ধপ করে চেয়ারে বসে ভদ্রলোক প্রথমেই বললেন, ‘ডাক্তারবাবু দেখুন তো আমার চোখে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস হয়েছে কিনা?’ গলায় আতঙ্ক, ভয়ে মুখ একেবারে শুকিয়ে গিয়েছে।
এই হয়েছে এক জ্বালা আজকাল। চোখ একটু লাল হলে, একটু চুলকোলে বা জল পড়লেই মনের অতল থেকে উঠে আসবে এক অমোঘ প্রশ্ন– ব্ল্যাক ফাঙ্গাস? অথচ জোর দিয়ে বলতে পারি, গত বছরেও হাতে গোনা দু’চার জন ছাড়া কেউই এই অসুখের নামই শোনেননি।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস, যার আসল নাম মিউকরমাইকোসিস (Mucormycosis) একটা বিরল অসুখ। ১৮৫৫ সালে এক জার্মান বৈজ্ঞানিক এই রোগটি প্রথম আবিষ্কার করেন। একমাত্র ভারতেই এই অসুখটিকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস, ইয়েলো ফাঙ্গাস, হোয়াইট ফাঙ্গাস ইত্যাদি নামে ডাকা হয়। অত্যন্ত মারাত্মক আর প্রাণঘাতী হলেও ভারতবর্ষে প্রতি দশ হাজার জনের মধ্যে মাত্র ০.১৪% মানুষের এই অসুখে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এটাও ঠিক যে, বর্তমান কোভিড পরিস্থিতে সংখ্যাটা অনেক বেশি। কোভিড থেকে সেরে ওঠা বহু রোগী ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হচ্ছেন, অনেকে মারাও যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
বিশেষ ধরনের ফাঙ্গাস বা ছত্রাকের (mucormycetes) সংক্রমণই মিউকরমাইকোসিসের আসল কারণ। অপরিচ্ছন্ন স্যাঁতসেতে পরিবেশ, নোংরা মাটি, পচা লতাপাতা, শাকসবজি ফলমূল, মৃত জীবজন্তু থেকে নিশ্বাসের মাধ্যমে অসুখটির জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। এছাড়া হাত-পায়ে কাটাছেঁড়া থাকলেও সেখান থেকে সংক্রমণ হতে পারে। শরীরে প্রবেশ করে এটি সাইনাস ও আশপাশের হাড়, নাক, মস্তিষ্ক, চোখ, ফুসফুস ইত্যাদি অঙ্গকে আক্রমণ করে ধ্বংস করার কাজ শুরু করে দেয়। সুখের কথা অসুখটি সাধারণত ছোঁয়াচে নয়।
কাদের মিউকরমাইকোসিস রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি:
যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, যাঁদের নিয়মিত ইমিউনোসাপ্রেসিভ ওষুধ ব্যবহার করতে হয়, তাঁরাই এই রোগের সম্ভাবব্য শিকার। যেসব অসুখের ক্ষেত্রে মিউকরমাইকোসিসের সম্ভাবনা বেশি সেগুলি হল:
- দীর্ঘদিনের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস
- ক্যান্সার এবং কেমোথেরাপি
- অঙ্গ-প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এমন রোগী
- দীর্ঘদিন ধরে যাঁদের স্টেরয়েড-জাতীয় ওষুধ খেতে হয়
- যাঁদের রক্তে শ্বেত-কণিকার সংখ্যা কম (Neutropenia)
- যাঁদের রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ অনেক বেশি (iron overload)
- চামড়ায় আঘাত, অস্ত্রোপচার বা পুড়ে যাওয়ার ক্ষত রয়েছে এমন রোগী
- অপুষ্টি এবং শারীরিক দুর্বলতা রয়েছে এমন কেউ
- স্টেম-সেল প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এমন কেউ
মিউকরমাইকোসিসের উপসর্গ:
এই রোগের প্রধান উপসর্গগুলো জানতে হলে ফাঙ্গাসটি শরীরের কোন অঞ্চলে বাসা বেঁধেছে, তার চরিত্র, মারণক্ষমতা ইত্যাদিও জানা দরকার। মনে রাখা প্রয়োজন, যে মিউকরমাইকোসিস নানা রকমের হতে পারে।
রাইনোসেরিব্রাল মিউকরমাইকোসিস:
মিউকরমাইকোসিস অথবা Rhyno-Ceribral (Sinus & Brain) mucormycosis রোগে নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ফাঙ্গাস শরীরে প্রবেশ করে সাইনাস এবং মস্তিষ্ককে আক্রমণ করে। এর লক্ষণ হচ্ছে:
- মুখের একদিক ফুলে ওঠে
- জ্বর এবং সেই সঙ্গে প্রচণ্ড মাথাব্যথা
- নাক বন্ধ হয়ে নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা
- সাইনাসের যন্ত্রণা শুরু হওয়া
- চোখের পাতা, কনজাংটিভা, লাল হয়ে ফুলে ওঠে
- চোখ করকর, পিচুটি আর জল পড়া
- মুখের ভিতরের হাড় ও মিউকাস মেমব্রেনে পচন ধরে, কালো হয়ে যাওয়া
- নাকের পাশে, গালের উপরের দিকের চামড়ায় কালচে ছোপ পড়া। এইজন্য অসুখটির নাম ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। চামড়ার রঙ হলুদ (ইয়েলো ফাঙ্গাস) কিংবা সাদাও (হোয়াইট ফাঙ্গাস) হতে পারে।
পালমোনারি মিউকরমাইকোসিস:
পালমোনারি মিউকরমাইকোসিস অথবা (Pulmonary (Lung) mucormycosis)-এর ক্ষেত্রে জীবাণু শরীরে প্রবেশ করবার পর ফুসফুসে গিয়ে বাসা বাঁধে আর সেখানেই শুরু হয় তার ধ্বংসাত্মক কাজকর্ম। জ্বর, কাশি, বুকে ব্যথা আর নিশ্বাসের কষ্ট ইত্যাদি রোগলক্ষণ দেখেই একে চেনা যায়।
কিউটেনিয়াস মিউকরমাইকোসিস:
কিউটেনিয়াস মিউকরমাইকোসিস (Cutaneous (skin)-এর mucormycosis) ক্ষেত্রে চামড়ায় ফোসকা আর পোড়া ঘায়ের মতো ক্ষত তৈরি হয়। প্রচণ্ড ব্যথা করে, আক্রান্ত চামড়া লাল হয়ে ফুলে ওঠে আর অত্যন্ত গরম বোধ হয়। ধীরে ধীরে চামড়ার রঙ কালো হতে শুরু করে।
গ্যাট্রোইন্টেস্টিনাল মিউকরমাইকোসিস:
গ্যাট্রোইন্টেস্টিনাল মিউকরমাইকোসিস (Gastrointestinal (Digestive system) mucormycosis)-এর পাকযন্ত্রকে আক্রমণ করে মানুষকে নাজেহাল করে ছাড়ে। প্রচণ্ড পেটে ব্যথা, ঘন ঘন বমি, আর প্রচুর রক্তপাত ইত্যাদিই এর অন্যতম লক্ষণ।
কীভাবে জানা যাবে যে অসুখটা সত্যিই মিউকরমাইকোসিস?
মিউকরমাইকোসিসে সাধারণতঃ শারীরিকভাবে দুর্বল আর নানা জটিল অসুখে ভুগছেন, এমন রোগীরাই আক্রান্ত হয়ে থাকেন। ফলে কেবলমাত্র রোগলক্ষণ দেখেই মিউকরমাইকোসিস হয়েছে, এমন সিদ্ধান্তে আসা যায় না। এজন্য আরও পর্যবেক্ষণ আর পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে।
- রোগীর ইতিহাস: প্রথমেই জেনে নিতে হবে রোগীর ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, ব্লাড প্রেশার, কিডনি ইত্যাদি রোগের খবরাখবর বা তিনি সম্প্রতি কোভিডে ভুগেছেন কিনা। এছাড়া তার অসুখের রোগলক্ষণ, প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষানীরিক্ষা, ল্যাবরেটরি টেস্ট ইত্যাদি তথ্যও জেনে নিতে হবে।
- ল্যাবরেটরি টেস্ট: গলা এবং নাক থেকে নমুনা নিয়ে সোয়াব-টেস্টের মাধ্যমে ফাঙ্গাসের উপস্থিতি ও চরিত্র নির্ণয় করা হয়।
- টিস্যু বায়োপসি: আক্রান্ত অঞ্চল থেকে টিস্যুর সামান্য নমুনা নিয়ে বায়োপসি কিম্বা ফাঙ্গাস কালচার করে মিউকরমাইকোসিস সম্বন্ধে নিশ্চিত সিদ্ধান্তে আসা যায়।
- সিটি স্ক্যান: প্রয়োজনে সাইনাস, ফুসফুস, ব্রেন, পেট ইত্যাদি অঞ্চলের সিটি স্ক্যান করা জরুরি।
মিউকরমাইকোসিস কেন এত মারাত্মক:
প্রাথমিক অবস্থায় রোগের তেমন প্রকোপ না থাকলেও এটি অত্যন্ত দ্রুত ফুসফুস, মস্তিষ্ক, কিডনি, রক্তনালী ইত্যাদি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে সেগুলিকে অকেজো করে দেয়। তাই সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু না করলে ব্রেন ইনফেকশন, প্যারালিসিস, নিউমোনিয়া, খিঁচুনি শুরু হতে পারে। চোখের ইনফেকশনের জন্য বেশিরভাগ রোগীই অন্ধ হয়ে যান। সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু না করলে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী।
