‘কাব্য-ব্যক্তিত্ব’– এই শব্দবন্ধটি সব কবির ক্ষেত্রে সম্ভবত প্রয়োগ করা যায় না। কারণ, কাব্য-অভিপ্রায় সব কবির থাকে না। কী এই কাব্য-অভিপ্রায় এবং কাব্য-ব্যক্তিত্বের সঙ্গে তার সম্পর্কই বা কী? প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক। সাহিত্যের বিভিন্ন সন্দর্ভের কাছে এইসব প্রশ্নের উত্তর থাকলেও, প্রকৃত প্রস্তাবে,কবিতার অপ্রত্যাশিতের জগতে তার উত্তর পাওয়া অপ্রত্যাশিতের কাছেই অনন্তকাল হাত পেতে থাকার মতো নীরব অথচ জায়মান।
‘নিঃশব্দের তর্জনী’-র ভূমিকায় শঙ্খ ঘোষ লিখেছিলেন, “কবিতা শেষ অবধি একটা সৃষ্টির কাজ। তাই, যখনই দেখতে পাই যে এই একটি লেখা হয়ে উঠছে একেবারে নূতন সৃষ্টি, এই একটি অভিজ্ঞতা, যা এই প্রথম হয়তো জেগে উঠল কবির মনে, তখনই তাকে বলতে চাই কবিতা। আর সে জন্যই কবিতা পড়বার সময় আমরা লক্ষ করতে চাই তার রূপটুকু, সেই রূপের মধ্যে জেগে ওঠা কবির ব্যক্তিত্বটুকু।”
রবীন্দ্রনাথের পরে, শঙ্খ ঘোষ এবং অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত নিয়মিতভাবে চেষ্টা করে গেছেন তাঁদের সাহিত্য সংক্রান্ত লেখালেখির মাধ্যমে নিজেদের ভাবনা-জগতের মধ্যে একপ্রকার মিথষ্ক্রিয়া নির্মাণের। এখানে অলোকরঞ্জন আসবেন না, কিন্তু শঙ্খ ঘোষ নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে বলতেই হবে, ভারতীয় তথা বিশ্ব সাহিত্যের দিগন্ত উন্মোচন করার পাশাপাশি, তিনি সেই সব আলোচনায় নিজের ভাবনাকেও এক এমন চরিত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন, যেন বা মনে হয়,তাঁরই ভিতর থেকে বেরিয়ে এল এক অন্য আমি, যার সঙ্গে আলোচনা করতে করতে কবি নিজেরই ভাবনার মেঘগুলি সরিয়ে হয় আলোকিত আকাশের দিকে চলেছেন অথবা আলোকিত আকাশে নিয়ে আসছেন মেঘের কালো আস্তরণ। এই দুই অভিপ্রায়কেই স্বাগত জানাচ্ছেন কবি এবং আমরা এখানে বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করতে পারি, ‘দিনগুলি রাতগুলি’, ‘পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ’, ‘গান্ধর্ব কবিতাগুচ্ছ’ প্রভৃতি কাব্যগ্রন্থেও সেই ‘আমি’ উপস্থিত।
ইনি কে? প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক।
রবীন্দ্রনাথের ‘তুমি’-র মতো এই ‘আমি’-র কি এক কল্যাণময় উপস্থিতি আছে?
ইনি কি সেই বাক্য ও মনের অতীত ‘সত্য’ যাঁর সঙ্গে কবির এক অবিরত কথাবার্তা চলে? যে কথাবার্তার নানা আলো, নানা ছায়া, নানা অভিসার? যে কথাবার্তার মধ্যে বিশ্বাস ও সংশয়ের এক পারস্পরিকতা চলতে থাকে?
