তোর মনে হয় যাবার সময় হল
উঠতে হবে, দেরী করিস না যেন!
অনভ্যাসের চেয়ার ছেড়ে
সসম্মানে মুখোশ ছিঁড়ে
নেমে আয় আজ সিংহাসন ফেলে।
অহং ,পাপ আর পুণ্য ….
থাক!
চৌকাঠের ভিতরেই থাক,
তুই শুধু খালি পায়ে ,নগ্ন মনে, ক্লান্ত শরীরে
হেঁটে চলে যা
ওই যেখানে শেয়াল কুকুর শকুন
মানুষ না হয়েও দিব্যি বেঁচে আছে
সেখানে।
এখানে নয়..
তোর জন্য ভালবাসা নয়।
তোর জন্য নয় অভিমান।
তোর জন্য নয় ক্ষমাহীন অপেক্ষা।
ওখানেই,
ওখানেই ধ্বংস হোক তোর গর্ব
ওখানেই শেষ হোক তোর অভিযোজন
সমাধির গায়ে এপিটাফে সত্যিটা থাক
ঝরা পাতা আর ধুলো আদর মেখে।

প্রপা দে গঙ্গোপাধ্যায় পেশায় ডাক্তার, নেশায় কবি-গদ্যকার-লিমেরিকার। কবি ও কবিতার পরিমন্ডলে বড় হয়ে ওঠা প্রপার লেখা শুরু কবিতার হাত ধরে। এক অন্য ধরনের শৈলী-বর্ণ-ছন্দ-ভাবনা নিয়ে পথ চলার সূচনা মায়ের আঙুল ধরে। মা প্রখ্যাত কবি চিণ্ময়ী দে। সমাজ ও সময়, কলম, ষড়রিপু আর মনস্তত্ত্ব নিয়ে জাগলিং করার সাহচর্য ও সাহস যুগিয়েছে। মোদ্দা কথা হল, ইনি জাতে কলমচি তালে ডাক্তার। বোহেমিয়ান, ব্রাউনিয়ান প্রপার বিচরণ সাহিত্যের অন্দরে, বন্দরে।

2 Responses

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *