অনুবাদ গল্প: তিনটে আঙুল (অন্তিম পর্ব)

আমার যখন জ্ঞান ফিরল, তখন রক্ত পড়ছিল। হ্যাঁ রক্ত। মেঝেময় রক্ত। ছেনির ডগায় রক্ত, কাটা আঙুলগুলোয় রক্ত, হাতের তালুতে রক্ত। রক্ত মাখা কাপড় যেন লাল সিল্কের মতো। আমার নিজের রক্তের গন্ধ, কী ঠান্ডা অনুভূতি! হুঃ! কিন্তু সেখানেই শেষ নয়। আমি তখনও ওকে আঁকার চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু কোথায় সে? আমি ওকে খুঁজছিলাম। দেওয়ালে ওর নাম লিখলাম রক্ত দিয়ে। যেন নিজেকে বলি দিয়ে ওকে লুব্ধ করার চেষ্টা করছিলাম।
অনুবাদ গল্প: তিনটে আঙুল (দ্বিতীয় পর্ব)

আমি শিউরে উঠলাম। ‘মনাই, তোমার হাতে কী আছে? সেইদিনও উনি বারবার হাত শুঁকছিলেন।’
‘সেটাই আমি বুঝতে পারছি না। উনি আমাকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দিলেন। আমার খুব খারাপ লেগেছে। জানো, আমার ডান হাতে কোনও সমস্যা নেই।’ সে নিজের লম্বা, শীর্ণ ডান হাতটা তুলল যেন নিশ্চিত হবার জন্যে।
অনুবাদ গল্প: তিনটে আঙুল (প্রথম পর্ব)

আমি, পুরো বিশ্বাস না করেই, তার দিকে কিছু কাগজ এগিয়ে দিলাম। দেখলাম, সে টাইপরাইটারের প্লাস্টিক ঢাকনা সরিয়ে তাতে কাগজ পরাচ্ছে।
সে যখন টাইপ করতে শুরু করল, আমি আঁতকে উঠে দেখলাম তার বাঁ হাতে তিনটে আঙুল নেই। সে দুহাতের শুধু তর্জনী দিয়ে টাইপ করছে। দেখে মনে হচ্ছে তিনটে আঙুল যেন কেটে নেওয়া হয়েছে।
নভেলা: অবন্তীনগরের বাস: শেষ পর্ব

ব্যালকনি থেকে ঝিল্লি বৃষ্টি দেখল কিছুক্ষণ। গাছপালাগুলো ভিজে আরও সবুজ লাগছে। এদিকটা খুব সুন্দর। সবই ভালো, কিন্তু বড্ড নিচু বলে খুব জল জমে যায়। তবে মেট্রোটা ভীষণ কাছে।
নভেলা: অবন্তীনগরের বাস: পর্ব ১১

একদিন ব্যাগ গুছোতে গিয়ে একটা কার্ড উঠে এল হাতে। অর্ণব মুখার্জি, রেনবো ক্রিয়েশনস। কে অর্ণব মুখার্জি? লিখছেন তৃষ্ণা বসাক। পর্ব ১১।
নভেলা: অবন্তীনগরের বাস: পর্ব ১০

জমায়েতের পুরোভাগে এখন মিথিলেশ। তার সামনে বিনোদনের লাইভ ব্যবস্থা। কলকাতার কাছেপিঠে হলে এতক্ষণে দু’চারটে চ্যানেলের ওবি ভ্যান আসত। লিখছেন তৃষ্ণা বসাক। পর্ব ১০।
নভেলা: অবন্তীনগরের বাস: পর্ব ৯

অরুণাভ কাল রাতে বাড়ি ফেরেনি। আজকাল এরকম প্রায়ই করছে। প্রথম প্রথম বলত বিজ়নেস ট্রিপ, এখন খোলাখুলি বলে যায় রায়ার সঙ্গে বাইরে থাকতে যাচ্ছে। … তৃষ্ণা বসাকের নভেলা। পর্ব নয়।
নভেলা: অবন্তীনগরের বাস: পর্ব ৮

বহুবছর আগে ভিড় বাসে তার হাত কোনও অভিপ্রায় ছাড়াই ঝিল্লির বাম স্তন ছুঁয়ে গেছিল। সেই স্পর্শ তার স্মৃতির সঞ্চয় হয়ে আছে। … তৃষ্ণা বসাকের নভেলা। পর্ব আট।