কিছু্টা গুণগুণ করে গাওয়া গান, রেলিংয়ে লেগে থাকা বুক
আর নেশার সাথে নিকোটিন মেশা তোমার সুগন্ধ বারান্দায়
লেপে দিয়ে দাঁড়িয়ে আছ। তোমার পিঠের ভাঁজে চাঁদের আলো…
এই সময়টায় তুমি আদরের যাদু দিয়ে একটা ঠোঁট করে দাও আমায়।
তারপর থেকে সে কখনও ভবঘুরে কখনও বা ভূপর্যটক হয়ে
আবিষ্কারের পাগলামিতে তোমার পাহাড় জঙ্গল সমুদ্র ঢেউ তোলপাড় করে
তোমার প্রকৃতির কলরবে সামিল হতে চায় …
তোমার আদরের শব্দে আমিও মাতাল হয়ে যাই
ভিজতে ইচ্ছে করে তোমার ঝরনায়
শুকনো পাতা বা পাখির পালকের মতো একটা জিভ
ভেসে আসছে হাঁটুজল নদীর আঙুল ধরে …
সেই জিভ কুড়িয়ে নিয়ে এসেছ তুমি
এনে দেওয়া তোমার স্বভাব …
আমরা জিভের ব্যবহার শিখেছি, জেনেছি গভীরে আঁধার পেরিয়ে
ল্যাম্পপোস্টের আলোয় দেখা বৃষ্টি আসলে
ভালোবাসায় ভিজে যাওয়া চোখের সোহাগ
অপলক …
স্নানঘরের দরজার ফাঁক দিয়ে তোমার বেরিয়ে আসার অপেক্ষা
আমায় মনে করিয়ে দিচ্ছে – একটা দীর্ঘ কবিতার মতো চুমু।
মফসসল রাতের শীত নিঝুম, কলোনির হলুদ আলো পাড়া শহরতলির স্টেশনে
লাস্ট লোকালের নির্জন,
এইসব …
আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার গল্পের মতন সাধারণ
কিন্তু নিখাদ
নিকোনো উঠোনের মতো করে
একফালি বাগানের লতানো গাছের মতো আষ্টেপৃষ্ঠে
আদরের ঘুম – মনে করিয়ে দিচ্ছে।
আমাদের নিঃশ্বাস আমাদের প্রশ্বাস আমাদের উত্তরণ শিহরণ
পুড়িয়ে দিচ্ছে, মনে করিয়ে দিচ্ছে – সব সেতুহীনতা সব নির্বাসন।
তুমি যদি কাছে আসো প্রিয়তমা
ফুল হয়ে যায় সব পরমাণু বোমা।
সারারাত সুতোরা খোঁজহীন …
আরও কত অভিলাষ
নিরপরাধ
সাময়িক ব্যথাভার
কথা দেওয়া বা না-দেওয়া
স্বপ্নের তেমাথা মোড়
স্মৃতির চৌকাঠ
ঘুম ভাঙা আদরের বিস্তার
নির্বিকার নিখোঁজ।
বা নিরুদ্দেশের খবর হওয়া ভোর …
এইভাবেই রোজ, আমরা হারিয়ে যাই
খুলে রাখা বাসি কাপড়ের সেফটিপিনের মতো।
সত্তরের দশকের শেষের দিকে কলকাতায় জন্ম অভিরূপের। স্কুলজীবন থেকেই বাংলা সাহিত্যের প্রতি ঝোঁক। কলেজে বাংলা অনার্স নিয়ে পড়ার পাশাপাশি পুরোপুরি সাহিত্যে মনোনিবেশ। কিছুদিন ফ্রিলান্স সাংবাদিকতাও করেছেন। এরপরেই ঢুকে পড়া টেলিভিশনের জন্য স্ক্রিপ্ট লেখার আঙিনায়। সম্পূর্ণ আলাদা এক পরিবেশ এবং প্রস্তুতির সঙ্গে পরিচয়। একইসাথে চলতে থাকে গল্প-কবিতার পালা। দেশ, এই সময়, আজকের সম্পূর্ণা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে বেশ কিছু লেখা।
anobadyo!