দুটো ছোট ছোট আলো আঁধারিতে ঘেরা কামরা। কাঠের টুলে বসে সাদা পাজামা, সাদা ফতুয়া পরা একজন মানুষ। কাঁচাপাকা চুল, চোখে চশমা, কোলের ওপর শোয়ানো দু’হাতে ধরা একটা গিটার। কখনও টুংটাং করছেন, কখনও কাঠের পালিশ দেখছেন, কখনও গিটারের কানগুলোতে মোচড় দিয়ে কী যেন শুনছেন। চল্লিশ বছর ধরে এই দুই ঘরের ছোট্ট পরিসরই ওঁর জীবন, ওঁর জগৎ। তিনি, ভবসিন্ধু বিশ্বাস, কনকর্ড মিউজ়িকাল ইন্ডাস্ট্রিজ়-এর কর্ণধার। ওস্তাদ সঙ্গীতজ্ঞদের ধ্রুপদী গিটার তৈরির এক নেপথ্য নায়ক, যাঁর নাম কেউ জানে না। শুরু করেছিলেন দাদার বাজনার কারখানায় সহকারী হয়ে। পরে নিজের হাতে গড়ে তোলেন শাস্ত্রীয় গিটারের সাম্রাজ্য– কনকর্ড মিউজ়িকাল ইন্ডাস্ট্রিজ়। এই ভবসিন্ধু বিশ্বাস, আমার বাবা।
১৯৫০-এর দশকে বাংলাদেশে বাবার জন্ম। আমার ঠাকুরদা নবদ্বীপ বিশ্বাস আর ঠাকুমা হেমলতা বিশ্বাসের আট সন্তানের মধ্যে বাবা পঞ্চম। সেটা দেশভাগ-পরবর্তী উত্তাল সময়। বাংলাদেশে পরিবার, সম্পত্তি, কাজ কিছুরই স্থিতি নেই। তাই ঠাকুরদা সপরিবার এদেশে চলে আসা স্থির করেন। বাবার বয়স তখন তিন। কলকাতাতেও ঠাকুরদার হাতে তেমন কাজ ছিল না। তাই বাবা মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও ক্লাস ফোরের পর আর পড়াশোনার সুযোগ পাননি। দাদাদের সঙ্গেই যা কাজ জুটত তাই করে দিন গুজরান করতে হত। কখনও মাছ ধরা, কখনও ধান কাটা, কখনও ট্রেনে বাদাম বিক্রি করা, কখনও কয়লার লরিতে মাল টানা, এভাবেই যা পয়সা আসে…।

বাবা যখন কিশোর, সেসময় আমার বড়জ্যাঠা মুকুন্দ বিশ্বাস কলকাতার এক গিটার তৈরির ওয়র্কশপে কাজ নেন। বাবাও দাদার সঙ্গে সেখানে কাজ শুরু করেন। সেখানে কিছুদিন কাজ করার পর জ্যেঠু নিজেই বেলুড়ে গিটার তৈরির ওয়র্কশপ শুরু করেন। বাবাও দাদার সহকারী হিসেবে সেখানে এসে যোগ দেন। খুব ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে উনুনে চাল-ডাল চাপিয়ে গঙ্গাস্নান করতে যেতেন বাবা। স্নান সেরে এসে ওই চালে-ডালে সেদ্ধ খেয়েই রেওয়াজ করতে বসে যেতেন। এখানে বলে রাখা দরকার, আমার ঠাকুরদা কবিগানের দলে গান গাইতেন। তাই সুর-তাল-ছন্দ বরাবরই বাবার রক্তে। রেওয়াজ সেরে পড়ি-মরি করে দৌড়ে বাবা পৌঁছতেন দাদার কারখানায়।
এইভাবেই চলছিল জীবন। বাবা তখন যুবক। চোখে অনেক স্বপ্ন। জ্যেঠুর শিক্ষা, দৃঢ়সংকল্প আর আত্মবিশ্বাস পুঁজি করে তিনজন পার্টনারকে সঙ্গী করে কলকাতার মুরারিপুকুরে ছোট ছোট দুটি ঘর ভাড়া নিয়ে বাবা শুরু করলেন তাঁর প্রথম নিজস্ব ওয়র্কশপ। কিন্তু অনটন পিছু ছাড়ে না। টাকা কই? তার ওপর গোড়াতেই ধাক্কা। ওয়র্কশপ চালু করার কিছুদিনের মধ্যেই বাকি অংশীদারেরা ষড়যন্ত্র করে বাবাকে আলাদা করে দিল। কিন্তু আসল কারিগর তো বাবা! ফলে যা অবশ্যম্ভাবী ছিল, তাই হল। ব্যবসা মুখ থুবড়ে পড়ল। তখন অংশীদারেরা ব্যর্থ ব্যবসার দায়ভার বাবার কাঁধে ফেলে একে একে সরে পড়ল।

