ভালো করে জ্ঞান হওয়ার পর প্রথম বিয়েবাড়ি দেখলুম যখন পাশের বাড়ির সেজো মেয়ের বিয়ে হল পাত্র ঘাটালের ফুল ব্যবসায়ী আমাদের প্রতিবেশী জ্যেঠুর আর্থিক সচ্ছলতা আহামরি কিছু ছিল না মোটামুটি সামান্য জায়গা-সহ একটি  দোতলা বাড়ি আর কিছু জমা টাকা থেকে সুদ ওতেই কোনওভাবে চলে যেত সংসার সাত মেয়ে আর দুই ছেলে তা সেই সেজদির বিয়ে হল আমার চোখ ফোটার পর আমাদের বাড়িতে বরাসন জ্যেঠুর বাড়িতে বিয়ে আর খাওয়াদাওয়া  

সে আটের দশকের কথা বিয়েতে শাড়ি-গয়নার জৌলুস তেমন না থাকলেও খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে আন্তরিকতার কোনও অভাব হত না তাই সীমিত সামর্থ্যের মধ্যেও জ্যেঠু আয়োজন করেছিলেন সাধ্যমতো নিজেদের আত্মীয়স্বজন তো ছিলই, শ’খানেক বরযাত্রী, আর পুরো পাড়ার সপরিবার নেমন্তন্ন সমস্ত অভ্যাগতদের জন্য কালো রঙের থামস আপ, কমলা রঙের গোল্ড স্পট, সাদা রঙের লিমকা 

বরযাত্রীদের জন্য আলাদা প্যাকেটে প্যাকেটে নিমকি, সিঙ্গাড়া, দু’তিন রকমের মিষ্টি সহযোগে টিফিন সবাইকে বসিয়ে পাত পেড়ে সাদা ভাত, ডাল, আলুভাজা, কুমড়োর ছক্কা, পোনা মাছের কালিয়া, খাসির মাংস, চাটনি, পাঁপড়, দু’রকমের মিষ্টি খাওয়ানো শেষে ঘরে সাজা পান একটা করে হ্যাজাকের আলোতে বেঞ্চি-টেবিল পেতে টেবিলের ওপর পাতা কাগজের রোলের উপর কলাপাতা সঙ্গে মাটির খুরি প্রথমে পাতায় চন্দ্রকলার মতো একফালি লেবু আর  মোটা মোটা দানার নুন এরপর একের পর এক ডাব্বুহাতা সহযোগে বালতি স্থানীয় ছেলেপুলেদের হৈ হৈ করে পরিবেশন করা আর সবাইকে ধরে ধরে খাওয়ানো 

ওই বিয়েবাড়ির কিছুদিন পরেই বিয়ে লাগল আমাদের বাড়িতে মেজপিসির বিয়ে বিয়ের যোগাযোগ যখন চলছিল, তখন দেখতাম মা ঠাকুমাদের নির্দেশে বাড়ির দরজায় কোনও মথ বসলে, পিসি তার মাথায় সিঁদুরের টিপ পরিয়ে দিত হয়তো কোনও টোটকা সে যাই হোক নিজের বাড়ির বিয়ে বলে কথা উৎসাহের অন্ত নেই সাতদিন আগে থেকেই বাগানে খটখট করে ডেকরেটর্সের বাঁশ পড়ে গেল তার আগে বর্ষায় বেড়ে ওঠা জুন ঘাস তুলে তুলে মাটি সমান করা হয়েছে মেয়ের বিয়ে মানে জায়গা লাগবে অনেক বেশি ছাদনাতলা, অভ্যাগতদের বসার জায়গা, পঙক্তিভোজন তাই বাগানে প্যান্ডেল হবে, ছাদে প্যান্ডেল হবে ভিয়েনের জায়গা হবে 

