে না।
টুন্ডে, শর্মা, ইদ্রিস আর রহিমের শহর লখনৌ

রহিমের নিহারির স্বাদ একেবারেই আলাদা। আমারা দু ধরণের মাংসের নিহারি খেয়েছিলাম। অপূর্ব স্বাদ। কলকাতার জাকারিয়া অঞ্চলের যে নিহারি পাওয়া যায় তার থেকে অনেক কম মশলা দেওয়া। স্বাদের জন্য উপকরণের মানের ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়, তাই মশলার আধিক্যও কম।
নবাব, আদাব আর কাবাবের শহর লখনউ

মেইন কোর্সে ছিল মাটন পসিন্দা কাবাব, ফিশ মুসল্লম, পনির খুশ রঙ, ভেজ পুলাও, পুদিনার রায়তা, আর অবশ্যই জনপ্রিয় পার্সি ডিশ মাটন ধানসাক ও ব্রাউন রাইস। রান্না অতি অপূর্ব। তবে যে পদটার জন্য এখনও মন কেমন করে, সেটি হল গাজর কি হালুয়া।