মিউকরমাইকোসিসের চিকিৎসা:
মিউকরমাইকোসিস আত্যন্ত মারাত্মক ফাঙ্গাল ইনফেকশন এবং দ্রুত চিকিৎসা শুরু করাই রোগীর জীবন বাঁচানোর একমাত্র উপায়। এজন্য প্রথমেই ইন্ট্রাভেনাস স্যালাইনের মাধ্যমে উপযুক্ত অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ প্রয়োগ করে জীবাণুর সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হয়। এছাড়া অপারেশন করে আক্রান্ত অঞ্চলের চামড়া, ট্যিসু ও অন্যান্য দূষিত বস্তুগুলিকে কেটে বাদ দেওয়া হয়। এর ফলে রোগটি বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারে না।
একই সঙ্গে ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেশার, শ্বাসকষ্ট কিডনি, ইত্যাদির যথাযথ যত্ন নেওয়া জরুরি। মিউকরমাইকোসিসের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় এমন কয়েকটি অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধের নাম Amphotericin B, Posaconazole, Isavuconazole (এগুলি স্যালাইনের মাধ্যমে কিংবা ক্যাপসুল বা ট্যাবলেটের আকারেও ব্যবহার করা হয়)।
মিউকরমাইকোসিসে চোখের যত্ন:
আগেই বলা হয়েছে মিউকরমাইকোসিসের আক্রমণে চোখে নানা সমস্যা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে উপরে আলোচিত চিকিৎসা ছাড়াও চোখের অতিরিক্ত যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। চোখকে বারবার উষ্ণ জল দিয়ে পরিষ্কার করা, অ্যান্টিবায়োটিক আইড্রপ, মলম ইত্যাদি ব্যবহার করে চোখকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করা হয়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দৃষ্টিশক্তির চরম ক্ষতি হয়, এমনকী চোখ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়।
তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু করতে পারলে অনেক ক্ষেত্রেই মিউকরমাইকোসিস থেকে সেরে ওঠা যায়। কিন্তু যেহেতু রোগটির সংক্রমণ অতি দ্রুত সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে, তাই মৃত্যুর সম্ভাবনাও অনেক বেশি। পরিসংখ্য়ানে দেখা গিয়েছে মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুর হার ৫০ শতাংশেরও বেশি। যদিও এতদিন এই রোগটির প্রাদুর্ভাব প্রায় ছিল না বললেই চলে, কিন্তু বর্তমান কোভিড-পরিস্থিতিতে এটি প্রায় মহামারীর চেহারা নিয়েছে। সবচেয়ে মুশকিল হল মিউকরমাইকোসিসের কোনও ভ্যাক্সিন নেই।
সংক্রমণ থেকে বাঁচবার উপায়
মিউকরমাইকোসিস ছোঁয়াচে অসুখ নয়, ফলে অন্য লোকের থেকে সংক্রমিত হবার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু মিউকরমাইকোসিসের জীবাণু বাতাসে ভেসে বেড়ায়, ফলে তাকে এড়িয়ে যাবার কোনও উপায়ও নেই। তাই নিজের সাবধানতা, পরিচ্ছন্নতা আর সতর্কতাই মিউকরমাইকোসিসকে দূরে রাখবার একমাত্র পথ। ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট, কিডনি ইত্যাদি অসুখের যথাযথ চিকিৎসা করে নিজেকে সুস্থ রাখা, প্রয়োজনীয় শরীরচর্চা, উপযুক্ত আহার আর পর্যাপ্ত বিশ্রামের মাধ্যমে শরীরের ইমিউনিটি বৃদ্ধি আর রোগের সামান্য লক্ষণ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
