আম নিয়ে আমোদ

মালদা, মুর্শিদাবাদ জুড়ে আমের এই বৈচিত্র্যময়তার পিছনে বাংলার নবাবকুলের অবদান সুপ্রচুর। আমের নামের সঙ্গেও মিশে আছে নবাবি আমলের ইতিহাস আর চমকপ্রদ কাহিনি। আশরাফ আলির বাগানে ফলেছে এক আম। স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয়। নবাব নাজিম ফেরাদুন জাঁ, যার বাবা হুমায়ুন জাঁ-এর হাতে তৈরি হয়েছিল মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারি, তখন বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার তক্তে। এই আমের আমেজ নবাবের কাছে পৌঁছনো দরকার। আশরাফ পৌঁছয় দরবারে… আর তারপর?
বিশ্ব আম দিবসে আম নিয়ে কিছু অজানা মজাদার কাহিনি, লিখলেন সপ্তর্ষি রায় বর্ধন
কাজের মানুষ রথীন্দ্রনাথ

অতি বাহুল্যবর্জিত পড়াশোনার এই রীতির সমান্তরালে, শিলাইদহের প্রকৃতি এক কথায় পেয়ে বসেছিল রথীন্দ্রনাথকে। ডানপিটেমি করলে ছিল না কোনও শাস্তির ভয়। বেড়ানো, মাছ ধরা, সাঁতার কাটা, লাঠি সড়কি খেলা, ঘোড়ায় চড়া এমনকি ভরা পদ্মায় নৌকা চালানো— তাতেও কোনও বাধা ছিল না। মা মৃণালিনীর দেওয়া মাসিক পাঁচ টাকার পকেটমানি জমিয়ে কিনেছিলেন এক ডিঙি নৌকো, যা চেপে শনি-রবিবার নদী পারাপার করা যেত। নদীতে সাঁতারও শিখেছিলেন খুব সহজে— পদ্মাবোটের উপর থেকে বাবার সজোর ধাক্কায় জলে পড়ে খানিক হাবুডুবু আর জল খেয়ে।
লিখলেন সপ্তর্ষি রায় বর্ধন।
এই বসন্তে

১৯৬৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘রাজা রামমোহন’, অসাধারণ অভিনয় বসন্তের। মহানায়কের বাড়ির আড্ডায় কোন এক স্তাবক মন্তব্য করে বসলেন, “রামমোহনে বসন্তের অ্যাক্টিং নিয়ে কেন যে এত হইচই হচ্ছে তা বুঝি না বাবা! দাদা ওই রোলটা করলে এর চেয়ে অনেক ভাল করতেন, একবারে ফাটিয়ে ছেড়ে দিতেন।” এই মন্তব্যে নাকি উত্তম রীতিমত রুষ্ট হয়ে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং পরে বলেন, “বইয়ের পাতায় রামমোহনকে যেমন দেখেছি, তাঁর সম্পর্কে যা পড়েছি, বসন্ত যেন সেখান থেকেই হুবহু উঠে এসেছে।”
বসন্ত চৌধুরীর জন্মদিনে তাঁকে নিয়ে লিখলেন সপ্তর্ষি রায় বর্ধন…