Biyebarir Kitchen
বাগানে প্যান্ডেল হবে, ছাদে প্যান্ডেল হবে। ভিয়েনের জায়গা হবে

বাঁশ এল, দড়িদড়া এল, রঙিন কাপড় এল ওদিকে লম্বা ফর্দ যাচ্ছে মশলার দোকানে একটা ফর্দ আনাজ বাজারের জন্য প্রতিদিন বিকেলে চায়ের আসরে ঠিক হচ্ছে দু’তিন দিন ধরে দু’বেলা কী খাওয়া হবে, কী টিফিন হবে আত্মীয়স্বজন আসতে শুরু করে দেবে আমাদের ছোটদের কী দায়িত্ব, কোথায় বর বসবে, কোথায় কনে বসবে, কারা কারা অতিথি আপ্যায়নের দায়িত্বে থাকবে, কারা বরযাত্রীদের দেখাশুনো করবে, কারা টিফিন দেবে, কারা পরিবেশন করবে ইত্যাদি ইত্যাদি সব ঠিক হল দই মিষ্টির অর্ডার পড়ল ফুলের অর্ডার পড়ল কনে তো সাজবেই তাছাড়া বাড়ির মেয়েরা খোঁপায় বেলফুলের মালা জড়াবে। বিয়ের বেদি, বরাসন সব ফুলে সাজানো হবে, গেটে গেটে মালা ঝুলবে, খাওয়ার জায়গায় ফুল-পাতার রিং

দু’তিন দিন আগে বাড়ির পিছনদিকে গাঁইতি দিয়ে মাটি তুলে গর্ত করে মাটি-গোবর লেপে বড় বড় উনুন তৈরি হল বাড়িতেই ভিয়েন ওপরে শামিয়ানা দু’দিন আগে থেকেই বড় বড় খুন্তি হাতা একটা দড়িতে বেঁধে রাঁধুনির দল হাজির এসেই কী কী মেনু হবে জেনে নিয়ে ফর্দে দরকার মত পরিবর্তন করে কয়েক প্যাকেট বিড়ি চেয়ে নিল তখনকার দিনে ফর্দে কয়েক বান্ডিল বিড়ি সিগারেট থাকতই রান্নার বামুনরা পেটে পৈতে আর কানে বিড়ি গুঁজে রান্না করত, মশলা পিষত বরযাত্রীকে প্লেটে করে সিগারেট-দিয়াশলাই দিতে হত 

দু’তিনদিন আগে থেকেই আত্মীয়দের ভিড় শুরু হয়ে গেল আড্ডা, চিৎকার, মেয়েলি গল্প, শাড়ি দেখা, গয়না দেখা, সাজসজ্জার সরঞ্জাম ঠিক করা, কনের স্যুটকেস সাজানো আমাদের তত্ত্ব পাঠানোর চল ছিল না মেয়ের জিনিসপত্র ও প্রণামীর জামাকাপড় স্যুটকেস বোঝাই হয়ে যেত সঙ্গে বড় মাটির হাঁড়িতে দৈ মিষ্টি গায়ে হলুদের তত্ত্বেও একই ব্যাপার উপরি হিসেবে যেত নোলক নাকে সিঁদুর মাখা এক বড়সড় মাছ 

বরযাত্রীদের জন্য আলাদা প্যাকেটে প্যাকেটে নিমকি, সিঙ্গাড়া, দু’তিন রকমের মিষ্টি সহযোগে টিফিন। সবাইকে বসিয়ে পাত পেড়ে সাদা ভাত, ডাল, আলুভাজা, কুমড়োর ছক্কা, পোনা মাছের কালিয়া, খাসির মাংস, চাটনি, পাঁপড়, দু’রকমের মিষ্টি খাওয়ানো। শেষে ঘরে সাজা পান একটা করে। হ্যাজাকের আলোতে বেঞ্চি-টেবিল পেতে টেবিলের ওপর পাতা কাগজের রোলের উপর কলাপাতা। সঙ্গে মাটির খুরি।