কে এই আমি, যাকে লক্ষ করে শঙ্খ ঘোষ লিখেছেন, ‘‘ আচ্ছা চলি, দেখা হবে। –কোনখানে দেখা হতে পারে?/ কোথাও ঠিকানা আছে? কোনো অভিজ্ঞান? কোনো ছুতো?/ কীভাবে বলবে তবে উঠে এসো, গান গাও বাঁচো/ গন্ধর্ব তুমিও যদি মাথা নীচু করে বসে আছ”।

এই গন্ধর্ব যেমন আবহমান ইতিহাস, তেমনই নিজের ভিতরের সেই ‘আমি’, যে আমার আবহমান অবচেতনে আমাকেই লক্ষ করে দূর থেকে। সকলে তার দেখা পায় না। সকলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে না। এখানে যোগাযোগ বলতে সংযোগ শব্দটি ব্যবহার করা যায় হয়তো।
যে অর্থে জীবনানন্দ বলেছেন, কোনও কোনও অঘ্রাণের অন্ধকারে হেঁটে যাওয়া শান্ত মানুষের হৃদয়ের পথে ছাড়া মৃতরা কোথাও নেই বলে মনে হয়, সেভাবেই, শান্ত মানুষের হৃদয় ছাড়া এই অপ্রত্যাশিতের সঙ্গে কথাবার্তা বলা যায় না। আর যখন কোনও কবি নিজের ভিতরের এই আবহমান ‘আমি’-র সঙ্গে মাঝেমাঝে দেখা করেন, তখন তিনি সন্ধান পান এক অনির্বচনীয়ের। আমার মতে কাব্য-ব্যক্তিত্ব এখানেই আবহমান সত্যের হাত ধরে।
প্রশ্ন উঠতেই পারে সত্য শব্দটিকে নিয়ে। সত্য তো আর ‘এক’ নয়। সত্য অনেক। কেউ কেউ বলেন সত্য অনেক হলে তা সত্য কেমন করে হবে। যেন বা সত্য ‘বহু’ হতে পারে না। সত্য যে অনেক বেশি করে ‘সমূহ’কে ধারণ করে থাকে, সে যে ‘এক’-এর গণ্ডীর মধ্যে নিজেকে আবদ্ধ করে রাখে না, সেই দার্শনিক উপলব্ধির জগতে কবি শঙ্খ ঘোষের যাতায়াত ছিল নিভৃতে। তাঁর কবিতা তাই নানারকমভাবে সেই বহুস্তরীয় সত্যকে খুঁজে চলার সাধনা হয়ে আমাদের কাছে ধরা দেয়। আর এখানেই কবির কাব্য-ব্যক্তিত্ব ছুঁয়ে থাকে আমাদের সহজ অথচ গভীর সত্তার জগতের হৃদয়কেও।
অনেকটা এই কারণেই তাঁর অনবদ্য প্রেমের কবিতাগুলিতেও রক্তমাংসের মানুষের পাশাপাশি অবস্থান করেন তাঁর ভিতরের সেই ‘আমি’ও। কোথাও মনে হয়, প্রেমের কবিতাগুলিতে তিনি অনেক বেশি আত্মসংলাপে রত। এমনকি প্রেমিকার মধ্যেও তিনি খুঁজে পেয়েছেন সেই নিভৃত নিজস্বীকে, যার সঙ্গে কথোপকথন কখনওই ফুরোবার নয়।
বলিনি কখনো?
আমি তো ভেবেছি বলা হয়ে গেছে কবে।
এভাবে নিথর এসে দাঁড়ানো তোমার সামনে
সেই এক বলা
কেননা নীরব এই শরীরের চেয়ে আরো বড়ো
কোনো ভাষা নেই
কেননা শরীর তার দেহহীন উত্থানে জেগে
যতদূর মুছে নিতে জানে
দীর্ঘ চরাচর
তার চেয়ে আর কোনো দীর্ঘতর যবনিকা নেই।
কেননা পড়ন্ত ফুল, চিতার রুপালি ছাই, ধাবমান শেষ ট্রাম
সকলেই চেয়েছে আশ্রয়
সেকথা বলিনি? তবে কী ভাবে তাকাল এতদিন
জলের কিনারে নিচু জবা?
শূন্যতাই জানো শুধু? শূন্যের ভিতরে এত ঢেউ আছে
সেকথা জানো না?
এ কি নিজের সঙ্গেই কথা বলা নয়? কিন্তু কখন যেন এই কবিতার ‘তুমি’ হয়ে গেছে তাঁর ভিতরের ‘আমি’ এবং সেই ‘আমি’ হয়ে উঠেছে সমষ্টিগত ‘আমি’। শঙ্খ ঘোষ আবহমান সমষ্টিগত অবচেতনার ‘আমি’-কে সহজেই সমষ্টিগত চেতনার ‘আমি’-তে পরিণত করতে পারতেন তাঁর কবিতায়। তাই আপাতভাবে অনেকের মনে হতে পারে তিনি হয়তো স্বগতোক্তির বিশ্ব থেকে সরে এলেন, কিন্তু একটু গভীরে খুঁড়লে দেখব, তিনি আজীবন এই আবহমান অবচেতনার সত্তার সঙ্গে সমষ্টিগত চেতনার সত্তার এক মিলন ঘটিয়েছেন। ফলে, এক আশ্চর্য যোগাযোগ হয় পাঠকের সঙ্গে কবিতার অন্তর্নিহিত এই সত্যের।
তখন কবিতা লেখার সব উপলক্ষই গৌণ হয়ে গিয়ে অন্তর্জগতের অনুভূতিমালা সক্রিয় হয়ে ওঠে। অনেকটা এই কারণেই শঙ্খ ঘোষের কবিতার বহিরঙ্গ গুরুত্বপূর্ণ হলেও, তা আঙ্গিকগত কারণে আমাদের শিক্ষিত করে। কিন্তু সেই বহিরঙ্গ কাটিয়ে অন্তর্নিহিত কথার কাছে যখন পৌঁছতে পারব, তখন বুঝতে পারব তার কত স্তর! যেন, একটি গাছ। যা, বাইরে থেকে সহজ, সরল। অন্তরে সূক্ষ্ম ও বহুস্তরীয়।
সত্যের একপ্রকার আড়াল তো থাকেই। সেই কবে কীটস তাঁর ‘ওড অন আ গ্রিসিয়ান আর্ন’ কবিতায় লিখেছিলেন একটি অমর পংক্তি— ‘হার্ড মেলোডিজ় আর সুইট বাট দোজ় আনহার্ড আর সুইটার’। শঙ্খ ঘোষের কবিতার সত্য অনেক ক্ষেত্রেই ‘আনহার্ড’, একটি বাইরের খোলসের ভিতর সযত্নে রক্ষিত থাকে। কিন্তু সেই বাইরের খোলসটিও সত্যের এক বহিঃস্তরের প্রতিনিধিত্ব করে খুবই সহজ সরল ভাষায়। যেমন আমরা যদি বহুচর্চিত এবং বিখ্যাত এই কবিতাটি আবার পড়ি—
একলা হয়ে দাঁড়িয়ে আছি
তোমার জন্য গলির কোণে
ভাবি আমার মুখ দেখাব
মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে।
একটা দুটো সহজ কথা
বলব ভাবি চোখের আড়ে
জৌলুশে তা ঝলসে ওঠে
বিজ্ঞাপনে, রংবাহারে।
কে কাকে ঠিক কেমন দেখে
বুঝতে পারা শক্ত খুবই
হা রে আমার বাড়িয়ে বলা
হা রে আমার জন্মভূমি!
বিকিয়ে গেছে চোখের চাওয়া
তোমার সঙ্গে ওতপ্রোত
নিওন আলোয় পণ্য হলো
যা-কিছু আজ ব্যক্তিগত।
মুখের কথা একলা হয়ে
রইল পড়ে গলির কোণে
ক্লান্ত আমার মুখোশ শুধু
ঝুলতে থাকে বিজ্ঞাপনে।
উচ্চকিত না হয়েও যে মানুষের কথ্য ভাষায় এভাবে মানুষের সঙ্গে সংযোগ ঘটানো যায় নীরব কবিত্বের মাধ্যমেও, তা শঙ্খ ঘোষের কবিতার এক বড় সত্য। এ কথা অনস্বীকার্য, তাঁর কবিতার নামকরণ, কবিতার বইয়ের নামকরণ, কবিতায় ব্যবহৃত অনেক বাক্যবন্ধই এখন প্রবাদে পরিণত। রসিক পাঠক মাত্রেই স্বীকার করবেন, এই সংযোগের ক্ষমতা শঙ্খ ঘোষের কবিতার এক শক্তি। সহজ কথা সহজভাবে বলার মধ্যে যে সেতুটি থাকে, তা বহু শতাব্দীর মনীষীর কাজ হিসেবেই চিহ্নিত করা যায়। স্বগতোক্তি এবং অনুচ্চকিত সংলাপের মধ্যে সীমারেখাটুকু তিনি তাঁর কবিতায় মুছে দিয়েছিলেন। ‘আমিই সে এবং সে-ই আমি’ হয়ে উঠেছিল তাঁর কবিতার মূল সত্য।
আর একটি বহুচর্চিত কবিতার কথা এখানে না তুললেই নয়। এ প্রসঙ্গে, মনে হয়, এটিও একটি উদাহরণ হতে পারে—
তোমার কোনো ধর্ম নেই, শুধু
শিকড় দিয়ে আঁকড়ে ধরা ছাড়া
তোমার কোনো ধর্ম নেই, শুধু
বুকে কুঠার সইতে পারা ছাড়া
পাতালমুখ হঠাৎ খুলে গেলে
দুধারে হাত ছড়িয়ে দেওয়া ছাড়া
তোমার কোনো ধর্ম নেই, এই
শূন্যতাকে ভরিয়ে দেওয়া ছাড়া।
শ্মশান থেকে শ্মশানে দেয় ছুঁড়ে
তোমারই ঐ টুকরো-করা-শরীর
দুঃসময়ে তখন তুমি জানো
হলকা নয়, জীবন বোনে জরি।
তোমার কোনো ধর্ম নেই তখন
প্রহরজোড়া ত্রিতাল শুধু গাঁথা-
মদ খেয়ে তো মাতাল হত সবাই
কবিই শুধু নিজের জোরে মাতাল!
কিন্তু তাঁর কবিতা এবং গদ্যকে আলাদাভাবে পড়লে মনে হয় তাঁর ভাবনাভুবনের সামগ্রিকতাকে ধরা যাবে না। ‘এখন জেগে থাকাই ধর্ম’– এই কথাটি যে কবির কলমে লিখিত হয়, তিনি সামগ্রিক বিশ্ব-ইতিহাস এবং সময়চেতনার প্রতিনিধিত্বের বশেই লেখেন। আর এই সময় ও ইতিহাসচেতনা খোদাই করা থাকে সমকাল সম্পর্কিত এক প্রখর রাজনৈতিক চেতনাতেই। শঙ্খ ঘোষের রাজনৈতিক চেতনার যে কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক সঙ্ঘ নেই, তা সম্ভবও হয়েছে, তাঁর নিজস্ব এক রাজনৈতিক বোধ রয়েছে বলেই। ফলে, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলা তথা ভারতীয় কবিতার প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক কবিতার যে পৃথক এক অধ্যায় তিনি তৈরি করলেন, তা সর্বার্থেই অধুনান্তিক। আধুনিকতা যে ‘বাইনারি’ প্রেক্ষিত তৈরি করে, তা থেকে শঙ্খ ঘোষের কবিতা ও চেতনার জগৎ মুক্ত।
কিন্তু এই রাজনৈতিক বোধকে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক সঙ্ঘগুলি চিহ্নিত করতে পারে লিবারাল অরাজনীতি বা বি-রাজনীতির নামে, কিন্তু যদি বলি, এটিই প্রকৃত রাজনৈতিক বোধ, তা অস্বীকার করতে পারবেন কি কেউ? যে অর্থে, জীবনানন্দের ‘সাতটি তারার তিমির’ একটি আদ্যন্ত রাজনৈতিক ভাষ্যের কবিতা বলেই আমার মনে হয়, সে অর্থেই শঙ্খ ঘোষের কবিতার সত্য, তাঁর কবিতার রাজনীতির মধ্যেই নিহিত। এই রাজনৈতিক বোধ তাঁর বিভিন্ন সময়ের গদ্যের মধ্যেও তাই ধরা দিচ্ছে। অন্ধকার সময়ে আত্মশক্তির কথা তিনি বলেছেন তাঁর গদ্যগুলিতে, আর তাঁর কবিতার মধ্যেও সেই আত্মশক্তিই বারবার প্রতিফলিত হয়েছে।
“এক শতাব্দীর পরে আরেক শতাব্দী আরো এক/ আমি যদি না–ও থাকি তবুও আমিই পড়ে থাকে”। গান্ধর্ব কবিতাগুচ্ছে লিখেছিলেন তিনি। এই সত্যই একপ্রকার আত্মশক্তি। আর শঙ্খ ঘোষ এই সত্যের খোঁজ করে গেছেন বিভিন্নভাবে। তিনি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানাভাবে সত্যকে যাচাই করে গেছেন। তার খণ্ড খণ্ড সত্যগুলি নিয়েও ভেবেছেন, ভেঙেছেন সংস্কারহীনভাবেই। এ কারণেই ‘ভিন্ন রুচির অধিকার’ -এর কথা বলেছেন তিনি। কবির এই ব্যক্তিত্ব যে কখন ব্যক্তি-কবির সঙ্গে মিলেমিশে গেছে, তা আলাদা করে চেনার উপায় নেই। কিন্তু সে এক ভিন্ন ভাবনার আলোচনা। আমি ভাবি, এটাও হয়তো বহিরঙ্গই। কবির ব্যক্তিত্ব এমনটাই আমাদের অভিভূত করে রাখল, যে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা সেই বহিরঙ্গের আস্তরণ ভেদ করে ভিতরের সত্তার কাছে পৌঁছতে পারলাম না। চিনতেও চেষ্টা করলাম না তাঁর ভাবনার ব্যক্তিত্বকে। বা, হয়তো কোনও একদিন আমরা বা আমাদের পরের প্রজন্ম সেই ব্যক্তিত্বকে বুঝতে পারবে। এখন নিজেদের নিয়েই প্রশ্ন জাগে, কতটা নিতে পারলাম তাঁর কাছ থেকে, কতটা ভাবতে পারলাম? কবি শঙ্খ ঘোষ কিন্তু এই শেখার কাজটিও আজীবন করে গেছেন, যখন তিনি বিভিন্ন লেখককে, কবিকে পড়েছেন। আর এই পড়ার মাধ্যমে যে মনের মধ্যে ভাবনার যাপন (ডিসকোর্স বা সন্দর্ভ?) তৈরি হয়েছে, তা আমাদের কাছে হয়ে উঠেছে কবিকেই খুঁজে চলার এক একটি গোপন রাস্তা।
আমাদের সামনে তাঁর সেই ভাবনাজগতের এল ডোরাডো রয়েছে। তার মানচিত্রও রয়েছে। দরকার এক সামগ্রিক পাঠের। তবেই আমরা শঙ্খ ঘোষকে খুঁজে পাব আবার। না-হলে এখনও তাঁর ব্যক্তি-আমির আলোচনাতেই সীমাবদ্ধ রয়ে যাবে আমাদের ভাবনাজগৎ। সেই ব্যক্তি-আমি নশ্বর। কিন্তু তাঁর কাব্য-ব্যক্তিত্বের সত্য অবিনশ্বর।
ছবি সৌজন্য: Facebook
হিন্দোল ভট্টাচার্যের কবিতা লেখার শুরু নয়ের দশকে। কবি ও লেখক হিসেবে পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা দুইই পেয়েছেন বাংলা ভাষার পাঠকদের কাছে। মোংপো লামার গল্প, সব গল্প কাল্পনিক, রুদ্রবীণা বাজো, বিপন্ন বিস্ময়গুলি, এসো ছুঁয়ে থাকি এই লেখকের কিছু পূর্বপ্রকাশিত বই।
অসামান্য একটি লেখা। শঙখ ঘোষ-এর কবিতা নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দেখা।
অসাধারণ লেখা। ঋদ্ধ হলাম।
Excellent article. The prose is lucid. It is often challenging to express deep thoughts in such a fluid style. Each line of the essay is both enriching and engaging.