বাবা একেবারে একা। হাতে একপয়সা পুঁজি নেই। কিন্তু ভেঙে পড়লেন না। একা হাতেই স্প্যানিশ, হাওয়াইয়ান আর ইলেক্ট্রিক গিটার বানানো শুরু করে দিলেন। পুরো গিটারটাই নিজে একা হাতে বানাতেন। নিজের সংস্থার নাম রাখলেন কনকর্ড মিউজিকাল ইন্ডাস্ট্রিজ়। লোগোতে নিজের মুখের ছবি দিলেন যাতে কেউ নকল করতে না-পারে। কোনও সহকারী রাখার ক্ষমতা ছিল না। এদিকে নতুন যন্ত্র তৈরির ভাবনা ঘুরতে থাকত মাথায় সর্বক্ষণ। নতুন নতুন আইডিয়া বাবাকে অস্থির করে তুলত।
অনেক ভেবে সেতারের মতন চিকারি ব্যবহার করে একটি হাওয়াইয়ান যন্ত্র বানালেন বাবা। নাম দিলেন চিকারি গিটার। তারপর সেই যন্ত্রটা নিয়ে গেলেন স্বর্গীয় পণ্ডিত বরুণকুমার পাল মশাইয়ের কাছে। ওঁর খুবই পছন্দ হল। তবে জানালেন, এ যন্ত্রে ‘সাসটেনেন্স’-এর কিঞ্চিৎ অভাব রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে বাবা ফিরে গেলেন কর্মক্ষেত্রে। সমস্যা যখন বেরিয়েছে, তার সমাধান করতেই হবে তৎক্ষণাৎ। আর এইভাবেই প্রথমবার হাওয়াইয়ান গিটারের সফল ক্লাসিক্যাল ভার্শন তৈরি করলেন বাবা। কিন্তু এতেও মনে শান্তি নেই। আরও সার্থক যন্ত্র তৈরি করা ছিল বাবার লক্ষ্য।
এবার বাবা ভাবতে শুরু করলেন, হাওয়াইয়ান গিটারে সেতারের মতন ‘তরফ’ ব্যবহার করা যায় কিনা। সেই হয়ে উঠল তাঁর ধ্যানজ্ঞান, চিন্তা। সারাদিন ভাবতেন একা একা, নিজের সঙ্গেই কথা বলতেন, যন্ত্র আর সুরের জগতে বুঁদ হয়ে থাকতেন। মাসের পর মাস এভাবে একা একা বসে যন্ত্র বানাতেন আর পণ্ডিত, শিল্পীদের কাছে নিয়ে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতেন, দেখা করে তাঁদের মতামত চাইতেন। তারপর শুরু হত আবার কাজ, আরও কঠিন পরিশ্রম। আসলে বাবার জগতে ‘ইগো’ বলে কোনও বস্তু কোনওদিন ছিল না। তাঁর শিল্পশৈলির একমাত্র বৈশিষ্ট্য ছিল চেষ্টা, চেষ্টা, যন্ত্রের আওয়াজ নিঁখুত ও নিপুণ করার নিরন্তর চেষ্টা, যতক্ষণ পর্যন্ত না ত্রুটিহীন টোন এবং টিম্বারে পৌঁছতে পারছেন। তাঁর এই খুঁতখুঁতেমি এবং সূক্ষ্ম সুরের কানই তাঁকে সঙ্গীতজগতে এতখানি শ্রদ্ধেয় করে তুলেছিল।

এভাবেই একদিন বাবা নিজের মনের মতো একটি যন্ত্র বানালেন এবং নিয়ে গেলেন পণ্ডিত বরুণকুমার পাল মশাইয়ের কাছে। সে যন্ত্র বরুণবাবুকে এতটাই মুগ্ধ করল, যে উনি সেটা নিজের কাছে রেখে দিলেন। সেসময় পণ্ডিত রবিশঙ্করজির কাছে একসঙ্গে তালিম নিতে যেতেন বরুণবাবু এবং পণ্ডিত বিশ্বমোহন ভাট। সেখানেই ভাটজি বরুণবাবুর কাছে ওই গিটারটি প্রথম দেখেন। তারের সূক্ষ্ম স্বর ভাটজিকে মোহিত করে দেয়। তিনি আর দেরি না করে বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বাবাকে অনুরোধ করেন ওঁর পছন্দমতো একটি যন্ত্র তৈরি করে দেবার জন্য।