বিয়ের দিন সকাল থেকেই সানাইতে সোহিনীর সুর ভোরবেলা সূর্য ওঠার আগে মেয়েরা শাঁখ বাজিয়ে ঘাটে গিয়ে বড় পিতলের কলসিতে কুহেলি বুড়ির জল তুলে আনল গায়ে হলুদের সময় প্রথমে সে জল কপালে ঢালা হবে তারপর পুকুরঘাটে স্নান ভিয়েনের জায়গায় ঠং ঠাং ময়দা মাখা হচ্ছে লুচি হবে সঙ্গে আলুর তরকারি, সন্দেশ, মিহিদানা কত পরিচিত লোক সকালে আসবে, পাত্রপক্ষের লোকেরা আসবে গায়ে হলুদের তত্ত্ব নিয়ে বাকি কুটুমেরা আছে লুচি, আলুর তরকারি ছাড়া সামাল দেওয়া দায় কেনা হয়েছে কাগজের প্লেট শালপাতার থালার বান্ডিল ঘিয়ের গন্ধে গোটা ঘর ম ম করছে 

ওদিকে বিয়েবাড়ির ব্যস্ততার শেষ নেই আগেরদিন এসে গেছে ডাঁই করা আনাজ, বস্তা বস্তা আলু, পেঁয়াজ বেশ কয়েকজন বঁটি নিয়ে আনাজ কাটছে, আদার ছাল ছাড়াচ্ছে, রসুনের কোয়া জলে ডুবিয়েছে রাতের রান্না শুরু হবে দুপুর দুপুর নচেৎ সন্ধে সাতটায় পাত পড়বে কী করে! আইটেম তো নেহাত কম নয় ভরা বর্ষায় ফুলকপি এসেছে বস্তায় করে সুদূর দুর্গাপুর থেকে বড় শালতিতে এল খাসির মাংস সবার আগ্রহ মাছের দিকে কখন মাছ আসবে আগে থেকে অর্ডার দেওয়া আছে ইলিশ ও কাতলা কাতলা যেন নিদেনপক্ষে দশ-বারো সের হয় কয়েকজন গেছে সে মাছ আনতে

দশটা নাগাদ ভ্যানে করে মাছ এসে চাতালে শুয়ে গেল সে এক দর্শনীয় ব্যাপার বড় বড় নাদুস নুদুস মাছ সব শুয়ে আছে পাশাপাশি কে ডানা দেখছে, কে মাথা দেখছে, কে গায়ের রঙ দেখছে, কানকো তুলে দেখছে কানকো লাল কিনা বড় বড় আঁশবঁটি আর ছাই নিয়ে সহকারী সব বসে গেল মাছ কাটা হবে পিস পিস মাথা বাদ দিয়ে কেজিতে আট থেকে দশ পিস একজন ঠায় বসে তদারক করছে পিস ছোটবড় হলে হবে না মুড়োগুলো দিয়ে দুপুরবেলা ডাল, কুমড়োর ঘ্যাঁট হবে দুপুরে সাদামাটা মেনু ডাল আলুভাজা, ঘণ্ট, মাছের ঝোল, টমেটোর চাটনি রাতে ভারী খাওয়া তবে বরপক্ষের যাঁরা তত্ত্ব নিয়ে এসেছেন তাঁদের জন্য একটু আলাদা আয়োজন

Wedding Fish
উপরি হিসেবে যেত নোলক নাকে সিঁদুর মাখা এক বড়সড় মাছ

সন্ধের পর অতিথি অভ্যাগতরা আসতে শুরু করলে তাঁদের গেটেই আপ্যায়ন করে পরিয়ে দেওয়া হল চন্দনের ফোঁটা হাতে রুপোলি তবকে মোড়া গোলাপ ফুল তারপর হাতে ধরিয়ে দেওয়া হল ঠান্ডা পানীয়, যার যেটা পছন্দ এরপর কাগজের প্লেটে তুলে দেওয়া হল একটা করে খাস্তা কচুরি, সন্দেশ, শোনপাপড়ি, কুচো নিমকি সামান্য জলযোগ সার সার কাঠের চেয়ার পাতা অতিথিদের বসার ব্যবস্থা সবাই খোঁজ নিচ্ছে তাঁরা টিফিন পেয়েছেন কিনা, চা বা কফি কিছু নেবেন কিনা তখন অতিথিদের সব কিছু হাতে তুলে দেওয়ার চল ছিল ‘বুফে’ শব্দটা কেউ শোনেইনি 

বিকেল থেকে সারি সারি টেবিল পাতা হয়েছে টেবিল বলতে লোহার স্ট্যান্ডের ওপর তক্তার সরু পাটা বেঞ্চিতে বসার ব্যবস্থা সে টেবিল আবার একদিকে একটু হেলে থাকে টেবিলের ওপর সাদা রোল পেপার পাতা প্রত্যেক পঙক্তির পর কাগজ পাল্টানো হত আলো-পাখা লাগানো হয়েছে সাতটার একটু আগেই শালপাতার থালা ধুয়ে পেতে দেওয়া হল তখন কলাপাতায় খাওয়ারও চল ছিল পাতের কোনায় নুন লেবু পাশে মাটির খুরি অতিথিদের সমাদরে এনে বসানো হল প্লাস্টিকের জগ থেকে জল ঢালার সঙ্গে সঙ্গে দেখা গেল কোন খুরিতে ফুটো ধর ধর বলে সে খুরি অ্যাম্বুল্যান্সে নিয়ে যাওয়ার মতো সরিয়ে দেওয়া হল ততক্ষণে হয়তো কারো শাড়ির কুঁচিতে জল পড়েই গেছে 

Wedding Feast
অতিথিদের সব কিছু হাতে তুলে দেওয়ার চল ছিল

সে যাই হোক প্রথমে ঘি-ভাত সঙ্গে বেগুনি বা লম্বা ডাঁটিসহ বেগুনভাজা তারপর বালতিতে এল সাদা ভাত পিছনে পিছনে আলুভাজা, নারকেল দিয়ে ঘন মুগের ডাল, নটে শাকের ছ্যাঁচড়া, ফুলকপির তরকারি, আলু পটলের ডালনা, দই কাতলা, সর্ষে ইলিশ, খাসির মাংস, পেঁপের প্লাস্টিক চাটনি শেষ পাতে পায়েস, মিষ্টি দই, বড় বড় রাজভোগ, সন্দেশ, পাঁপড় আর পান তখন শাকের একটা পদ হত বেশ মাছের তেল পোস্ত টোস্ত দিয়ে কখনো আলু কুমড়োর ঘণ্ট খাঁটি বাঙালি রীতি মেনে কেউ নাক সিঁটকোতো না তখন এই চানা বাটার মশালা, পাতুরি, পোলাও, বিরিয়ানি ইত্যাদি অবাঙালি রান্নার চল অন্তত মফসসলে ছিল না মেনুতে বাঙালিয়ানা ধরা পড়ত 

যেহেতু মেনুকার্ড থাকত না তাই অভ্যাগতদের কাছে পরের বালতির মধ্যে কী হতে পারে, তাই নিয়ে কৌতূহল থাকত বিস্তর পরিবেশন করত পাড়ার বা স্থানীয় ক্লাবের ছেলেরা আমার বাবা কনেকর্তা সবাইকে ধরে ধরে  খাওয়ানোটাই রীতি কার কী লাগবে, কে কী খেতে ভালোবাসেন সেদিকে সবার নজর আর এক পিস মাছ জোর করে দিয়ে দেওয়া, আরও একটু মাংস দেওয়া অতিথিরা ভগবান তাঁদের পাত যেন খালি না থাকেআন্তরিকতার সঙ্গে খাওয়ানোটাই ছিল দস্তুর

এক একটা পঙক্তিতে সময় লাগত প্রায় ঘণ্টাখানেক সবাই বসে ধীরেসুস্থে খেতেন তাড়া ছিল না এক একজনকে দশ বারো পিস মাছ, পনেরো কুড়িটা রাজভোগ স্বচ্ছন্দে খেতে দেখেছি যাঁরা পরিবেশন করতেন, তাঁরাও ছিলেন কী ভীষণ আন্তরিক তাঁরা জানতেন, কে কে ভোজনরসিক আছেন কে মিষ্টি খেতে ভালোবাসেন, কে মাংস খেতে পারেন কয়েক কেজি, সব ছিল নখদর্পণে সেভাবেই পরিবেশন হত প্রত্যেক অতিথিকে জিজ্ঞাসা করা হত, তাঁদের কোনও অসুবিধা হল কিনা সবশেষে হাতে তুলে দেওয়া হত একটা করে মিষ্টি পান অতিথিরা তাম্বুলরঞ্জিত ওষ্ঠে বিদায় নিতেন গেট অবধি এগিয়ে দেওয়া হত 

