নৃতত্ত্ব
যত মাটি খুঁড়ি, তত মনে হয় কিছুই খুঁড়িনি
ডাঁই হয়ে জমে থাকে দুইপাশে রাবিশের স্তূপ
কোথায় রয়েছে সেই শিলালিপি? আর কত দূর?
এতটা গভীরে নেমে দেখি অসম্ভব ফিরে যাওয়া
একফালি আকাশ চোখে পড়ে শুধু সান্ত্বনার মতো
এখন কুয়োই ঘর, এখন খনন করা কাজ
কোথায় রয়েছে সেই শিলালিপি? আর কত দূর?
একটি কুয়োর মধ্যে আরও কত কুয়ো বেঁচে আছে
ফসিল
তোমাকে লিখেছি সব, যেভাবে গুহামানব লেখে
যেভাবে বাতাসে আঁক কষে যায় উন্মাদ গণিত
লিখেছি বাঘের ডাক, লিখেছি অসুখ, ধৃতিরূপা
আমার ঘামের গন্ধ লিখেছি তোমার দেহপটে
তোমাকে লিখেছি সব, যেভাবে গুহামানব লেখে…
হিন্দোল ভট্টাচার্যের কবিতা লেখার শুরু নয়ের দশকে। কবি ও লেখক হিসেবে পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা দুইই পেয়েছেন বাংলা ভাষার পাঠকদের কাছে। মোংপো লামার গল্প, সব গল্প কাল্পনিক, রুদ্রবীণা বাজো, বিপন্ন বিস্ময়গুলি, এসো ছুঁয়ে থাকি এই লেখকের কিছু পূর্বপ্রকাশিত বই।
Bah..khub valo laglo
দুটি লেখাই ভালো লাগলো
দুটি কবিতায় ভালো লাগলো
প্রথম কবিতাটি খুব ভালো লাগল। দ্বিতীয় কবিতায় “লিখেছি বাঘের ডাক, লিখেছি অসুখ” একটু ক্লিশে লাগল। এটা সাধারণ এক পাঠকের একান্তই ব্যক্তিগত মতামত। গুরুত্ব না দিলেও চলবে।
শব্দে ক্লিশে রাখলে আমার কিছু করার নেই। এখানে ইয়ুং এর ভাবনা লিখেছি সম্পূর্ণ লাইনেই। পুরো কবিতাটিই প্রতীকের মন্তাজ। বুঝতে পারেননি হয়তো
আপনার লেখা বরাবরই আলাদা মুগ্ধতা আনে। দ্বিতীয় কবিতায় “লিখেছি বাঘের ডাক, লিখেছি অসুখ” পারষ্পরিক আন্তঃসম্পর্কের এই কথাগুলোর পাশে “ধৃতিরূপা” শব্দের অবিশ্বাস্য ব্যবহার আবারও মুগ্ধ করলো। শুভেচ্ছা নেবেন।
দুটি কবিতাই অসাধারণ।
গভীরতর থেকে গভীরতম উপলব্ধির পথে, আমি বোধহয় কচ্ছপের মত একটু এগোতে হবে ভেবে নড়লাম। ভালোই হলো, নড়াচড়া হলো।