দীর্ঘদিন পরিশ্রমের পর বাবা এক বিশেষ ধরনের গিটার তৈরি করে ওঁর কাছে নিয়ে যান। সে যন্ত্র ভাটজিকে এতটাই মুগ্ধ করে যে তারপর থেকে সেটাই হয়ে ওঠে ওঁর নিত্যসঙ্গী। সেই যন্ত্র বাজিয়েই ১৯৯৪ সালে গ্র্যামি পুরস্কার পান বিশ্বমোহন ভাট এবং সকলের অনুরোধে ওই মঞ্চ থেকেই এই যন্ত্রের নাম দেন ‘মোহনবীণা’। এভাবেই নিঃশব্দে সৃষ্টি হয়েছিল এক যুগান্তকারী যন্ত্র যা কিনা হাওয়াইয়ান গিটারের পুর্ণাঙ্গ ধ্রুপদী সংস্করণ। কিন্তু সে যন্ত্রের আবিষ্কর্তা বা সৃষ্টিকর্তা হিসেবে বাবা কোনওদিনই তাঁর প্রাপ্য স্বীকৃতি পাননি। অথচ তা নিয়ে একটি দিনের জন্যও তাঁকে আক্ষেপ করতে বা কষ্ট পেতে দেখিনি। ভাটজি একাধিক সভায়, অনুষ্ঠানে বাবার কথা উল্লেখ করেছেন, বলেছেন কীভাবে সারা পৃথিবীকে মোহনবীণার মতো এক অপরূপ যন্ত্র উপহার দিয়েছেন বাবা। বলেছেন, প্রতিবার বাজনা নিয়ে মঞ্চে ওঠার সময় তিনি বাবার কথা মনে করেন।

বাবাও বলতেন, ‘টোনাল কোয়ালিটির জন্যেই ওস্তাদরা আমার কাছে আসেন। কিছু অতিরিক্ত সুরের কাজ, যা তাঁদের বাজনাকে স্বাতন্ত্র্য দেবে, সেটাই চান তাঁরা আমার কাছ থেকে।’ আর দুঃখ তিনি পেতেন একটা ব্যাপারেই। বলতেন, ‘যন্ত্র তৈরির কারখানায় যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের অধিকাংশেরই সুরের কান নেই। টোনাল কোয়ালিটির সূক্ষ্মতা তাঁরা বোঝেন না।’ চল্লিশ বছর ধরে একভাবে শ্রম দিয়ে, নিষ্ঠা দিয়ে যন্ত্র তৈরি করেছেন বাবা, প্রতিটি যন্ত্রকে অনন্যতায় পৌঁছে দেবার চল্লিশ বছরের সংকল্প তাঁকে শুধু যে সূক্ষ্ম সুরের কান তৈরি করে দিয়েছিল তা-ই নয়, তাঁর মধ্যে নিজের কাজ সম্পর্কে এক প্রচ্ছন্ন গোপন আত্মাভিমানেরও জন্ম দিয়েছিল। তাই কখনও নিজের অপ্রাপ্তির ঝুলি নিয়ে খেদ দেখিনি তাঁর মধ্যে।
২০০৫ সালের কথা বলি। হঠাৎ এক রবিবার সকালে বাবা আমাদের বললেন, ওঁর মাথায় একটা নতুন পরিকল্পনা এসেছে। কী ব্যাপার? বাবার ইচ্ছে ‘সলিড কাঠ’-এর যন্ত্র বানানোর। একখণ্ড সলিড কাঠকে হাতে খোদাই করে যন্ত্রের আকৃতি দেওয়া। সাঙ্ঘাতিক পরিশ্রমসাধ্য কাজ। কিন্তু বাবা শুরু করে দিলেন। দিনরাত এক করে কাজ চলল। ভারী সলিড কাঠ খোদাই করে, আঠা লাগিয়ে, ঠিকঠাক বাঁকিয়ে যন্ত্রের কৌণিক আকার দেওয়া এক দুঃসাধ্য কাজ। বাবা হাতে ধরে কাজ শিখিয়েছেন, এমন কর্মীদেরও পরবর্তীকালে এ কাজ আর করতে দেখিনি।

কিন্তু বাবা দিনের পর দিন করে গিয়েছেন। অক্লান্ত পরিশ্রমে মনের মতন যন্ত্র তৈরি করেছেন। এরপর বেশ কয়েকবছর বাবাকে আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। ব্যবসার উন্নতি হচ্ছিল বেশ। দেশ-বিদেশ থেকে যন্ত্রের জন্য বাবার ডাক আসতে থাকে। যন্ত্র তৈরি করতে থাকেন বাবা। সাত্ত্বিক বীণা, চতুরঙ্গী বীণার মতো একের পর এক যন্ত্র তৈরি হতে থাকে। প্রতিটি যন্ত্রের তারের সংখ্যা আলাদা, বাজ আলাদা। যন্ত্রহাতে শিল্পীদের ছবি বাবার ওয়র্কশপের দেয়ালে ঠাঁই পেতে থাকে।
তবে একটা কথা না বললে, সত্য গোপন করা হবে। বিশ্বমোহন ভাট, বরুণকুমার পালের মতো মহান শিল্পীদের কাছ থেকে বাবা যেমন স্বীকৃতি ও সম্মান পেয়েছেন, তেমনই অনেক এমন দেশীয় শিল্পী আছেন. যাঁরা বাবাকে প্রবঞ্চনা করেছেন। বাবা ছিলেন নির্বিরোধী মানুষ। কখনওই টাকার পিছনে দৌড়ননি। যন্ত্রের দাম নিয়ে দরাদরি তাঁর স্বভাবেই ছিল না। মন থেকে শিল্পী ছিলেন বাবা। কিন্তু বাবার এই স্বভাবের সুযোগ নিয়ে অনেকে তাঁকে দিয়ে যন্ত্র বানিয়ে টাকা না দিয়ে বা পরে দেবে বলে যন্ত্র নিয়ে চলে গেছেন। ফলে দুদিন লাভের মুখ দেখলেও তার পরেই আর্থিক লোকসানে পড়তে হয়েছে বাবাকে। টাকাপয়সার দিক দিয়ে খুব একটা সচ্ছলতা আসেনি কখনওই। কিন্তু আবারও সেই একই কথা বলতে হয়, যে আর্থিক উন্নতি না-হওয়ায় বাবার মধ্যে কখনও কোনও দুঃখবোধ বা গ্লানি দেখিনি আমরা।

বাবার নেশা বলতে ছিল দুটি। এক, নতুন নতুন যন্ত্র সৃষ্টি বা যন্ত্রের আওয়াজকে আরো জোরালো অথচ মিহি আর মিষ্টি করে তোলা। আর দুই, কাঠ কেনা। কোথাও কোনও ভালো কাঠের খোঁজ পেলেই বাবা ছুটতেন সেখানে। কিন্তু কাঠ কিনতে গিয়ে ঠকেই আসতেন, লাভের মুখ দেখতে পাননি কখনও। তবে নেশা ছাড়তেও পারেননি। বাবা কোনওকালে সংসারী মানুষ ছিলেন না। যন্ত্র আর সুরই ছিল তাঁর জগৎসংসার। বাবার তৈরি কনকর্ড মিউজ়িকের লোগোতে বাবার নিজের মুখের ছবি ছিল, আগেই বলেছি। সে ছবি ছিল একজন সাক্ষাৎ শিল্পীর যিনি যন্ত্রের স্বর শুনতে পান, সুরের নিঃশ্বাস ধরতে পারেন।
২০২০ সালের জানুয়ারি মাসের এক বিকেলে আচমকা বাবার কাশির সঙ্গে কিছুটা রক্ত বের হয় গলা থেকে। বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু অবস্থা আর ভালোর দিকে যায় না। ধীরে ধীরে অবনতিই হতে থাকে। তখনও দেখেছি, নিজের শরীর নিয়ে বাবার বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই বাবার, একটাই চিন্তা। কী হবে তাঁর যন্ত্রশিল্পের ভবিষ্যৎ। হাসপাতালে থাকাকালীন রোজ যন্ত্র নিয়ে অল্প অল্প করে আমাকে বলতেন। শেষদিকে কেবল একটাই ইচ্ছের কথা বলতেন, যদি আর কয়েকটা বছর বাঁচতেন তাহলে আমাকে যন্ত্র বানানোটা শিখিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু ঈশ্বরের ইচ্ছে অন্যরকম ছিল। ২০২০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আমার কাঁধে এই বিশাল দায়িত্ব সঁপে দিয়ে বাবা চলে গেলেন। আজও বাবার আশীর্বাদকে পাথেয় করে বাবারই দেখানো পথে এগিয়ে চলেছি। আরও অনেক পথচলা এখনও বাকি।
অনুলিখন: পল্লবী মজুমদার
ছবি সৌজন্য: রিয়া বিশ্বাস, নেহা তোলাসারিয়া
কৃতজ্ঞতা: পরমা সেনগুপ্ত, Photostories and Beyond
রিয়া বিশ্বাস কনকর্ড মিউজিকাল ইন্ডাসট্রিজ-এর বর্তমান কর্ণধার। পারিবারিক সূত্রে সঙ্গীত ও বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে ওঁর নিবিড় পরিচয়।
ek onindyo-sundor shroddhaanjoli….babar icche meye purno korben..ei bodh hoy bidhilipi………
meye-o babar mato nijer atmo-biswas o ekagro nishthaa patheyo kore saafolyer sopan peroben
ei praarthona o asha kori…
bhalo thako ma, egiye jao…babar aashirbad royeche.