কবিতা: বিদায় ও অন্যান্য

ফুটপাতে রাখা উনুনের মতো একটু একটু করে নিভে আসছে ধিকিধিকি বিকেলের শেষটুকু। একাকিত্বের রং, বিষাদের রং, শেষবেলাকার মরা আলোয় মুছে নিয়ে কবিতা সাজালেন সোহম।
কবিতা: ফাঁদ ও নষ্টনীড়

এঁটো চাঁদ ফাঁস নিলো দেবদারু গাছের শাখায়/হলুদ আলোর মোড় ফিরে আর দু’পা হাঁটলেই/ভাঙা সাঁকো, চোরাবালি, ফেলে আসা স্মৃতিদের ভ্রূণ।
কবিতা: অসুখ ও অন্ধকার

অথচ দুঃখে এসে শান্ত হয়ে দাঁড়াবার উপায় নেই/দুদণ্ড দাওয়ায় বসে গল্প করা, দুঃখের গেরস্থালি/মানিয়ে গুছিয়ে নিয়ে থেকে যাব, তেমন ঘটে না
স্বপ্ন: কবিতা

ভোররাতে এসে ফের বন্ধুদের সাথে দেখা হয়
ভোরের নরম আলো– রূঢ় হতে তার বাধে খুব
সোহমের কবিতা।
জিগ-স’ (কবিতা)

জীবনের নানা রঙিন টুকরো একটু একটু করে জুড়ে জুড়ে তৈরি হয় জিগ স’ পাজল। সেই রংবেরংয়ের কাটাছেঁড়া জুড়ে জুড়ে বোনা নকশি কাঁথা সোহমের কলমে।
জ্যামিতি (কবিতা)

আমাদের বৃত্তগুলো ছোট হয়ে আসছে / আর ফিটফাট বর্গক্ষেত্ররা, মুচকি হাসছে দূর থেকে।
এসো (কবিতা)

এই হাত
রাখা আছে, শর্তহীন
ছুঁয়ে দাও। তার আগে
শুধু একবার ভেবে দেখো
ছুটি নাও (কবিতা)

সকলেরই যুক্তি আছে, পক্ষ আছে, প্রতিপক্ষ আছে।
আদর্শ কিছু আছে যার জন্য ছেঁড়া যায় ফুল,
বা মানুষ। তোমারও কি নেই?