যেহেতু অসুখটি ফাঙ্গাস-জনিত তাই অপরিষ্কার জায়গা, যেমন বাগান করা, কনস্ট্রাকশনের কাজ, বন্যাপীড়িত অঞ্চল, নোংরা জলের কাজ ইত্যাদি এড়িয়ে যাওয়াই উচিত। যদি করতেই হয় তাহলে উপযুক্ত ফেস-মাস্ক, গ্লাভস, লম্বা জুতো, ফুলপ্যান্ট, লম্বা-হাতা জামা ইত্যাদি ব্যবহার করে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। শরীরে কোনও কাটাছেঁড়া থাকলে সেই অংশ অ্যান্টিসেপ্টিক লোশন দিয়ে পরিষ্কার করে ব্যান্ডেজ বেঁধে রাখা জরুরি। যাদের নিয়মিত ইম্যুনোসাপ্রেসিভ ওষুধ খেতে হয় (Organ Transplant, Stem Cell Transplant etc) তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়।

কোভিড অতিমারী ও ব্ল্যাক ফাঙ্গাস:
নানা পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের প্রকোপ দিনদিন বেড়ে যাচ্ছে। এমনকী ভারতের অনেক রাজ্য এই রোগটিকে মহামারী হিসাবে ঘোষণা করেছে। কোভিডাক্রান্ত রোগীদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কম। তাদের অনেকের ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ইত্যাদি কো-মরবিডিটি থাকে। উপরন্তু কোভিড চিকিৎসার জন্য নানা ধরনের ওষুধ, বিশেষ করে স্টেরয়েড প্রয়োগ করা হয় অথবা উচ্চমাত্রার অক্সিজেন (moist oxygen) দিয়ে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়। তার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও হ্রাস পায়। আর সেই সুযোগে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের দস্যুরা (mucormycetes) দলবল নিয়ে শরীরে ঢুকে পড়ে হুলুস্থূল বাধিয়ে দেয়।
সংক্ষিপ্তসার
- মিউকরমাইকোসিস একটি ফাঙ্গাস-জনিত প্রাণঘাতী কিন্তু বিরল অসুখ।
- একমাত্র ভারতেই একে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস মানে ডাকা হয়।
- রোগটি ছোঁয়াচে নয়।
- যাদের শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তারাই এই রোগের শিকার।
- দ্রুত চিকিৎসা শুরু না করলে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী।
- কোভিড থেকে সেরে ওঠা রোগীদের ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেশি।
- ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগের কোনও প্রতিশেধক বা ভ্যাক্সিন নেই।
- ব্যক্তিগত সাবধানতা ও পরিচ্ছন্নতাই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস থেকে বাঁচবার একমাত্র পথ।
বিশিষ্ট চক্ষু চিকিত্সক ডা. পূর্ণেন্দুবিকাশ সরকার সল্টলেক আই কেয়ার ফাউণ্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা। চিকিত্সার সঙ্গেই চলে লেখালেখির কাজ। লিখেছেন 'চশমার হ্যান্ডবুক', 'গীতবিতান তথ্যভাণ্ডার', 'চোখের কথা' ইত্যাদি বই। এছাড়াও 'গীতবিতান আর্কাইভ' এবং 'রবীন্দ্রকবিতা আর্কাইভ' নামে দুটি মূল্যবান সংকলন তৈরি করেছেন।
Khub informative o sahaj bhashay puro bishay ti explain korechhen. Anek dhanyabad Purnendu da. Regards.
লেখাটার বিষয়ে তোমার বক্তব্য জেনে ভালো লাগল। ধন্যবাদ
লেখাটার বিষয়ে তোমার বক্তব্য জেনে ভালো লাগল। ধন্যবাদ
সহজাত প্রতিভায় যে কোন বিষয়কে সর্বজনগ্রাহ্য করে পরিবেশন করার ক্ষমতার আরো একটা সংযোজন। সমৃদ্ধ হলাম। অসম্পূর্ণ ও ভাসা ভাসা বিবরণের চেয়ে এরকম তথ্যবহুল ও বিষয় নির্ভর রচনা সাধরণ জনমানসে আরও বেশী গ্রহণযোগ্য হয়্। আশায় রইলাম আরও পাব