এই একই রীতিতে এর পর বাড়িতে বহু বহু বিয়ে হয়েছে সেই প্যান্ডেল, মাটির উনুন, ভিয়েন, বাজার, কলাপাতা, শালপাতা, মাটির গ্লাস, কাঠের টেবিল, খাওয়ার কম্পিটিশন, কোনও পদ না পরিবেশিত হওয়া ভুলবশত, আত্মীয়স্বজনদের হৈচৈ, গাদাগাদি করে শোওয়া, আন্তরিকতা, মান অভিমান এসব ছাড়া বিয়েবাড়ি জমে! দিন পনেরো বাড়ি আত্মীয়স্বজনের কোলাহলে গমগম করত।ভাড়া করা বাড়িতে কেটারারের লোকের হাতের পুতুল হতে একটুও ভালো লাগে না কেউ কাউকে চেনে না, কেউ কারুর পছন্দ জানে না রোবটের মতো খাবার দিয়ে চলে যায় ইউনিফর্ম পরে নাম কা ওয়াস্তে জিজ্ঞাসা করে না নিলেই খুশি এখন ব্যুফে সিস্টেম হয়েছে বটে, কিন্তু তাতেও নিজে খাবার তোলার স্বাধীনতা নেই একদল লোক টুপি আর ইউনিফর্ম পরে রেশনিং করছে কেউ জানতেও চায় না কে কী খেল, কার কী লাগবে, আর একটু দেবে কিনা আবাহনের যেমন অভাব, তেমনি বিসর্জনের আসলে আজকালকার বিয়েবাড়িতে আলটপকা জৌলুশ আছে ঠিকই, কিন্তু আন্তরিকতায় কোথায় যেন ঘাটতি পড়ে গিয়েছে হয়তো কোনওদিন আবার সেই পুরনো রীতিতেই বাঙালি ফিরবে! তবু সংশয় তো থেকেই যায়

 

*ছবি সৌজন্য: Facebook, Roar Media

কর্মসূত্রে কলকাতায় বসবাস। ছোটবেলা কেটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে। ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্রী। শখ - বইপড়া, রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং ঘুরে বেড়ানো। ২০১৯ সালে 'সৃষ্টিসুখ' থেকে প্রকাশিত হয়েছে গদ্য সংকলন- 'রোজনামচা'। সম্প্রতি ভূমিকা লিখে পুনঃপ্রকাশ করেছেন ১৮৭৫-৭৬ সালে প্রকাশিত মেয়েদের দুষ্প্রাপ্য পত্রিকা 'বঙ্গমহিলা'।

2 Responses

  1. দিদি, মহিষাদলের সঙ্গে একটা আত্মিক যোগাযোগ আছে। তাই খুব কাছের মনে হচ্ছে আপনাকে ।আর খুব ভালো বিষয় নির্বাচন করেছেন আপনি। আমরা তো ৬০-৭০ সনের থেকে দেখেছি কি নির্মল আর আনন্দ ময় হতো বিয়ে , অন্নপ্রাশন এইসব অনুষ্ঠান। তখন বেশিরভাগ খাওয়া দাওয়া দুপুরে হতো। রাতে ও হতো।মনে পড়ে, স্কুল থেকে বেঞ্চ নিয়ে আসা, নিচু বেঞ্চে উল্টো করে আনা হতো দৈ , যাতে পাতিল না ভাঙ্গে। আরেক টা জিনিস হতো জল ভরার গান। আমরা কলাপাতা’র বাঁশি বাজিয়ে পেছনে সব যেতাম।আরো কতো কি !! সোনালী স্বপ্নের কথা বলতে বলতে চোখে জল চলে আসে, কোথায় গেল দিন গুলো ??

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *