প্রবাসীর নকশা: পর্ব ১২

সেই অপ্রতুল বৈদেশিক মুদ্রার আমলে কুড়িয়ে বাড়িয়ে শ’পাঁচেক ডলার নিয়ে এসেছিলাম সপ্তাহ তিনেক কোনওরকমে চলার মতো। আশা ছিল ঐ সময়ের মধ্যে কোনও কাজ পেয়ে যাব। ভদ্রমহিলা আমার পুঁজির বহর শুনে প্রায় আঁতকে উঠলেন। এরপর আমার তাজ্জব হওয়ার পালা শুরু। বুঝলাম সেই মুহূর্তে আমি সরকারীভাবে বেকার। সেই জন্য আমার নথিভুক্ত হবার দিন থেকেই দু সপ্তাহ অন্তর কিছু অর্থ প্রাপ্য। সেই ‘বেকার ভাতা’ নাকি সরাসরি একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে যায়।
… নিজের বিদেশবাসের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখছেন সিদ্ধার্থ দে
প্রবাসীর নকশা: পর্ব ১১

আমরা নিজের দেশের নিন্দে করেই থাকি। চুরি-ডাকাতি, তোলাবাজি, নানা ধরণের অসভ্যতা নিত্যকার খবরে প্রাধান্য পায়। আমার ধারণা এসবের অন্তর্নিহিত কারণ দারিদ্র এবং আইনের শাসন ও সামাজিক মূলধনের অভাব। বড়লোকদের চুরির কারণ অবশ্য অন্য। স্রেফ লোভ।
অভাবে চুরি ক্ষমা করা যায়। কিন্তু বিদেশে বিত্তশালী ভারতীয় মানুষদের চুরি ও নীচতা যখন দেখি খুব লজ্জা লাগে। আর খবরে যখন ভারতীয়দের বধু নির্যাতন বা অসহায় বৃদ্ধকে জুতোপেটা করার খবর পাই মুখ লুকানোর জায়গা পাই না।
… নিজের বিদেশবাসের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখছেন সিদ্ধার্থ দে
প্রবাসীর নকশা- পর্ব: ৪

আমার বারংবার বাহনচালনায় ব্যর্থতার খবর বন্ধুমহলকে বেশ ভাবিয়ে তুলেছে সেই সময়ে। এক সান্ধ্য নিমন্ত্রণে একজন জানালেন, তাঁর স্ত্রীও বার তিনেক ফেল করেছিলেন। শেষে পিটার নামে এক ট্রেনার তাঁকে ঠিকঠাক তালিম দিয়ে উতরে দেন। সিদ্ধার্থ দে-র স্মৃতিযাপন। পর্ব ৪।
প্রবাসীর নকশা- পর্ব: ৩

মাঝে মাঝেই মাঝরাতে, বা তারও পরে ফোনটা বেজে ওঠে। বছর দশেক আগে আরো বেশি আঁতকে উঠতাম।প্রবাসযাপনের অধ্য়ায় ফিরে দেখছেন সিদ্ধার্থ দে।
প্রবাসীর নকশা- পর্ব: ২

বিদেশ যাওয়ার বাসনা জাগ্রত হওয়া এক ব্যাপার, আর যেতে পারা আর এক। কলেজে পড়াকালীন ৪২ জনের মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং ক্লাসের অন্তত জনা দশেকের ফার্স্ট ইয়ার থেকেই লক্ষ্য ছিল আমেরিকা যাবার! প্রক্রিয়াগুলি সম্বন্ধে তখন থেকেই ওয়াকিবহাল ছিল তারা। প্রবাসযাপনের অধ্য়ায় ফিরে দেখছেন সিদ্ধার্থ দে।
প্রবাসীর নকশা- পর্ব: ১

সহস্রাব্দের শুরুর দিকে একটা নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হল। তখনও ফেসবুকের জন্ম হয়নি, কিন্তু বিভিন্ন বৈদ্যুতিন মাধ্যমে বিনা খরচে নিজেদের লেখালেখি প্রকাশ করার একটা অভূতপূর্ব সুযোগ এসে গেল। ২০০৪ সালে এল ফেসবুক। প্রবাসযাপনের অধ্য়ায় ফিরে দেখছেন সিদ্ধার্থ দে।